'সিটি ভোটে সাংগঠনিক দুর্বলতার বিষয় আছে'

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, ছবি: বার্তা২৪.কম

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, ছবি: বার্তা২৪.কম

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন সিটি ভোটে সাংগঠনিক দুর্বলতার বিষয় আছে। ওয়ার্ড কমিটি পর্যন্ত ঢেলে সাজানো দরকার। আমি সবাইকে বলেছি পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা হোক। ওয়ার্ডে ও সিটিতে সম্মেলন করা দরকার।

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

সেতুমন্ত্রী বলেব, ঢাকার সিটি করপোরেশন নির্বাচনে চট্টগ্রামের ৮ উপ-নির্বাচন থেকেও বেশি ভোট পড়েছে। এখানে ২৭ পার্সেন্ট প্লাস ভোট পড়েছে। পার্সেন্টেজ অনুযায়ী যে ভোট পড়ার কথা ছিল তা পড়েনি। ভোটের রাজনীতিতে অনীহা গণতন্ত্রের জন্য শুভকর নয়।

দুই সিটির ভোটের বিষয়ে মূল্যায়ন জানতে চাইলে তিনি বলেন, মূল্যায়ন করার জন্য আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং কমিটির সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরলে বৈঠক করে ভোট নিয়ে মূল্যায়ন, বিশ্লেষনসহ সবকিছু নিয়ে আমরা আলোচনা করব এমন চিন্তা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন ওভারঅল ভোটের দুর্বলতা নিয়ে দেশের ফিরলেই মিটিং করবেন।

এবার ইভিএমে এত বড় এলাকায় ভোট হয়েছে, আগে বিক্ষিপ্তভাবে কোথাও কোথাও হয়েছে। কিন্তু এত বড় এলাকায় এটা নতুন অভিজ্ঞতা। ফলে কিছু ভুল ত্রুটিও থাকতে পারে। তবে ভোট নিয়ে অনেকের প্রতিক্রিয়ায় জানা গেছে, মানুষ সহজে ভোট দিতে পেরেছে। এত বড় এলাকায় দুই একটি ভুলত্রুটি হয়েছে হয়ত। ভাবনার বিষয় আমাদের এত জনসমর্থন সেখানে আরো বেশি ভোট আশা করেছিলাম। আওয়ামী লীগের ভোটারের যে পার্সেন্টেজ সেজন্য এই ভোট আশান্বিত নয়।

তিনি বলেন, অনেকে দুইদিনের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে চলে গেছেন, পরিবহন সংকট কিছুটা দায়ী এরজন্য। তবুও ভালো নির্বাচন হয়েছে। বর্তমানের ভুলগুলোর পুনরাবৃত্তি ভবিষ্যতে এড়ানো যাবে। আমার মনে হয় বিএনপি ভালো করেছে। বিএনপির পারফরমেন্স বিবেচনা করলে এই ভোটেও তাদের ভোটের সংখ্যা কম নয়। বিরোধীদল হিসাবে তারা ব্যর্থ হয়েছে তা নয়। তবে এটি গণতন্ত্রের জন্য ভালো।

ভোটের হার কম হওয়ার ক্ষেত্রে ভোটারদের ভোটের অনীহা কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভোট কম পড়ার ক্ষেত্রে আগে ভাগে শঙ্কা তৈরি করা, ভোট দেওয়া যাবে না এ মেশিনে এমন সব প্রচারণাও বড় কারণ। ফলে কিছু মানুষের আগ্রহ তো কমতেই পারে। আগে অপপ্রচার অনেক হয়েছে, ইভিএম নিয়ে, সরকারি দল নিয়ে, নির্বাচন নিয়ে, বিএনপি সতর্ক থাকবে, বাইরে থেকে লোক এনেছে, এসব ইনফরমেশন তো ছিলই। তবে ভালো ইলেকশন হয়েছে। ভবিষ্যতে এই ভুলত্রুটি থেকে শিক্ষা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো জনমত তৈরি করতে ভূমিকা রাখবে।