মুজিব বর্ষের আগেই প্রাথমিকের দফতরিদের জাতীয় করণের দাবি

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করেন শ্রমিক নেতা ও আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য এবং সংসদ সদস্য শাজাহান খান

সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করেন শ্রমিক নেতা ও আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য এবং সংসদ সদস্য শাজাহান খান

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী শুরু আগেই সারাদেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দফতরি কাম-নৈশ্য প্রহরীদের চাকরি জাতীয় করণের দাবি জানানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দাবি তুলে ধরতে ঢাকাতে সমাবেশ করেছে দফতরি কাম-নৈশ্য প্রহরীরা।

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর চিড়িয়াখানা রোডের পাশের ঈদগাহ মাঠে সারাদেশ থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দফতরি কাম-নৈশ্য প্রহরীরা উপস্থিত হন। সেখানে সমাবেশ থেকে তারা ঘোষণা দেন আগামী ১৭ মার্চ মুজিব বর্ষ শুরুর আগেই মমতাময়ী প্রধানমন্ত্রীকে আমাদের কথা চিন্তা করে সকল দফতরি কাম-নৈশ্য প্রহরীদের চাকরি জাতীয় করণ করতে হবে। প্রাথমিক বিদ্যালয় দফতরি কাম-নৈশ্য প্রহরীদের সংগঠনের ব্যানারে এই সমাবেশ হয়।

বিজ্ঞাপন
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দফতরি কাম-নৈশ্য প্রহরীদের চাকরি জাতীয় করণের দাবিতে সমাবেশ

সংগঠনের সভাপতি মো. মামুন সরদার বলেন, আমরা দফতরিরা প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করি। স্কুলের যাবতীয় কাজ এই দফতরিরা করে থাকেন। তাই তাদের পরিবারের কথা চিন্তা করে জাতির জনকের কন্যা আমাদের বিষয়টি গুরুত্ব দেবেন এই দাবি করি।

সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করে শ্রমিক নেতা ও আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য এবং সংসদ সদস্য শাজাহান খান বলেন, আমি আপনাদের দাবির সঙ্গে একমত। আপনাদের দাবি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দেব। যেহেতু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই দফতরি কাম-নৈশ্য প্রহরী পদ সৃষ্টি করে আপনাদের কর্মের সুযোগ করে দিয়েছেন, তাই তিনি আপনাদের বিষয়টি বিবেচনা করবেন আশাকরি। আপনারা কোনো রকম বিশৃঙ্খলা না করে নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় দাবি তুলে ধরবেন।

সমাবেশে দেশের সকল জেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দফতরি কাম-নৈশ্য প্রহরীরা উপস্থিত হন। সমাবেশ শেষে তারা সেখান থেকে নিজ নিজ জেলায় কর্মরত স্কুলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। তাদের অনেকেই বলেছেন যেহেতু আগামীকাল রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) স্কুল খোলা তাই আমরা ঢাকাতে অবস্থান না করে স্কুলে ফিরে যাচ্ছি। আমাদের কাছে এই দায়িত্ব অনেক বড়।