বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের অন্যতম সৈনিক ও রংপুর জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক বিশিষ্ট রাজনীতিক আশরাফ হোসেন বড়দার (৮৫) দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) বাদ জুমা রংপুর মহানগরীর গুপ্তপাড়া জামে মসজিদে মরহুমের জানাজার নামাজ শেষে নূরপুর কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মৃত্যুকালে এক কন্যা সন্তানসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন রেখে গেছেন তিনি।
বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের অন্যতম সৈনিক আশরাফ হোসেন বড়দা ১৯৫২ সালে লালমনিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় ভাষা আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। জ্ঞানতাপস ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর একটি লেখা পড়ে রাষ্ট্রভাষার প্রতি উদ্বুদ্ধ হন তিনি। এরপর প্রগতিশীল শিক্ষক সন্তোষ গুহের সান্নিধ্য ও কবি শাহ আমানত আলীর অনুপ্রেরণায় আন্দোলনে অংশ নেন বলে জানা গেছে।
ব্যক্তিগতভাবে রাষ্ট্রীয় কোনো স্বীকৃতির স্বপ্ন না দেখা এই ভাষাসৈনিকের চাওয়া ছিল ‘ভাষা আগ্রাসন’ যেন বন্ধ হয়।
ভাষা আন্দোলন করার কারণে আশরাফ হোসেন ১৯৫৪ সালে আত্মগোপনে চলে যান। এরপর ১৯৫৫ সাল থেকে রংপুরে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। নগরীর গুপ্তপাড়ার নিউক্রস রোডের ডুয়ার্স ভবনই ভাষাসৈনিক আশরাফ হোসেনের ঠিকানা ছিল।
ভাষাসৈনিক আশরাফ হোসেন বড়দার মৃত্যুতে রংপুর বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনসহ বিএনপি, জাতীয় পার্টি, অন্যান্য রাজনৈতিক দল, রংপুরের সাংবাদিক সমাজসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন শোক সমবেদনা জানিয়েছেন।