ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় দিনের তাপমাত্রা বাড়তে পারে মর্মে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। এছাড়া আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিকভাবে মেঘলা থাকতে পারে।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানায় অধিদফতর।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে। এছাড়া আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিকভাবে মেঘলা থাকতে পারে। আবহাওয়া থাকবে শুষ্ক।
বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ছিল ৮২ শতাংশ। বুধবার সকালে তাপমাত্রা ছিল ১৫.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ছিল ৮৯ শতাংশ। বুধবারের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। আজ সূর্যাস্ত যাবে সন্ধ্যা ৫ টা ৪৩ মিনিটে। আগামিকালের সূর্যোদয় হবে ভোর ৬ টা ৪০ মিনিটে।
অবশেষে পুরস্কারের জন্য আগের ঘোষিত তালিকা থেকে তিন নাম বাদ দিয়ে ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২৪’ এর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বাংলা একাডেমির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বাদ পড়া তিন জন হলেন- মোহাম্মদ হাননান, ফারুক নওয়াজ ও সেলিম মোরশেদ।
‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২৪’ ঘোষণা করা হয় ২৩ জানুয়ারি। এরপর ২৫ জানুয়ারি তালিকাটি স্থগিত করা হয়। তখন বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, নাম থাকা কারও কারও বিষয়ে ‘কিছু অভিযোগ আসায়’ তালিকাটি স্থগিত করা হলো। বাংলা একাডেমি ওই দিন তিন কার্যদিবসের মধ্যে পুনর্বিবেচনার পর পুরস্কারের তালিকাটি পুনঃপ্রকাশ করার সিদ্ধান্তের কথা জানায়।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) ছিল তিন কার্যদিবসের শেষ দিন। সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পর বুধবার রাতে মোহাম্মদ হাননান, ফারুক নওয়াজ ও সেলিম মোরশেদের নাম বাদ দেয়ার কথা জানানো হয়।
মোহাম্মদ হাননানকে মুক্তিযুদ্ধ ও ফারুক নওয়াজকে শিশুসাহিত্যে পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছিল। আর কথাসাহিত্যিক সেলিম মোরশেদ পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের তালিকা স্থগিতের পর ২৭ জানুয়ারি বাংলা একাডেমি পুরস্কার প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দেন। তাকে কথাসাহিত্যে পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছিল।
বুধবারের সভায় স্থগিতকৃত পুরস্কৃত লেখক তালিকা চূড়ান্ত করা হয়। সেই অনুযায়ী বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন- মাসুদ খান (কবিতা), শুভাশিস সিনহা (নাটক ও নাট্যসাহিত্য), সলিমুল্লাহ খান (প্রবন্ধ/গদ্য), জি এইচ হাবীব (অনুবাদ), মুহম্মদ শাহজাহান মিয়া (গবেষণা), রেজাউর রহমান (বিজ্ঞান), সৈয়দ জামিল আহমেদ (ফোকলোর)।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিশিষ্ট সাংবাদিক, ডেইলি অবজারভারের বিজনেস এডিটর নিজাম আহমেদকে বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বাদ মাগরিব চুনতি সুফি মিয়াজিপাড়া ইদগাহ মাঠে জানাজা নামাজের পর দাফন করা হয়েছে। তাঁর জানাজায় অংশ নিতে হাজারো মানুষ উপস্থিত হয়েছিলেন। স্থানীয় কবরস্থানে তাঁকে চিরনিদ্রায় সমাহিত করা হয়।
তাঁর ইন্তেকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব অন্তর্বর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি এবং শৃঙ্খলা উপকমিটির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মাঈনুদ্দিন কাদেরী শওকত ও ক্লাবের সিনিয়র সদস্য সামশুল হক হায়দরী যৌথ বিবৃতি প্রদান করেন।
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব অন্তর্বর্তী কমিটির সদস্য মুস্তফা নঈম স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, নিজামউদ্দিন আহমদ ছিলেন পেশাদার সৎ সাংবাদিক এবং বর্তমানের আধুনিক চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের অন্যতম রূপকার।
অত্যন্ত বন্ধু বৎসল, সাহসী ও সতীর্থদের প্রতি সহমর্মিতাসম্পন্ন নিজামউদ্দিনের মত সাংবাদিক বর্তমানে বিরল। তিনি ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরদের হাতে নির্যাতিত একজন মুক্তি সংগ্রামী।
বিবৃতিতে মরহুম সাংবাদিক নিজাম উদ্দিন আহমদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয়।
এদিকে, নিজাম উদ্দিন আহমদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) নবনির্বাচিত কমিটি। এক শোকবার্তায় সিইউজের নবনির্বাচিত সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরি ও সবুর শুভ শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান এবং মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, নিজাম আহমেদ একজন অকুতোভয় ও সাহসী সাংবাদিক ছিলেন। তিনি তার ক্ষুরধার লেখনীর মাধ্যমে সমাজ ও দেশ সমৃদ্ধ করেছেন।
এর আগে বুধবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক নিজাম আহমেদ।
মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। নিজাম উদ্দিন আহমেদ পেটের রক্তনালী সংক্রান্ত রোগে ভুগছিলেন। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
তিনি নিউ নেশন, রয়টার্স, ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস, ডেইলি অবজারভারসহ বিভিন্ন পত্রিকা এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রায় ৪৫ বছর সাংবাদিকতা করেছেন। নিজাম উদ্দিন আহমেদ ঢাকা ও চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সদস্য।
সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে চিলার উৎপাদন করছে ‘কুলিং পয়েন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসেস’। মানিকগঞ্জ জেলার সিঙ্গাইর উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের খাসেরচর ২৬ শতক জমিতে গড়ে উঠেছে চিলার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানটি।
ধল্লা ইউনিয়ন পরিষদ ও পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে অবস্থানগত ছাড়পত্র, ফায়ার লাইসেন্স, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) কর্তৃক সেইফটি অডিট সার্টিফিকেশন অর্জন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। পরবর্তীতে ইন্টারন্যাশনাল ইনডিপেন্ট সেফটি অডিটর (ইউএনডিপি) এর অডিটের মাধ্যমে কমিশনিং ও সেইফটি সার্টিফিকেট পায়। সরজমিনে কারখানা পরিদর্শনের মাধ্যমে ‘বিএসটিআই’ চিলার উৎপাদনের ছাড়পত্রও পায় প্রতিষ্ঠানটি।
কুলিং পয়েন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, ২০০৫ সাল থেকে পরিবেশ অধিদপ্তরের ‘আরএসি’ টেকনিশিয়ানদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও পরিবেশ সম্মত কাজের দক্ষতা বাড়াতে ‘গুড প্যাটটিস সার্ভিসেস’ প্রগামের মাস্টার ট্রেইনার হিসাবে কাজ করেছেন। এখন পর্যন্ত দেশব্যাপী প্রায় ১২ হাজার টেকনিশিয়ানকে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন বলে জানান। এছাড়া, ‘গিজ’এর আওতায় ন্যাচারাল রেফ্রিজারেন্ট আর-২৯০ ব্যবহারে টেকনিশিয়ানদেরও প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।
কুলিং পয়েন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসেসের উৎপাদিত চিলারগুলো শতভাগ পরিবেশসম্মত দাবি করে আসাদুজ্জামান বলেন, কুলিং পয়েন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসেসের আধুনিক কারখানা নির্মাণে নিজস্ব তহবিল থেকে প্রায় দুই কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন। একইসাথে ইউএনডিপ ‘র প্রোজেক্ট শর্ত মোতাবেক পাঁচটি মাইলস্টোন এর মাধ্যমে আনুমানিক ৫৯ লাখ টাকা দেওয়ার চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে যা এখনও চলমান রয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে, জুলাই অভ্যুত্থানের পর গেল নয় আগস্ট রাতে একদল দুষ্কৃতকারী কারখানার প্রধান ফটক ভাঙচুর করে উৎপাদনের ব্যবহৃত কন্ডেন্সার, কম্প্রেসর, কপার টিউব, রেফ্রিজারেন্ট সিলিন্ডারসহ যাবতীয় কাঁচামাল ও উৎপাদনের কাজে ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় মেশিনারিজ লুট করে বলে জানা যায়।
কারখানার প্রহরী জানান, ঘটনার দিন রাতে একদল দুষ্কৃতকারী আচমকা হামলা ও ভাঙচুর করে সব মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। তাদের হাতে দেশীয় অস্ত্রসহ হঠাৎ হামলা হওয়াতে প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়নি।
আসাদুজ্জামান বলেন, ঘটনার পর বিভিন্ন নাম্বার থেকে টেলিফোনে হুমকি প্রদান করে আমাকে। যার প্রেক্ষিতে বেশ কিছুদিন স্বাভাবিক কাজকর্ম বন্ধ রাখা হয়।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কুলিং পয়েন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসেসের উৎপাদন চলমান রাখার লক্ষ্য নতুনভাবে মেশিনারিজ সংগ্রহ করে কাজ চালু করা হয়েছে। যা দেশীয় শিল্প বিকাশে প্রশংসার দাবি রাখে।
মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, আমি ১৯৯৪ সাল থেকে সুনামের সাথে বাংলাদেশে রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ার কন্ডিশনিং সেক্টরে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি। ব্যবসায়িক জীবনের শুরুতেই রিফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ার কন্ডিশনিং মেশিন সার্ভিসের সংঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলাম। পরবর্তীতে বাংলাদেশের বিভিন্ন পোল্ট্রি হ্যাচারিতে কাজ করার সুবাদে দেশীয় প্রযুক্তিতে চিলার প্রস্তুত করার সক্ষমতা অর্জন করি।
তিনি বলেন, কুলিং পয়েন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসেসের স্বত্বাধিকারী হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের নীতিমালা মেনে রেফ্রিজারেন্ট গ্যাস আমদানি করি। যে তথ্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে রক্ষিত রয়েছে। আমার প্রতিষ্ঠান রিফ্রিজারেন্ট খুচরা বিক্রির প্রতিষ্ঠান নয়।
দেশীয় প্রযুক্তিতে চিলার উৎপাদন প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে বুয়েট অধ্যাপক ড. মো. আলী আহম্মদ শওকত চৌধুরি বলেন, কুলিং পয়েন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসেস যে চিলার উৎপাদন করছে তার গুণগত মান ঠিক আছে। এটি উৎপাদন খুব জটিল প্রক্রিয়া না। তারা নমুনা যেগুলো উৎপাদন করেছিলো, আমরা যা দেখেছি তাতে কোন সমস্যা দেখতে পাওয়া যায়নি। উৎপাদনের জন্য যে মেশিনারিজ প্রয়োজন তার একটি তালিকা এবং কারখানার ফায়ার এক্সিস্ট রিকয়েরমেন্ট দিয়েছিলাম। তিনি আরও বলেন, সকল মেশিনারিজ স্থাপনের পর দেশে পরিবর্তিত অবস্থাতে সেখানে লুট হয়। এতে তার কারখানার একটা বড় ক্ষতি হয় বলে জানতে পারি।