চীন থেকে আসা সবাই ভালো আছেন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী জাহিদ মালেক, ছবি: বার্তা২৪.কম

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী জাহিদ মালেক, ছবি: বার্তা২৪.কম

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, 'প্রায় আড়াই কোটি টাকা ব্যয় করে চীন থেকে ৩১২ জনকে গত পরশুদিন বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয়েছে। যারা এসেছেন সবাই ভালো আছেন। এর মধ্যে যারা অসুস্থ ছিল তাদের কুর্মিটোলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তারাও ভালো আছেন এবং টেস্টের রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে।'

তিনি আরো যুক্ত করে বলেন, 'চায়না থেকে আসা এসব বাংলাদেশিদের আশকোনা হজ ক্যাম্পে নেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি সকল মন্ত্রণালয় আমাদের সাহায্য করছেন।'

বিজ্ঞাপন

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর তোপখানা রোডে বিএমএ ভবনের শহীদ শামসুল আলম খান মিলন সভাকক্ষে করোনা ভাইরাস বিষয়ে সচেতনতা ও করণীয় বিষয়ক বৈজ্ঞানিক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, 'সর্বশেষ ১৭১ জন চায়নায় থাকা বাংলাদেশি দেশে আসার জন্য আবেদন করেছেন। চায়নাতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশে কর্মরত চাইনিজরা নজরদারিতে রয়েছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, 'গত ৮ থেকে ১০ দিনে চায়না থেকে বাংলাদেশে প্রায় পাঁচ হাজার চাইনিজ এসেছেন। যারা বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ করেন। চাইনিজ এসব নাগরিকরা আমাদের নজরদারিতে আছেন।

বাংলাদেশে এখনও করোনা ভাইরাস রোগী পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমাদের দেশে এখন পর্যন্ত এই ধরনের রোগী পাওয়া যায়নি। তবে এজন্য আমাদের সকল ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। রাজধানী এবং রাজধানীর বাইরের হাসপাতালগুলোতে আইসোলেটেড ওয়ার্ড করা হয়েছে।'

সেমিনারে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা তার বক্তব্যে বলেছেন, 'বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত ৩৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তবে কারো মধ্যে এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাস পাওয়া যায়নি।'

বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএমএ চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা.মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও সাবেক ডিন মেডিসিন অনুষদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহসহ আরো অনেকেই।