মানসিক স্বাস্থ ঝুঁকি মোকাবিলায় বাংলাদেশে ‘ওয়াক টু সেরিনিটি’

  • নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মানসিক স্বাস্থ ঝুঁকি মোকাবিলায় বাংলাদেশে ‘ওয়াক টু সেরিনিটি’

মানসিক স্বাস্থ ঝুঁকি মোকাবিলায় বাংলাদেশে ‘ওয়াক টু সেরিনিটি’

পৃথিবীতে আগামী দিনগুলোর একটি গুরুত্বপূর্ণ মানবিক সংকট হলো মানসিক স্বাস্থ্য ঝুঁকি। এ সংকট মোকাবিলায় এর ব্যাপকতা বুঝতে আমরা এখনও ঠিক পুরোপুরি প্রস্তুত নই। এ সমস্যাকে মাথায়  রেখে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন প্রতিকূলতাকে চিহ্নিত করে তা সমাধানের প্রচেষ্টায় কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক অলাভজনক সামাজিক প্রতিষ্ঠান ‘ওয়াক টু সেরিনিটি’।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) রাজধানীর বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের ইসফেন্দিয়ার জাহেদ হোসেন মিলনায়তনে ‘মাইন্ডসেট ওয়াক, মেন্টাল হেলথ ম্যাটার’ শীর্ষক একটি আলোচনা ও মতবিনিময় সভার মাধ্যমে ‘ওয়াক টু সেরিনিটি’ বাংলাদেশে তাদের যাত্রা শুরু করল।

বিজ্ঞাপন

জনপ্রিয় অভিনেত্রী বন্যা মির্জার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আয়োজক তাবিন্দা শামারুখ খান এবং সবাইকে "ওয়াক টু সেরনিটি" এর লক্ষ্য সম্পর্কে অবহিত করেন। প্যানেল আলোচনার শুরুতে অংশ নেন মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের ড: হেলালউদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন ‘আমাদের শিশু কিশোরদের আমরা এত বেশী নেগেটিভ কথা বলি, দেশকে নিয়ে সমাজকে নিয়ে সবকিছু নিয়ে যে তারা ভালো কিছু ভাবতে শেখে না। তারা দেশের প্রতি নিজের সমাজের প্রতি একধরনের অশ্রদ্ধা, একধরনের শূন্যতা নিয়ে বেড়ে উঠে।”

আলোচনায় আরো যোগ দেন বাংলাদেশের প্রথম এন্টি সুইসাইড হেল্পলাইন ‘কান পেতে রই’-এর রুবিনা জাহান, মনোবিদ মেখলা সরকার, রূপ বিশেষজ্ঞ কানিজ আলমাস খান, অভিনয় শিল্পী ভাবনা, রুহী, মৌটুসী বিশ্বাস।

এছাড়াও বাংলাদেশে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে কাজ করছেন এমন বিশেষজ্ঞ, বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারি সেবা সংস্থার প্রতিনিধি, সমাজের বিভিন্ন পেশার মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে আগ্রহী ও উদ্যোগী মানুষ, এবং মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এ আয়োজনে যোগ দেন।

‘ওয়াক টু সেরিনিটি’র আহবায়ক মোঃ আরিফুল ইসলাম সমাপনী বক্তব্যে বলেন, “আমরা প্রতিযোগিতার মনোভাব নিয়ে আসিনি এসেছি সবাইকে নিয়ে বাংলাদেশ ও বিশ্ব ব্যাপী মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে প্রচলিত সামাজিক সংস্কারগুলো ভাঙতে। মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যাগুলো সমাধানে একযোগে কাজ করতে। সে লক্ষ্যে এমন একটি বৃহৎ গোষ্ঠি তৈরি করতে চাই যার মাধ্যমে পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময়ের পরিপ্রেক্ষিতে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার গুরুত্বকে বুঝতে পারব আর এই গুরুতর সংকট মোকাবেলায় নিজেদের প্রস্তুত করতে পারব।”