অভ্যন্তরীণ রুটের যাত্রীদের করোনা ঠেকাতে মাঠে নেমেছে রেলওয়ে

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস
  • তৌফিকুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

থার্মাল স্ক্যানিং ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত জীবাণুমুক্ত করে স্টেশনের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে যাত্রীদের, ছবি: বার্তা২৪.কম

থার্মাল স্ক্যানিং ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত জীবাণুমুক্ত করে স্টেশনের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে যাত্রীদের, ছবি: বার্তা২৪.কম

বিশ্ব জুড়ে করোনাভাইরাস এখন আতঙ্কের নাম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এরই মধ্যে একে বৈশ্বিক মহামারি হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। বাংলাদেশেও করোনা আক্রান্ত রোগী পাওয়া যাচ্ছে। সব সেক্টরেই ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে করোনা ঠেকাতে। তারই ধারাবাহিকতায় রেলের অভ্যন্তরীণ রুটের যাত্রীদের করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা করতে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

সোমবার (১৬ মার্চ) কমলাপুর রেলস্টেশন ঘুরে দেখা যায়, স্টেশনের প্রবেশপথে একটি থার্মার স্ক্যানার বসিয়েছে কর্তৃপক্ষ। থার্মাল স্ক্যানিংয়ের পর হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত জীবাণুমুক্ত করে স্টেশনের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে যাত্রীদের।

বিজ্ঞাপন

কমলাপুর রেলস্টেশনের সব জায়গা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। টয়লেটগুলো পরিষ্কার রাখা হচ্ছে। ট্রেনের ভেতরের টয়লেটেগুলো পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি রাখা হচ্ছে পর্যাপ্ত পানি ও সাবান। তাছাড়া যাত্রীদের সচেতন করার জন্য স্টেশন জুড়ে পোস্টার লাগানো হয়েছে।

থার্মাল স্ক্যানিং স্টেশনের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে যাত্রীদের, ছবি: বার্তা২৪.কম

এদিকে আরো জানা যায়, শুধুমাত্র কমলাপুর স্টেশন না, দেশের সব স্টেশনেরই একই চিত্র। সব স্টেশনে বিশেষ করে হাত ধোয়ার জন্য পানি ও সাবানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

স্টেশন সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন কমলাপুর থেকে বিভিন্ন রুটে প্রায় ৬৮ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন যাওয়া-আসা করে। অসংখ্য যাত্রী এসব ট্রেনে প্রতিদিন বিভিন্ন গন্তব্যে ভ্রমণ করে থাকেন। তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে করোনা আতঙ্কে যাত্রী কিছুটা কমেছে।

যেহেতু ট্রেনে বিভিন্ন স্থানের লোক একসঙ্গে গাদাগাদি করে যাত্রা করেন, সেক্ষেত্রে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি কিছুটা বেশি।

প‌রিচ্ছন্নতা ও যাত্রী‌দের স‌চেতনতা দেখ‌তে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন সোমবার (১৬ মার্চ) দুপুরে কমলাপুর রেলস্টেশন পরিদর্শন করেন। এ সময় যাত্রীদের সচেতন থাকার পরামর্শ দেন তিনি।

হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত জীবাণুমুক্ত করে স্টেশনের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে যাত্রীদের, ছবি: বার্তা২৪.কম

করোনাভাইরাস নিয়ে রেলের প্রস্তুতির বিষয়ে জানতে চাইলে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোফাজ্জল হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, করোনাভাইরাস শুধু আমাদের দেশেরই সমস্যা নয়, বিশ্বব্যাপী একটি সমস্যা। তাই ট্রেনের যাত্রীদের এ ভাইরাস থেকে নিরাপদে রাখতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করছি। এছাড়া সচেতনতামূলক অডিও ট্রেন ও স্টেশনগুলোর মনিটরে প্রচার করছি। স্টেশনে আসা যাত্রীদের হাত পরিষ্কার রাখার জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজারের পাশাপাশি সাবান ও পানি রাখা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ঢাকার বাইরের স্টেশনগুলোতেও একই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত জীবাণুমুক্ত করে স্টেশনের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে যাত্রীদের, ছবি: বার্তা২৪.কম

এদিকে করোনার কারণে বাংলাদেশ এবং ভারতের যৌথ সিদ্ধান্তে রোববার (১৫ মার্চ) ঢাকা থেকে কলকাতাগামী মৈত্রী এক্সপ্রেস এবং খুলনা থেকে কলকাতাগামী বন্ধন এক্সপ্রেস বন্ধ করা হয়।