গোবরের লাকড়ি বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছে কুড়িগ্রামের অনেকে
গরুর গোবরের তৈরি লাকড়ি বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলের অনেক নারী।
এই লাকড়ি তৈরি করা হয় গরুর গোবর, পানি ও পাটকাঠি দিয়ে। এই লাকড়িকে আঞ্চলিক ভাষায় নাড্ডা বলা হয়ে থাকে।
গ্রামাঞ্চলের নিম্নবিত্ত ও দরিদ্র পরিবারগুলো দীর্ঘদিন ধরে জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার করে আসছে গোবরের তৈরি লাকড়ি (নাড্ডা)। অনেকে আবার নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে বিক্রি করছেন।
শুকনো মৌসুম থাকায় গরুর গোবর দিয়ে লাকড়ি (নাড্ডা) তৈরিতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলের নারীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গ্রামাঞ্চলে যুগ যুগ ধরে ব্যবহার হয়ে আসছে গোবরের তৈরি এই লাকড়ি আঞ্চলিক ভাষায় যাকে বলে নাড্ডা। পাঠকাঠির সঙ্গে গোবর লাগিয়ে তৈরি করা হয় এই লাকড়ি। কেউ কেউ আবার নিজেদের জ্বালানির চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত বিক্রি করে পরিবারে অর্থের যোগান দিচ্ছেন। প্রতিটি লাকড়ি (নাড্ডা) বিক্রি করা হয় ১ টাকা দরে।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের সরদার পাড়া এলাকার মেহেরা ও ছকিনা বার্তা২৪.কম-কে বলেন, বছরের শুকনো মৌসুমে এই লাকড়ি (নাড্ডা) তৈরি করা হয়। বাড়ির গরু কিংবা খোলা মাঠ থেকে কাঁচা গোবর সংগ্রহ করে তা দিয়ে তৈরি হয় লাকড়ি। এই লাকড়ি নিজেদের ব্যবহারসহ তা বিক্রি করে সংসারের ব্যয়বহন করে যাচ্ছেন বলে জানান।