‘আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর ছিলেন বঙ্গবন্ধু’

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী: একটি পর্যালোচনা বিষয়ক সেমিনারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী: একটি পর্যালোচনা বিষয়ক সেমিনারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর ছিলেন। বাংলাদেশের সংবিধানের সব আইন তার ঠোঁটস্থ ছিল বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।

রোববার (১৫ মার্চ) ‘বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী: একটি পর্যালোচনা’ বিষয়ক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) এ সেমিনারের আয়োজন করে।

বিজ্ঞাপন

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে মেনে সকলেই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসবেন। প্রথমত, স্বাধীনতা আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জন, আর এটা আমাদের দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু। দ্বিতীয়ত, বঙ্গবন্ধু নিজে বাংলাদেশ নিয়ে স্বপ্ন দেখেছেন এবং সেটি বাঙালি জাতির মধ্যে সঞ্চারিত করতে পেরেছিলেন।

তিনি বলেন, বাঙালি জাতি ভাগ্যবান। কারণ, বঙ্গবন্ধুর মতো একজন মহান নেতাকে পেয়েছিল- পৃথিবীর মধ্যে খুব কম সংখ্যক ব্যক্তি আছেন দেশের জন্য যাদের ত্যাগ এত বেশি। তার জন্যই আমরা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছি। তিনি বাংলাদেশের জন্য যা যা দরকার সবই করেছেন।

ড. মোমেন বলেন, বঙ্গবন্ধু মাত্র ৫৬ বছর জীবিত ছিলেন। তার মধ্যে প্রায় ১৪ বছর জেলে কাটিয়েছেন মানুষের ভোট এবং ভাতের অধিকার আদায়ের জন্য। তিনি ছাত্রজীবন থেকে মানুষের অধিকার আদায়ে সোচ্চার ছিলেন। ছাত্রাবস্থায় ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীদের অধিকার আদায়ের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা লাভের মাত্র দুই মাসের মধ্যে বিদেশি সৈন্যদের দেশে পাঠাতে সক্ষম হয়েছিলেন। জাতির জনক ছিলেন পৃথিবীর বিখ্যাত কূটনৈতিক। পৃথিবীতে খুব কমসংখ্যক দেশ বাংলাদেশের মতো এত কম সময়ে অধিক সংখ্যক দেশের স্বীকৃতি পেয়েছিল। এটা সম্ভব হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে।

সেমিনারে বিআইআইএসএস’র চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত এম ফজলুল করিম বলেন, বিশেষ একদিন বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করা নয়, আমাদের জীবনে প্রতিদিন তাকে স্মরণ করতে হবে। শিক্ষিত ও জ্ঞানীগুণীদের বঙ্গবন্ধুর আর্দশ বাস্তবায়নে এগিয়ে আসা দরকার।

অর্থনীতিবিদ কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, যদি বঙ্গবন্ধুকে যথার্থ সম্মান জানাতে চান তাহলে তার জীবনধারাকে অনুসরণ করেন। ৭ মার্চে ভাষণ দেওয়ার পরই সংগ্রাম শুরু হয়ে গিয়েছিল, তাই একে আমরা মুক্তিযুদ্ধ বলি। কারণ, বঙ্গবন্ধু তার ভাষণে বলেছিলেন, এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। ২৫ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণার পর যদি যুদ্ধ শুরু হলো, একে স্বাধীনতা যুদ্ধ বলা হলো। কিন্তু এটি মুক্তিযুদ্ধ, যা ৭ মার্চের ভাষণের সঙ্গেই শুরু হয়।

সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী বলেন, বাঙালি প্রতিরোধ শিখেছিল বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে। ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ না হলে বাঙালি মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিত না, দেশ স্বাধীন হতো না। বঙ্গবন্ধু অনেক বিষয় চিন্তা করতেন এবং সবকিছুকে সমন্বয় করে সিদ্ধান্ত নিতেন, যা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও দেখা গেছে। বঙ্গবন্ধুকে বুঝতে হলে লাঞ্ছিত-বঞ্চিত মানুষের কথা বুঝতে হবে। বাংলার ইতিহাস বুঝতে হবে।