বিএনপি নেতাদের দল থেকে পদত্যাগ করা উচিত: নাসিম

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম

বিএনপি রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, নেত্রীকে জেলে রেখে যারা দুই বছর ধরে কাকুতি-মিনতি করে তাদের দলীয় পদ থেকে পদত্যাগ করা উচিত।

মঙ্গলবার (১০ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবে স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ আয়োজিত ‘মুজিব মানে বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, বিএনপির মহাসচিব একজন দায়িত্বহীন ব্যক্তি, কারণ সে কিভাবে বলতে পারে বিদেশি অতিথিরা আসবে না তাই মুজিব বর্ষের প্রোগ্রাম বাতিল করা হয়েছে। এটা একটা হাস্যকর ও দায়িত্বহীন বক্তব্য।

বিএনপির যে দায়িত্ববোধ নাই, হীনমন্যতায় ভুগছে, দেউলিয়া হয়ে গেছে তার প্রমাণ মহাসচিব এর বক্তব্য। যেখানে শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানাবেন যে আপনারা দায়িত্ব নিয়ে কাজ করেছেন, প্রোগ্রাম ছোট করেছেন। তা না বলে বলেছে সরকার করোনাকে নাকি চাপা দিয়ে রাখছে। কতখানি ছেলেখেলা, তাদের দায়িত্ববোধ নাই এজন্যই তাদের দলের নেত্রীর মুক্তির জন্য কাকুতি-মিনতি করতে হয়।

পৃথিবীর ইতিহাসে কোনো রাজনৈতিক দলের এমন কাকুতি-মিনতি করার ইতিহাস নাই। আমরা লড়াই, সংগ্রাম করে আমাদের নেত্রীকে মুক্ত করেছিলাম‌।কাকুতি-মিনতি করিনি কখনো। এখনো সময় আছে জনগণের কথা বলেন, শেখ হাসিনাকে সমর্থন করেন।

নাসিম আরও বলেন, শুধু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়নি, চার নেতাকে হত্যা করা হয়নি, ইতিহাসকেও হত্যা করা হয়েছে। ৭ মার্চের ভাষণকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে খালেদা জিয়া ও জিয়াউর রহমানের আমলে।

আজকে করোনাভাইরাস একটি দুঃসময়ে পরিণত করেছে। আমার বিশ্বাস দেশের স্বাস্থ্যখাত ও চিকিৎসকরা অত্যন্ত শক্ত। এই বাংলাদেশে পোলিও, ধনুষ্টংকার, কলেরা এবং যক্ষা মুক্ত হয়েছে। অনেক দুরারোগ্য রোগ ধ্বংস করে দিয়েছি আমরা। সাহস ও ধৈর্য নিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারলে ইনশাল্লাহ আমরা জয়ী হতে পারব।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কতখানি জনবান্ধব দেখেন! একটা বিশাল কর্মসূচি বাতিল করেছে দেশের মানুষের জন্য, দেশের মানুষের ভালোর জন্য।

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী একে এম এনামুল হক শামীম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মীজনুর রহমান, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সভাপতি ডক্টর আবদুল মান্নান চৌধুরী প্রমুখ।