বাংলাদেশে ঢোকা চীনা নাগরিকরা নজরদারিতে থাকবেন ১৪ দিন

  • নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

চীনের বাইরে ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে করোনা ভাইরাস। এখন পর্যন্ত বিশ্বের কমপক্ষে ১৬টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। এতে বিশ্বজুড়ে ভয়াবহ এক আতঙ্ক বিরাজ করছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশেও চীনা নাগরিকদের ওপর কড়া নজরদারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ইমিগ্রেশন পার হওয়ার আগেই তাদের কাছ থেকে নাম ও ঠিকানাসহ বিস্তারিত তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হবে এবং তিনি নিজে থেকেই দুই সপ্তাহ বাসা থেকে বের হবেন না এই মর্মে অঙ্গীকারপত্রে স্বাক্ষর করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে তার গতিবিধি নজরদারি করা হবে। অঙ্গীকারনামা ভঙ্গ করলে ওই চীনা নাগরিকের বিরুদ্ধে সরকার আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারবে।

নভেল করোনাভাইরাস প্রতিরোধে অধিকতর সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে চীনা নাগরিকদের কাছ থেকে অঙ্গীকারনামা নেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বা মঙ্গলবারের (৪ ফেব্রুয়ারি) মধ্যে অঙ্গীকারনামা সংগ্রহের নতুন নিয়ম চালু হবে। এতে সংক্রমণের ঝুঁকি কমে যাবে। নতুন এই ধারণাটি চীন সরকারের মাধ্যমে জেনেছে বাংলাদেশ সরকার।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে কর্মরত সহকারী পরিচালক ডাক্তার শাহরিয়ার সাজ্জাদ বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে চীনা নাগরিকদের স্বেচ্ছায় দুই সপ্তাহ বাসায় অবস্থানের ব্যাপারে অঙ্গীকারনামা নেয়ার সরকারি সিদ্ধান্তের কথা আমিও শুনেছি। তবে এখনও অঙ্গীকারনামার ছাপানো ফরম হাতে পায়নি। শুনেছি সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ফরম হাতে পাওয়া যাবে। ফরম পেলে আশা করছি নতুন নিয়ম চালু হবে।

জানা গেছে, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন ফ্লাইটে ১২ থেকে ১৩ হাজার যাত্রী প্রবেশ করেন। রোগ তত্ত্ব ও স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞরা বলছেন বর্তমানে করোনাভাইরাস বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এ কারণে শুধু চীন থেকে আসা ৪টি ফ্লাইটই নয়, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সব ফ্লাইটের যাত্রীদের বিশেষ করে চীনা নাগরিকদের ওপর সতর্ক দৃষ্টি রাখা প্রয়োজন।