এসএসসি পরীক্ষা চলাকালে কোচিং বন্ধ থাকবে: শিক্ষামন্ত্রী

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি

সেকেন্ডারি স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি), দাখিল ও সমমানের পরীক্ষা ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে যাচ্ছে। এ কারণে আগামী ২৫ জানুয়ারি থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সচিবালয়ে এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষা উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ নির্দেশ দেন।

বিজ্ঞাপন

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এবছর এসএসসি, দাখিল ও ভোকেশনাল পরীক্ষায় সারাদেশে ২০ লাখ ৪৭ হাজার ৭৭৯ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে। এর মধ্যে ছাত্র ১০ লাখ ২৪ হাজার ৩৬৩ জন এবং ছাত্রী ১০ লাখ ২৩ হাজার ৪১৬ জন।

তিনি আরও বলেন, ‘আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে সারা দেশে সৃজনশীল প্রশ্নপত্রে এসএসসি, দাখিল ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এবছর সারাদেশে মোট ৩৫১২টি কেন্দ্রের ২৮ হাজার ৮৮৪ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে এ পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা অংশ নিচ্ছে। এসএসসি পরীক্ষায় নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে ছাত্রের তুলনায় এবছর ৫১ হাজার ৪০৪ জন ছাত্রী বেশি অংশ নিচ্ছে। দাখিল পরীক্ষায় ছাত্রের তুলনায় ১২ হাজার ৯৮৭ জন ছাত্রী বেশি অংশ নেবে।’

দীপু মনি বলেন, ‘২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে মোট পরীক্ষার্থী কমেছে ৮৭ হাজার ৫৫৪ জন। এর মধ্যে ছাত্র কমেছে ৪৬ হাজার ৮৭ জন এবং ছাত্রী কমেছে ৪৮ হাজার ৪৮৬ জন। এবছর প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ২০২টি এবং কেন্দ্রের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ১৫টি। মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে নিয়মিত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৬ লাখ ৮১ হাজার ৬৮৮ জন, অনিয়মিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩ লাখ ৭১ হাজার ৩২৫ জন এবং বিশেষ পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২ লাখ ৮২ হাজার ৫৯৪ জন। এছাড়া এবছর বিজ্ঞান বিভাগে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৫ লাখ ৫ হাজার ২৬ জন যা ২০১৯ সালে ছিল ৫ লাখ ৪১ হাজার ৩৫৩ জন।’

পরীক্ষার্থীর সংখ্যা গত বছরের তুলনায় এবছর ৮৭ হাজার কম, এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘জেএসসি পরীক্ষায় এর আগের বছর উত্তীর্ণের হার কম ছিল, আর যারা জেএসসিতে উত্তীর্ণ হয়েছে তারাই শুধুমাত্র এসএসসিতে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়। এজন্য এবার পরীক্ষার্থী কিছুটা কম। এছাড়া আপনারা জানেন এসএসসির টেস্ট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হলে মূল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ থাকে না, এ বিষয়টি এখানে উল্লেখযোগ্য।’

শুধুমাত্র এসএসসি পরীক্ষার জন্য দেশের সব ধরনের কোচিং বন্ধ রাখার যৌক্তিকতা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সব ধরনের কোচিং একই ছাদের নিচে অর্থাৎ একসঙ্গে পরিচালিত হওয়ায় আমরা বাধ্য হয়ে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এছাড়া কোচিং বন্ধ হওয়ার কারণ হলো কিছু অসাধু প্রতিষ্ঠান তারা কোচিংয়ের অন্তরালে প্রশ্নফাঁসসহ নকল সরবরাহ করা পর্যন্ত নানারকম অপকর্মের সঙ্গে জড়িত বলে প্রমাণিত হয়েছে। এ কারণে আমরা এ ধরনের পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছি।’

আসন্ন এসএসসি, দাখিল ও সমমানের পরীক্ষা যথাযথভাবে অনুষ্ঠানের জন্য শিক্ষক, ছাত্র, অভিভাবক ও গণমাধ্যমের সহযোগিতা চান শিক্ষামন্ত্রী।