ঢাকা-১০ উপনির্বাচনে জয়ী শফিউল  

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের আশঙ্কার মধ্যেই অনুষ্ঠিত ঢাকা-১০ সংসদীয় আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মো. শফিউল ইসলাম (নৌকা) জয়ী হয়েছেন। ১৫ হাজার ৯৯৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী শেখ রবিউল আলম (ধানের শীষ) পেয়েছেন ৮৯৭ ভোট। নির্বাচনে মাত্র ৫ দশমিক ২৮ ভাগ ভোট পড়েছে।

শনিবার (২১ মার্চ) সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হয়। ভোট গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার ঢাকার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা জি এম সাহতাবউদ্দিন।

বিজ্ঞাপন

তিনি জানান, ঢাকা-১০ আসনের মোট ১১৭ ভোটকেন্দ্রের সবগুলোর ফলাফল পাওয়া গেছে। ফলাফলে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মো. শফিউল ইসলাম (নৌকা) ১৫ হাজার ৯৯৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী শেখ রবিউল আলম (ধানের শীষ) পেয়েছেন ৮৯৭ ভোট। নির্বাচনে মাত্র ৫ দশমিক ২৮ ভাগ ভোট পড়েছে।

বাকি প্রার্থীদের মধ্যে জাতীয় পাটির হাজী মো. শাহজাহান (লাঙ্গল) ৯৭ ভোট, বাংলাদেশ কংগ্রেসের অ্যাডভোকেট মো. মিজানুর রহমান (ডাব) ১৮ ভোট, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের নবাব খাজা আলী হাসান আসকারী (হারিকেন) ১৫ ভোট ও পিডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী আব্দুর রহিম (বাঘ) ৬৩ ভোট পেয়েছেন।

এদিকে সকাল থেকেই ঢাকা-১০ আসনের বেশিরভাগ ভোটকেন্দ্রে ভোটার শূন্য দেখা গেছে। করোনাভাইরাস ভীতির কারণেই মানুষকে ভোটকেন্দ্র বিমুখ করেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

আর ভোট শেষে শনিবার (২১ মার্চ) বিকালে নির্বাচন কমিশন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর বলেন, ভোটাররা ভোট দিতে যাবে কিনা সেটা ভোটারদের বিষয়। তাদের বাধ্য করা যাবে না। সেটা কোনো আইনে ও সংবিধানেও নাই। আমাদের এখানে কোথাও লেখা নাই যে এত পার্সেন্ট ভোট না পড়লে সেটা অংশগ্রহণ মূলক হবে না। অতএব একটি ভোটও যদি হয় তাহলে আমরা বলবো এটি অংশগ্রহণমূলক।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৪ থেকে ১৮ নম্বর ওয়ার্ড ও ২২ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে এই সংসদীয় আসন। এই আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ১২ হাজার ২৮১জন। মোট ভোটকেন্দ্র ১১৭ আর ভোটকক্ষ ৭৭৬টি। কেন্দ্রপ্রতি অন্তত ১৮ জন করে নিরাপত্তা সদস্য নিয়োজিত ছিলেন। ভোটে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ছাড়াও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ছিলেন প্রায় আড়াই হাজার। প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ১১৭, সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ৭৭৬ জন, পোলিং অফিসার ১৫৫২ জন।

প্রসঙ্গত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে মেয়র পদে নৌকার প্রার্থী হতে ঢাকা-১০ আসন থেকে পদত্যাগ করেন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। গত ১ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনে তিনি মেয়র পদে বিজয়ী হন।