ড্রেস কোড বিতর্ক: অভিভাবক ফোরামের নেতা গ্রেফতার

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ড্রেস কোড বিতর্কে কথিত অভিভাবক ফোরামের নেতা জিয়াউল কবির দুলুকে গ্রেফতার করেছে মতিঝিল থানা পুলিশ।

মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ সহকারী প্রধান শিক্ষক (প্রভাতি শাখা) মো. মোফাজ্জল হোসেনের অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) তাকে গ্রেফতার করা হয়।

বিজ্ঞাপন

মতিঝিল থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক (প্রভাতি শাখা) মো. মোফাজ্জল হোসেন কথিত অভিভাবক নেতা জিয়াউল কবির দুলুসহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।

গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক কুমার দাস জানান, মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ড্রেস কোড বিতর্কে প্রতিষ্ঠানটির সহকারী প্রধান শিক্ষকের (প্রভাতি শাখা) অভিযোগের ভিত্তিতে কথিত অভিভাবক ফোরাম নেতা জিয়াউল কবির দুলুকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’

অভিযোগে মো. মোফাজ্জল হোসেন অভিযোগে বলেন, ‘মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ বাংলাদেশের একটি স্বনামধন্য ও ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নামের সহিত দীর্ঘ দিন যাবত শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। গত বছরের ৩ আগস্ট বিদ্যালয়ের গভর্নিং বডির কমিটির সভায় অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীদের ড্রেস কোড আংশিক পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পরবর্তীতে এ সিদ্ধান্তের বিষয়ে আরও কিছু পরিবর্তন এনে ছাত্রদের টুপি এবং ছাত্রীদের স্কার্ফ (ঐচ্ছিক) এনে আরও একটি নোটিশ জারি করা হয়। কারণ, অত্র প্রতিষ্ঠানে হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টানসহ অন্যান্য ধর্মাবলম্বীর ছাত্র-ছাত্রী লেখা পড়া করে।’

তিনি আরও বলেন, ‘গভর্নিং বডির এই সিদ্ধান্তে প্রতিবাদে একটি স্বার্থান্বেষী মহল জামায়াত শিবিরের মতাদর্শ শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং তথাকথিত অভিভাবক ফোরামের চেয়ারম্যান বিবাদী জিয়াউল কবির দুলু তার সহযোগী মোহাম্মদ আহছান উল্লাহ মানিক, গভর্নিং বডির সাবেক সদস্য মো. সওগাতুল আলম শওকত, শ্যামলী আক্তার শিমুসহ কয়েক জন অভিভাবক নামধারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করার জন্য বিভিন্ন ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৮ জানুয়ারি এবং ১৫ জানুয়ারি স্কুলের ভবনের সামনে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত সকাল ৭টা ৩৫ মিনিট থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যানারসহ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করে যাতে প্রতিষ্ঠানের কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের মনে ভীতি সঞ্চালন হয় এবং পড়ালেখায় চরমভাবে বিঘ্ন ঘটে। এছাড়া তারা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তায় দায়িত্বরতদেরও মারধর করে।’