করোনার প্রভাবে কর্মহীন হওয়া অসহায় দুস্থদের মাঝে বিতরণের জন্য চালের গাড়ি নিয়ে এলাকায় এলাকায় ঘুরছেন রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় নগরীতে সাড়ে ১৬ হাজার পরিবারকে চাল প্রদান করা হবে।
শুক্রবার (৩ এপ্রিল) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত রংপুর নগরীর পাঁচটি ওয়ার্ডে ঘুরে ঘুরে তালিকা করা অসহায় দুস্থদের মধ্যে চাল বিতরণ করেন মেয়র।
সকালে নগরীর ৩০নং ওয়ার্ডের খাসবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে পাঁচ শতাধিক নারী-পুরুষের হাতে ১০ কেজি করে প্রস্তুত করা চালের প্যাকেট তুলে দেন মেয়র। পরে নগরীর ১৩, ১৮, ২৫ ও ৪ নং ওয়ার্ডে ২০০০ পরিবারকে চাল দেয়া হয়।
বিতরণকালে মেয়র মোস্তফা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বরাদ্দ দেওয়া ১৬৫ মেট্রিক টন চাল দ্রুত সময়ে বিতরণের জন্য আমি গাড়ি নিয়ে এলাকায় এলাকায় ঘুরছি। কেউ অভুক্ত থাকবে না। সবার ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে যাবে। রাতদিন পরিশ্রম করছি। সরকারের বরাদ্দের পাশাপাশি ব্যক্তিগতভাবেও সহায়তা দিচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, রংপুর নগরীতে ১০ লাখ মানুষের বসবাস। এর মধ্যে অন্তত ৫০ হাজার মানুষ শ্রমজীবী। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় আমরা সাধ্যমত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
এ সময় রংপুর জেলা প্রশাসক আসিব আহসান, রংপুর সিটি করপোরেশনের সচিব মোঃ ফজলুল কবীর, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রুহুল আমিন খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
রংপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্র জানা যায়, জেলার আট উপজেলায় শ্রমজীবী, দিনমজুর পরিবারকে সরকারিভাবে সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতিতে রংপুর জেলায় ১৮০ মেট্রিক টন চাল, নগদ পাঁচ লাখ ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, জেলায় ৩০০ মেট্রিক টন চাল এবং চার লাখ ৮০ হাজার টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
যশোরের বেনাপোলে নিখোঁজের একদিন পরে অহিদুল ইসলাম (৩৪) নামে স্বেচ্ছাসেবক দল কর্মীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এটি স্বাভাবিক মৃত্যু না পরিকল্পিত হত্যা তা নিয়ে পুলিশের তদন্ত চলছে।
নিহত অহিদুল ইসলাম বেনাপোল পৌরসভার ছোটআঁচড়া ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য ও পেশায় দিন মজুর ছিলেন।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বিকালে বেনাপোল সীমান্তের চাত্রের বিল এলাকার আক্তার মাহমুদ বাবলুর মাছের ঘের ঘের থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর থেকে নিখোঁজ ছিল সে। সে ওই মাছের ঘেরে গার্ডের কাজ করতো।
নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে বেনাপোল পোর্টথানায় একটি অপমৃত্যু দায়ের করে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে সে অনুযায়ী পরবর্তীতে নতুন করে মামলা হবে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহত অহিদুল ইসলাম ছোটআঁচড়া পূর্ব পাড়া এলাকার নিছার আলী খোকনের ছেলে। তার স্ত্রী ও দুটি সন্তান রয়েছে।
বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাসেল মিয়া জানান, বৃহস্পতিবার সকালে সে বাড়ি থেকে বের হয়ে পার্শ্ববর্তী একটি মাঝের ঘেরে কাজ করছিল। এদিন বাড়ি না ফিরলে তার পরিবারের সদস্য খোঁজাখুঁজি করে। পরের দিন শুক্রবার বিকালে মাছের ঘেরের পানিতে মরদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অহিদুলের মরদেহ উদ্ধার করে। এ ব্যাপারে আপাতত অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে পরবর্তীতে সে অনুযায়ী আবারো নতুন করে মামলা করা যাবে।
নিহতের স্ত্রী জানান, সে যে ঘেরে কাজ করে সেখানে কিছু মানুষ তাকে কয়েকদিন ধরে হুমকি দিচ্ছিল। এর দু'দিন পর তার এই মৃত্যু হয়। সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।
স্থানীয় কবীর হোসেন জানান, নিহতের দুই শিশু সন্তান রয়েছে। সংসারে একমাত্র উপার্জনের মানুষটিকে হারিয়ে দিশেহারা এখন পরিবার।
বেনাপোল পৌর বিএনপির সভাপতি নাজিম উদ্দীন জানান, নিহত যুবক স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য। এটি যদি হত্যার ঘটনা হয়, তবে তার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।
ময়মনসিংহে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিবেশীর দায়ের কোপে মিন্টু মিয়া (৬৫) নামে পুলিশের এক অবসরপ্রাপ্ত সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩ জনকে আটক করেছে।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে নগরীর বাদেকল্পা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত মিন্টু মিয়া ওই এলাকার মৃত আব্দুল করিমেন ছেলে।
নিহতের পরিবার ও পুলিশ জানায়, ময়মনসিংহ নগরীর বাদেকল্পা এলাকায় অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য মিন্টু মিয়ার সাথে প্রতিবেশী জাহাঙ্গীর আলমের জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে একাধিক গ্রাম্য শালিসও হয়েছে। শুক্রবার আবারও শালিসের আয়োজন করা হয়।
অমিমাংসিত অবস্থায় শালিসের লোকজন বাড়ি থেকে যাওয়ার পরপরই জাহাঙ্গীর ও তার লোকজন মিন্টু মিয়াকে দা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়। এ সময় বাঁধা দিতে গেলে মিন্টু মিয়ার বড় ভাই আব্দুল করিমকেও চক্রটি কুপিয়ে আহত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহত মিন্টু মিয়ার ভাগিনা রাকিবুল ইসলাম বলেন, জমি নিয়ে তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ ঘটনায় মিন্টু মিয়াকে জাহাঙ্গীর হোসেন দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা এবং তার বড় ভাইকে আহত করে।
কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক ওসি (অপারেশন) এস এম নুর মোহাম্মদ বলেন, জমি নিয়ে বিরোধে মিন্টু মিয়া নামে অবসরপ্রাপ্ত এক পুলিশ সদস্য খুন হয়েছে। এ খুনের ঘটনায় নাজমুল, রুহুল আমিন ও আব্দুল মান্নান নামে তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া বলেছেন, ইতঃপূর্বে আমরা দেখেছি যখনই কোনো জনগুরুত্বপূর্ণ ইস্যু সামনে এসেছে তখনই আওয়ামী লীগ সরকার সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা কিংবা সাম্প্রদায়িক বিভাজন উসকে দিয়ে আমাদের মনোযোগ অন্যদিকে ডাইভার্ট করেছে। অর্থাৎ ধর্মকে রাজনৈতিক স্বার্থে তারা ব্যবহার করার চেষ্টা করেছে।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) রাতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে যুব উন্নয়ন অধিদফতর ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বাংলাদেশের সৌন্দর্য। যদিও অনেক মহল আছে যারা চেষ্টা করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে।
আসিফ মাহমুদ বলেন, সাতক্ষীরায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য আপনাদের সর্বোচ্চ দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে। অনেকেই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে চেয়েছে। এখন থেকে সেটা আমরা আর করতে দেব না। এজন্য এবারের দুর্গাপূজায় সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে, নিরাপত্তা নিশ্চিতের ক্ষেত্রে জনগণের একটি অবদান রাখার সুযোগ রয়েছে। আপনারাও সেখানে টাচ করবেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে রাজনীতির প্রভাব রয়েছে। বিগত সময়ের মতো আগামীতেও যেন রাজনীতিকরণ না হয়, সেজন্য ক্রীড়াঙ্গনে বিরাজনীতিকরণ নিয়ে আমরা কাজ করছি। একজন ব্যক্তির রাজনৈতিক পরিচয় থাকতে পারে, কিন্তু ক্রীড়াঙ্গনে যেন প্রভাব না পড়ে।
সভায় সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
খালি পেটে রাষ্ট্র সংস্কারের আলাপ মাথায় ঢুকবে না বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয় হাসনাত আব্দুল্লাহ।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) রাত ১১টার দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।
হাসনাত আব্দুল্লাহ নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক আইডিতে লিখেন, 'সিন্ডিকেট দমন করে অতিশীঘ্রই দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করুন। খালি পেটে রাষ্ট্র সংস্কারের আলাপ মাথায় ডুকবে না।'
তার এই পোস্টের পরপরই বিভিন্নজন প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করেন।
নিয়াজ স্মরণ নামের একজন লিখেন, 'এটা সকল মানুষের মনের কথা। সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত এটা।'
নিশিতা মিতু নামের একজন লিখেন, 'এটাই লক্ষ লক্ষ মানুষের মন ও মুখের কথা। অন্তত চাল, ডাল, তেল, ডিম, আলুর দাম হাতের নাগালে থাকলে মানুষ দু'বেলা দুমুঠো খেয়ে বাঁচতে পারবে।'