করোনা জয় করে প্রধানমন্ত্রীকে যা জানালেন ফয়সাল

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস
  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা/ছবি: সংগৃহীত

ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা/ছবি: সংগৃহীত

ঢাকায় শনাক্ত হওয়া প্রথম করোনা রোগী ফয়সাল শেখ। তিনি জার্মানিতে লেখাপড়া করেন। গত ১ মার্চ ঢাকায় আসেন। দেশে ফেরার ১০ দিন পর তার করোনার লক্ষণ দেখা দেয়। এরপর নিজ উদ্যোগে আইইডিসিআর যান ফয়সাল শেখ। সেখানে প্রাথমিক টেস্টে তার শরীরে করোনাভাইরাস পজেটিভ বলে জানানো হয়। সে এখন সুস্থ।

মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তার অভিজ্ঞতার কথা জানান। করোনা থেকে সুস্থ হয়ে শেখ ফয়সাল হোসেন বলেন, আমি জার্মানিতে পড়ালেখা করি, গত ১ মার্চ দেশে আসি পরিবারের সাথে সময় কাটানোর জন্য। আসার ১০ দিন পর আমার শরীর খুব খারাপ মনে হয়। করোনার লক্ষণ দেখা দিলে আমি নিজে থেকে আইডিসিআর যাই। সত্যি কথা বলতে আমি প্রথম একটু ভয় পেয়েছিলাম। যে এখানে আমি জার্মানির মতো চিকিৎসা সেবা পাবো কি না?

বিজ্ঞাপন

শেষ পর্যন্ত আইইডিসিআর আমাকে যে নির্দেশনা দেয় সেই নির্দেশনা মোতাবেক আমি কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইনে (সঙ্গরোধে) থাকি। আমার পরিবারের সদস্য এবং আমি যাদের সঙ্গে দেখা করেছি তাদেরও হোম কোয়ারেন্টাইনে (বাড়িতে সঙ্গরোধে) রাখে। কয়েকদিন চিকিৎসার পর কয়েক দফা টেস্ট করার পর যখন করোনাভাইরাস নেগেটিভ আসে, আমি পরিবারের কাছে ফিরে যাই। আমার পরিবারের অন্য কারো কোনো সমস্যা হয়নি।

আইইডিসিআর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তখন থেকে ডাক্তার ফার্সি আমার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছেন। খোঁজ খবর নিয়েছেন। আমি সত্যি খুশি। যে ধরনের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে আমি এজন্য শুকরিয়া আদায় করছি। আপনার (প্রধানমন্ত্রীর) নির্দেশনায় আমি দেশবাসীকে বলব ঘরে থাকুন। যতদিন ঘরে থাকতে বলে ঘরে থাকুন। সবাই ঘরে থাকলে এরকম পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারবো।

প্রধানমন্ত্রী ফয়সালের কাছে জানতে চান, তোমার পরিবারের কারো সমস্যা হয়নি? জবাবে ফয়সাল বলেন, 'না'। এরপর প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন।

আরও পড়ুন: নববর্ষের অনুষ্ঠান ডিজিটাল পদ্ধতিতে আয়োজনের আহ্বান 

খাদ্য উৎপাদন যেন অব্যাহত থাকে: প্রধানমন্ত্রী

ছুটি সীমিত আকারে বাড়ানো হবে: প্রধানমন্ত্রী

‘মানুষের দুঃসময়ের সুযোগ নিয়ে সম্পদশালী হলে একটুও ছাড় নয়’

‘মশা মারতে হবে, মশার গান শুনতে চাই না’