সহস্রাধিক দিনমজুরকে ১০ দিনের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সহস্রাধিক দিনমজুরকে ১০ দিনের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ /ছবি: বার্তা২৪.কম

সহস্রাধিক দিনমজুরকে ১০ দিনের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ /ছবি: বার্তা২৪.কম

করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সারাদেশের ন্যায় রংপুরেও বন্ধ হতে শুরু করেছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ হোটেল-রেস্তোরাঁ। সরকার ঘোষিত দশ দিনের সাধারণ ছুটির সঙ্গে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনী। এতে কর্মহীন হয়ে পড়ছেন নিম্ন আয়ের দিনমজুর ও শ্রমিকরা। অসহায় এসব মানুষকে সরকারি নির্দেশনা মেনে ঘরে থাকতে উদ্বুদ্ধ করাসহ ১০ দিনের প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী দিয়েছেন দুই তরুণ।

মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) বিকেলে রংপুর নগরীর বিভিন্ন এলাকায় সহস্রাধিক মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়। বিতরণকারী দুই তরুণ সম্পর্কে সহোদর। তারা রংপুর নগরীর রয়্যালটি মেগা মলের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

বিজ্ঞাপন

বিতরণকালে রয়্যালটি মেগা মলের চেয়ারম্যান মো. তৌহিদ হোসেন আশরাফী বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। এ পরিস্থিতিতে আমাদের প্রয়োজন সচেতনতার। প্রয়োজন বাড়িতে সঙ্গরোধ। সুন্দর আগামীর জন্য ধনী, গরীব, অসহায়, দুস্থ, দিনমজুর, শ্রমিক সকল শ্রেণী পেশার মানুষকে এখন ঘরে থাকতেই হবে ।

তিনি বলেন, আমরা কষ্ট করে সচেতন হয়ে যদি নিয়ম মেনে চলি, তাহলে করোনার প্রাদুর্ভাব রোধ করা সম্ভব। কিন্তু দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে যারা দিন আনে দিন খায়, তাদের পক্ষে খাদ্যের যোগান দেওয়া অসম্ভব কষ্টের। তাই রয়্যালটি মেগা মলের পক্ষ থেকে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করার পাশাপাশি সবাইকে ঘরে থাকতে উদ্বুদ্ধ করছি।

সহস্রাধিক দিনমজুরকে ১০ দিনের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ /ছবি: বার্তা২৪.কম

নগরীর পাঁচটি মোড়সহ বিভিন্ন স্থানে অসহায়, হতদরিদ্র, দিনমজুর, অটোরিকশা ভ্যান চালক, দোকান কর্মচারীদের মাঝে দশ দিনের জন্য এক হাজার প্যাকেট খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয় । প্রতিটি প্যাকেটে পাঁচ কেজি চাল, এক কেজি ডাল, এক লিটার তেল, পাঁচ কেজি আলু, দুই কেজি পেঁয়াজ, দুইটি সাবান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, ফেস মাস্ক ও সচেতনতামূলক লিফলেট রয়েছে।

এসব সামগ্রী পেয়ে উচ্ছ্বসিত দিনমজুর ও শ্রমিকরা। আফজাল হোসেন নামে এক দিনমজুর বলেন, প্রতিদিন দোকানে কাজ করে একশ টাকা হাজিরা পেতাম। কিন্তু সোমবার থেকে দোকান বন্ধ হয়েছে। এখন কষ্টে আছি। এই সময় এমন সহযোগিতা আপনাদেরকে ঘরে থাকতে বাধ্য করবে।

এদিকে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ প্রসঙ্গে রয়্যালটি মেগা মলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানবীর হোসেন আশরাফী বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য করোনা মোকাবিলায় সবাইকে ঘরমূখী করে রাখা। একই সাথে এই মহামারিতে যাতে অসহায়, দুস্থ, দিনমজুর মানুষেরা সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে বাড়ির বাইরে না বের হয়, এজন্য তাদের খাবার সামগ্রী দিয়ে সঙ্গরোধে উদ্বুদ্ধ করা।

নগরীর জাহাজ কোম্পানি মোড়, বেতপট্টি, কাচারি বাজার, চাউল আমোদ গলিসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রায় নয় লাখ টাকার খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করে রয়্যালটি মেগা মল। এতে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ সুমি গ্রুপ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বাংলার চোখ সদস্যরা পৃথকভাবে বিতরণ কার্যক্রমে সহযোগিতা করেন।