সিঙ্গাপুর থেকে আসা যাত্রীদের ডিপ স্ক্যান

  • মাজেদুল নয়ন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

করোনা ভাইরাস, ছবি: সংগৃহীত

করোনা ভাইরাস, ছবি: সংগৃহীত

একজন প্রবাসী বাংলাদেশি নভেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় ঝুঁকি আরো বেড়েছে। যেহেতু সিঙ্গাপুরে অনেক বাংলাদেশি অবস্থান করছেন এবং ওই আক্রান্ত শ্রমিকের সঙ্গেও বাংলাদেশি অন্য শ্রমিকরা মেলামেশা করেছেন, ফলে সিঙ্গাপুর থেকে আসা ফ্লাইটগুলোর যাত্রীদের ডিপ (গভীর) স্ক্যানের আওতায় আনা হবে এবং নজরদারি বাড়ানো হবে।

রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা সোমবার (ফেব্রুয়ারি ১০) বার্তা২৪.কমকে বলেন, শুধু সিঙ্গাপুর নয়, অন্যান্য দেশ থেকে ফেরা প্রবাসীসহ সব যাত্রীদেরই স্ক্যান করা হচ্ছে। তবে চীনের পরই আমরা সিঙ্গাপুরের বিষয়ে বেশি সতর্ক রয়েছি।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, বিদেশে অবস্থানরত দূতাবাসগুলো প্রথমে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে পরিস্থিতি জানান। এরপর আমরা জানতে পারি। যেহেতু সিঙ্গাপুরে আমাদের অনেক প্রবাসী শ্রমিক রয়েছেন এবং যিনি আক্রান্ত হয়েছেন, তার সঙ্গে বাংলাদেশি প্রবাসীরা মিশেছেন, তাই আমরা বিষয়টি অধিক গুরুত্ব দিচ্ছি। সিঙ্গাপুরের সঙ্গে আমাদের প্রতিদিন কয়েকটি ফ্লাইট রয়েছে। দেশটিতে ধীরে ধীরে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব বাড়ছে। করোনা ভাইরাস যেসব দেশে ছড়িয়েছে, তার মধ্যে সিঙ্গাপুরের সঙ্গে আমাদের সর্ম্পক অনেক বেশি। আমাদের দেশ থেকে অনেকেই বেড়াতেও যান।

সিঙ্গাপুর থেকে আসা ফ্লাইটগুলোর যাত্রীদেরও ডিপ স্ক্যানের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।

এদিন সকালে অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা ও প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এএসএম আলমগীর বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। সভায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতিতে সংবাদ প্রদান ও প্রকাশের ক্ষেত্রে উভয় পেশার পেশাদারিত্বের বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। সভায় এ বিষয়ে উভয় পক্ষ একমত হয় যে সন্দেহভাজন করোনা ভাইরাস আক্রান্ত অথবা পরীক্ষাধীন রোগীদের সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে রোগীর নাম, ঠিকানা ও ছবি গোপন রাখতে হবে। তা না হলে ওই ব্যক্তির ব্যক্তিগত ও সামাজিক গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়, যা চিকিৎসা বিজ্ঞান ও সাংবাদিকতার নৈতিকতার পরিপন্থি।

অধ্যাপক ফ্লোরা সব হাসপাতালে সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য গঠিত কমিটি আরো সক্রিয় করার আহ্বান জানান। পাশাপাশি জনগণকে ব্যক্তিগত সুরক্ষার জন্য পরিচ্ছন্নতার স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার অনুরোধ জানান তিনি।

কোয়ান্টাইনকৃতদের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে আইসোলেশন ইউনিটে রাখা ১১ জন এবং আশাকোনা কোয়ারান্টাইন কেন্দ্রে রাখা উহান ফেরত ৩০১ জন সুস্থ আছেন। গত ৮ ফেব্রুয়ারি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে ২০১৯-এনসিওভি সংক্রমণ সন্দেহে ভর্তি হওয়া চীন ফেরত বাংলাদেশের এক নাগরিকের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। ল্যাবরেটরি পরীক্ষায় তার দেহে ২০১৯-এনসিওভি পাওয়া যায়নি।

যারা সুস্থ আছেন, তাদের মাস্ক পরার দরকার নেই। যারা সর্দি-কাশিতে ভুগছেন শুধু তারাই ঘরের বাইরে বের হলে মাস্ক পরবেন। তবে ঘরে ফেরার আগে ব্যবহৃত মাস্কটি মুখঢাকা বিনে ফেলবেন, যেন কেউ কুড়িয়ে আবার তুলে নিতে না পারে, যোগ করেন তিনি।