রাজধানীর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ মাদক সম্রাজ্ঞী কুলসুম বেগমকে(৩৫) আটক করেছে র্যাপিড একশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
বার্তা২৪.কমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন র্যাব সদরদফতরের মেজর রইসুল ইসলাম মনি।
রাজধানীর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ মাদক সম্রাজ্ঞী কুলসুম বেগমকে(৩৫) আটক করেছে র্যাপিড একশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
বার্তা২৪.কমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন র্যাব সদরদফতরের মেজর রইসুল ইসলাম মনি।
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে প্রধান শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষকের আত্মীয়-স্বজনের হামলায় ১৮ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ার তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার দক্ষিণ ঘনেশ্যাম স্কুল অ্যান্ড কলেজে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে প্রধান শিক্ষক মনির হোসেন তার আত্মীয়-স্বজনসহ দল বল নিয়ে স্কুলে প্রবেশের চেষ্টা করে। এর আগে তার বিরুদ্ধে নিয়োগ-বাণিজ্য দুর্নীতি অনিয়ম অভিযোগ থাকায় এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে অভিযোগ করে তার বহিষ্কার দাবি করেন।
মঙ্গলবার দুপুরে প্রধান শিক্ষক স্কুলে প্রবেশের খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন তাকে বাধা প্রদান করলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এসময় প্রধান শিক্ষকের লোকজন ছাত্র-ছাত্রীসহ স্থানীয় লোকজনের ওপর হামলা করে। এতে প্রায় ১৮ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় দক্ষিণ ঘনেশ্যাম স্কুল অ্যান্ড কলেজের মো. রাসেল ইসলাম নামে এক ছাত্র বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আলী রাজিব মোহাম্মদ নাসির জানান, আহত অবস্থায় হাসপাতালে ১৮ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন,তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে তারা খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে বাড়ি যেতে পারবে।
কালীগঞ্জ উপজেলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) নূর-ই-সিদ্দিকী জানান, প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয় গিয়েছিলেন বলে শুনেছি। তিনি এ বিষয় শোকজ পেয়েছেন। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত চলমান রয়েছে। শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার বিষয়ে অভিযোগ দিলে পুলিশ ব্যবস্থা নেবেন বলেও তিনি জানান।
সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কের লামাকাজী নামকস্থানে এডমিরাল এম.এ খান সেতুতে টোল আদায় বন্ধের দাবিতে সুনামগঞ্জে অনির্দিষ্ট কালের জন্য কর্মবিরতি পালন করছে।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) সকাল থেকে গণপরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের উদ্যােগে কর্মবিরতির পালনের জন্য সকাল ৬টা থেকে সুনামগঞ্জের দূর পাল্লার কোনোও যানচলাচল চলছে না।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সুনামগঞ্জ - সিলেট মহাসড়কের লামাকাজী নামকস্থানে এম.এ খান সেতুতে দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে টোল আদায়ের পর ছাত্র-জনতার দাবির মুখে ৫ আগস্টের সরকার পতনের পরে টোল আদায় বন্ধ হয়। আওয়ামী সরকার পতনের কিছুদিন টোল আদায় বন্ধ থাকার পর সম্প্রতি আবারও টোল আদায় চালু হওয়ায় সিলেট বিভাগীয় কমিশনারকে বিষয়টি অবগত করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে পরও কোনো সুরাহা না হওয়ায় এই কর্ম বিরতির ডাক দিয়েছে বলে জানিয়েছেন নেতৃত্ববৃন্দ।
জেলা বাস- মিনিবাস সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জুয়েল মিয়া বলেন, আজকে থেকে সুনামগঞ্জের সড়কের দূর পাল্লার কোনোও যানবাহন চলাচল করবে না।
রাজধানী লাগোয়া গাজীপুর জেলায় গত দুই যুগে বনভূমি ও জলাশয় কমেছে দুই-তৃতীয়াংশ। উল্টো দিকে বেড়েছে অপরিকল্পিত শিল্পায়ন ও নগরায়ণ। উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে উন্মুক্ত জায়গা। করা হয়েছে বন দখল, ভরাট করা হয়েছে জলাশয় এবং কাটা হয়েছে গাছ।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) ‘পরিবেশদূষণে বিপর্যস্ত গাজীপুর: উত্তরণ উপায়' শীর্ষক আলোচনায় উপস্থাপন করা এক গবেষণা জরিপে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
গাজীপুর পিটিআই অডিটরিয়ামে এই আলোচনা সভা হয়। সেখানে উপস্থাপন করা গবেষণা জরিপটি করছে রিভার অ্যান্ড ডেলটা রিসার্চ সেন্টার (আরডিআরসি)। সহায়তা করেছে বাংলাদেশ রিভার ফাউন্ডেশন (বিআরএফ), বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) এবং প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন।
২০২৩ সালে ওই গবেষণা জরিপ করা হয়। এই গবেষণার কেন্দ্রবিন্দু নদী হলেও এতে পরিবেশের অন্যান্য উপাদানের বর্তমান অবস্থা, ক্রমবিবর্তনের চিত্র উঠে এসেছে।
গবেষণা বলছে, ২০০০ সাল থেকে গত ২৩ বছরে গাজীপুরের পরিবেশের বিরাট পরিবর্তন ঘটেছে। জেলায় ২০১১ সালে মোট জনসংখ্যা ছিল সাড়ে ৩০ লাখের কাছাকাছি; ২০২২ সালে তা এসে ঠেকেছে ৫০ লাখের বেশি। দেশের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ গাজীপুর সিটি করপোরেশন এলাকায় প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৮ হাজার ১২৬ জন বসবাস করছে।
পরিবেশগত সমীক্ষা বলছে, ২০০০ সালে জেলায় মোট জলাভূমির পরিমাণ ছিল ১১ হাজার ৪৬২ হেক্টর বা মোট আয়তনের ৬ দশমিক ৭৩ শতাংশ। ২০২৩ সালে এসে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৫৬৮ হেক্টর বা মোট আয়তনের ৩ দশমিক ২৭ শতাংশ।
একটি জেলার মোট আয়তন অনুযায়ী অন্তত ৭ থেকে ১৪ শতাংশ জলাভূমি থাকতে হয়। সেই হিসাবে পিছিয়ে গাজীপুর। এ ছাড়া জেলায় তুরাগ, বালু, বংশী, শীতলক্ষ্যা, চিলাইসহ নদ-নদীগুলো শিল্পবর্জ্যসহ নানামুখী দূষণের শিকার; যার প্রভাব পড়ছে সার্বিক পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যে।
গবেষণায় বলা হয়েছে, একটি জেলার মোট আয়তন অনুযায়ী ২০ থেকে ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকতে হয় । ২০০০ সালে গাজীপুরে বনভূমির পরিমাণ ছিল ২৩ দশমিক ৪৪ (৩৯ হাজার ৯৪৩ হেক্টর) শতাংশ। ২০২৩ সালে জেলায় বনভূমির পরিমাণ কমে ৯ দশমিক ৪৯ শতাংশে (১৬ হাজার ১৭৪ হেক্টর) নেমে এসেছে।
গাজীপুরে ২০০০ সালে কৃষিজমির পরিমাণ ছিল ১৮ হাজার ২৭০ হেক্টর; ২০২৩ সালে তা বেড়ে হয়েছে ২০ হাজার ৩০৭ হেক্টরে। ২০০০ সালে জেলায় মানুষের বসতি ছিল ৮৫ হাজার ৫৭৩ হেক্টর এলাকায় (আয়তনের ৫০.২১ শতাংশ); ২০২৩ সালে তা বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ১২ হাজার ১৭৯ হেক্টর (আয়তনের ৬৫.৮৩ শতাংশ)।
২০০০ সালে শিল্প এলাকা বিস্তৃত ছিল ৯ হাজার ৭৩৬ হেক্টর জমিতে। ২০২৩ সালে তা বেড়ে হয়েছে ১৪ হাজার ৮৭৭ হেক্টরে। ২০০০ সালে জেলায় খোলা জায়গার পরিমাণ ছিল ৫ হাজার ৪৩৬ হেক্টর; ২০২৩ সালে যা এসে দাঁড়িয়েছে মাত্র ১ হাজার ৩১৬ হেক্টরে।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনিয়ন্ত্রিত শিল্পায়ন এবং নগরায়ণের বিধ্বংসী প্রভাবের কারণে গাজীপুর এখন দেশের পরিবেশগত বিপর্যয়ের প্রতীক হয়ে উঠেছে। এখানে উল্লেখযোগ্য হারে বনভূমি, জলাভূমি দখল করা হচ্ছে। বায়ু ও পানি উভয়ের দূষণের মাত্রা অতি উচ্চ।
আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন বেলার ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী তাসলিমা ইসলাম। সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ রিভার চেয়ারম্যান মনির হোসেন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফিন। জরিপ তথ্য উপস্থাপন করেন আরডিআরসির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এজাজ।
এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশের পর বেলা, বিআরএফ, আরডিআরসি এবং প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে বেশ কিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এরপর আগত বিভিন্ন দফতরের ও পেশার মানুষ তাদের মতামত প্রদান করেন। গাজীপুর জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফিন বলেন, 'বন দখলের অভিযোগ প্রতিদিনই আমরা পাচ্ছি। আলোচনা ও সালিসও করতে হচ্ছে। তবে এসব দখলের বিরুদ্ধে আমাদের প্রত্যেকের প্রতিবাদ-প্রতিরোধ করতে হবে।
বেলার ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী তাসলিমা ইসলাম বলেন, ‘দখল-দূষণ চাইলেও সরকার বা বেলা একা সমাধান করতে পারবে না। আমরা নগরায়ণ চাই, উন্নয়ন চাই; কিন্তু সেই উন্নয়ন চাই না যে উন্নয়ন আমাদের পরিবেশকে দেখে না।
দেশব্যাপী কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পতন ঘটে তৎকালীন সরকারপ্রধান শেখ হাসিনার। তবে আন্দোলন দমিয়ে সরকার পতন ঠেকাতে চালানো হয় হত্যাযজ্ঞ। অনেক প্রাণের বিনিময়ে আন্দোলন ভয়াবহ রূপ নিলে সবশেষ দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দীর্ঘ দুই মাস (জুলাই ও আগস্ট) গণ-অভ্যুত্থানের আন্দোলন চলাকালে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড তদন্তে ঢাকা অবস্থান করছে জাতিসংঘের তথ্যানুসন্ধান দল। নীরবে তদন্ত চালিয়ে তথ্যানুসন্ধানে কাজ চলছে দলটি। এক মাসেরও বেশি সময় পার হলেও এখনো কাজ শেষ করতে পারেনি দলটি।
অনুসন্ধান শেষ করতে আরও দীর্ঘ সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এছাড়াও দলটির তথ্যানুসন্ধান শেষ হলেও পরবর্তীতে আরও একাধিক টিম আসতে পারে বলেও ধারণা তাদের।
বাংলাদেশের জাতিসংঘ অফিসের মুখপাত্র আনাহিতা আহমেদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, তারা জেনেভা থেকে এসেছেন। প্রথমে একটা মিশন এসেছিল, যেটাকে স্কোপি মিশন বলে। তাদের কাজ ছিল কাজের পরিধি, এটা ম্যাপ করে গেছে। এখন যারা এসেছে, তারা মূলত এসেছে তদন্ত করতে। সব তথ্য সংগ্রহ করে সেটা লিপিবদ্ধ করতে। তাদের মধ্যে থেকে কয়েকজন চলে গেছেন আবার, কয়েকজন থাকছেন; কাজের পরিধি এবং ডিম্যান্ড অনুযায়ী তারা আছেন। তারা কতদিন কাজ করবেন, সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না। যেহেতু এখনও তদন্ত চলছে। তদন্তে কেস যত জমা পড়বে অথবা অভিযোগ বা তথ্য যত জমা পড়বে, তার উপর ওপর নির্ভর করছে যে তারা কতদিন থাকবে। এভাবেই কাজ চলছে।
তিনি বলেন, তারা খুব গোপনীয়তা বজায় রেখে কাজ করছেন। যাদের সঙ্গে কাজ করছেন যাদের সম্পর্কে অভিযোগ বা তথ্য পাচ্ছেন তাদের ছাড়া তারা কারোর সাথে কোন যোগাযোগ করছেন না। খুব গোপনীয়তা বজায় রেখে কাজ করছেন, যাতে তারা নিরপেক্ষ থাকতে পারেন এবং তাদের কাজে যেন কোন বাধা না পড়ে।
বর্তমানে কতজনের তদন্ত দল দেশে কাজ করছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেটা আমরা জানি না। আমরা যারা জাতিসংঘের সমন্বয়কারী অফিসে বসি, আমাদের কারোর সাথে তাদের কোন যোগাযোগ নেই।
বর্তমানে তথ্যানুসন্ধানকারী দলের কাজ শেষ হলে অন্য কোন দল আবার আসতে পারে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখানে তথ্যের অনেক লেয়ার আছে। সরকার একটা তথ্য বলছে। সমন্বয়কারীরা আরেকটা তথ্য বলছে। এই তথ্য যাচাইবাছাই করার পর এটা বুঝতে হবে। আপনি যদি বিশ্বের অন্যান্য অনুসন্ধানগুলো দেখে থাকেন, তাহলে দেখবেন কোনকিছুই কিন্তু একটা মিশনে সম্পন্ন হয়নি। সব মিশনেই ভলিউম-১, ভলিউম-২ এভাবে আছে। তাই এটা তাদের কাজের উপর নির্ভর করে। যদি তারা কাজ শেষ করতে পারে, তাহলে একটা মিশনেই হয়ে যাবে। আর যদি কাজ শেষ করতে না পারে, আর তারা যে অনুমান করেছিল তারচেয়ে বেশি অভিযোগ পায়, তাহলে হয়তো তারা আরও মিশন করতে হতে পারে। কবে নাগাদ অনুসন্ধান শেষ হতে পারে সেটার বিষয়েও নির্দিষ্ট কিছু বলা যাচ্ছে না। তারা বলেছেন, আপনারা এই এড্রেসে অভিযোগ জমা দেন, তথ্য জমা দেন। তাদের দেয়া এই তথ্যটা আমাদের একদম প্রত্যন্ত অঞ্চলে গেছে কিনা, বা এখন পর্যন্ত যাচ্ছে কিনা? ঢাকায় বসে একটা মানুষের অভিযোগ বা তথ্য দেয়া যতটা সহজ, একটা প্রত্যন্ত অঞ্চল বা জেলা শহরে বসে কি এতোটা সহজ? সবকিছুই তথ্য সংগ্রহের ওপর নির্ভর করছে।
জাতিসংঘ দলের কর্মপরিধি সম্পর্কে জানা গেছে, তারা ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলোর তদন্ত করবে। ঘটনাগুলোর কারণ (রুট কজ) পর্যালোচনা করবে এবং ন্যায়বিচার ও দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করতে দীর্ঘমেয়াদি কী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে সে সম্পর্কে সুপারিশ করবে।
এর আগে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) থেকে জাতিসংঘের দল তদন্ত শুরু করে। ওই দিন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করে। এর মধ্য দিয়ে প্রতিনিধিদলের কার্যক্রম শুরু হয়।
সে সময় এ বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, জাতিসংঘের তদন্ত দলের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। আমরা চাই তারা নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করুক।
সে সময় সূত্র জানায়, তথ্যানুসন্ধান দল সত্য উদঘাটন, দায়-দায়িত্ব চিহ্নিতকরণ; মানবাধিকার লঙ্ঘনের মূল কারণ বিশ্লেষণ এবং অতীতের মানবাধিকার লঙ্ঘনসমূহ ও তাদের পুনরাবৃত্তি রোধে বাংলাদেশের জন্য সুনির্দিষ্ট সুপারিশ করার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত। তদন্ত দলকে এক মাস ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তা, চিকিৎসা পেশাজীবী এবং ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষাৎকার নেওয়ার কথা ছিল। ঘটনাস্থলে পরিচালিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও উপাত্ত বিশ্লেষণের পর জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস তদন্তের প্রধান ফলাফল, উপসংহার ও সুপারিশসহ একটি বিস্তারিত মানবাধিকার প্রতিবেদন প্রকাশ করবে বলে জানানো হয়েছিল।