শিক্ষার্থীর কাছ থেকে হাফভাড়া না নেওয়ায় সড়ক অবরোধ, বাসে আগুন

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,বরিশাল
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

বরিশালের ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের এক ছাত্রী হাফভাড়া চাইতে গিয়ে অপমানিত হলে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও বাস শ্রমিকদের সঙ্গে সংঘর্ষে উত্তাল হয়ে ওঠে রূপাতলী বাস টার্মিনাল।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয় এবং এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয় ও কয়েকটি বাস ভাঙচুর করে।

বিজ্ঞাপন

বিএম কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের এক ছাত্রী বাসের হেলপারকে হাফভাড়া নিতে বললে, হেলপার তা অস্বীকৃতি জানিয়ে তর্কে জড়ান। অভিযোগ রয়েছে, তর্ক-বিতর্কের সময় ওই ছাত্রীকে খারাপ আচরণ এবং অপমানজনক কথাবার্তা বলা হয়। এর প্রতিক্রিয়ায় বিকেলে বিএম কলেজের শিক্ষার্থীরা রূপাতলী বাস টার্মিনালে জড়ো হয়ে প্রতিবাদ করতে থাকেন।

শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের কথা বললেও বাস শ্রমিকরা তাদের ওপর ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা। সংঘর্ষে তিন শিক্ষার্থী আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়।

বিজ্ঞাপন

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, হাফভাড়া নিশ্চিত এবং দায়ী শ্রমিকদের শাস্তি না দেওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। তাদের মতে, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

বরিশাল ট্রাফিক বিভাগের পরিদর্শক বিদ্যুৎ চন্দ্র দে জানান, ঘটনার পর পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে। কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, শিক্ষার্থী ও শ্রমিকদের মধ্যকার সংঘর্ষের কারণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত।

রূপাতলী বাস মালিক সমিতির সভাপতি জিয়া উদ্দিন সিকদার অভিযোগ দেন, শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ ও ভাঙচুর না করে বাস স্টাফ ও মালিকের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ করলে পরিস্থিতি এই পর্যায়ে পৌঁছাতো না।

এই ঘটনায় বরিশালে সাধারণ মানুষের যাতায়াত ব্যাহত হয়েছে এবং এলাকাজুড়ে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণ ও শ্রমিকদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে বরিশাল জুড়ে বিভিন্ন মহল থেকে সমর্থনের কথা শোনা যাচ্ছে।