এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগী ও মৃতের সংখ্যা দিনদিন বেড়েই চলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে চলতি বছর মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৪ জনে। এছাড়া গত একদিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন আরও এক হাজার ১৩৮ জন। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৩ হাজার ১৯৬ জনে।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া সাতজনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২ জন, খুলনা বিভাগে ১ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১ জন এবং বরিশাল বিভাগে ৩ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তদের মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ২৫২ জন ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন ১৮৬ জন। এর বাইরে (সিটি করপোরেশন বাদে) ঢাকা বিভাগে ১৯৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৫৪ জন, খুলনা বিভাগে ১০৪ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩৭ জন, বরিশাল বিভাগে ১০৪ জন, রংপুরে ৩১ জন, রাজশাহী বিভাগে ৬৬ জন ও সিলেট বিভাগে ৫ জন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এদিকে গত এক দিনে সারাদেশে ১১৩৮ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ছাড়পত্র পেয়েছেন ৪৯ হাজার ১০১ জন।
২০২৩ সালের জুন মাস থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। গেল বছর দেশে তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। অপরদিকে এক হাজার ৭০৫ জন মশাবাহিত এই রোগে মারা গেছেন। যা দেশের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড।
এর আগে ২০১৯ সালে দেশব্যাপী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন। ওই সময় চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গুর সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। ওই বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
এছাড়া ২০২২ সালে ডেঙ্গু নিয়ে মোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ওই বছর মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে ২৮১ জন মারা যান।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টায় বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুকের দেওয়া ঘূর্ণিঝড়ের ৫ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আজ সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৫০ কিমি দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৯৫ কিমি দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৫৮৫ কিমি দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৫৫ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিমি এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিমি, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘন্টায় ৮৮ কিমি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
এর ফলে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
জাপান বাংলাদেশ সরকার এবং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার সাথে তহবিল সহায়তা ও অন্যান্য সহযোগিতার মাধ্যমে কক্সবাজারে বিভিন্ন ক্যাম্পে বন্যা কবলিত রোহিঙ্গাদের সহায়তা দেয়া অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছেন দেশটির রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) ঢাকাস্থ জাপান দূতাবাসের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনকালে তিনি বলেছেন, “ভয়াবহ বন্যায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখনও (রোহিঙ্গা) শরণার্থী শিবিরের মানুষের জীবনে শারীরিক ও মানসিকভাবে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।”
রাষ্ট্রদূত এ পরিদর্শনকালে বাংলাদেশ সরকার, জাতিসংঘ সংস্থা এবং এনজিওগুলির মাধ্যমে কিভাবে জাপান সরকারের দেয়া সহায়তা তহবিল এসব ক্যাম্পে সর্বোত্তম উপায়ে ব্যবহার করা হচ্ছে তা প্রত্যক্ষ করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এটি আমার ষষ্ঠ সফর এবং এবার আমি গত ১৭ আগস্ট ভারী বর্ষণের কারণে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ক্যাম্পগুলোর বর্তমান পরিস্থিতি প্রত্যক্ষ করেছি।
ইওয়ামা উখিয়া বিশেষায়িত হাসপাতাল, সেভ দ্য চিলড্রেন সাইট এবং ইউএনএইচসিআর ওয়াশ (পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন) প্রকল্পের সাইটগুলিও পরিদর্শন করেছেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, “উখিয়া বিশেষায়িত হাসপাতালের ইনপেশেন্ট বিভাগের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পেরে আমি সম্মানিত এবং আমি আশা করি এই নতুন উদ্বোধন রোহিঙ্গা শরণার্থী ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার উন্নতি ঘটাবে।”
রাষ্ট্রদূত টেকনাফে আয়োজিত স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সঙ্গে আলোচনা ও মতবিনিময় করেন। এছাড়া, তিনি শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) এবং আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
২০১৭ সালের আগস্ট মাসে ব্যাপক রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের পর থেকে, জাপান বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও এনজিওগুলির মাধ্যমে কক্সবাজারের পাশাপাশি ভাসানচরে বিভিন্ন হস্তক্ষেপে ২২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি অবদান রেখেছে।
এসব সহায়তার মধ্যে রয়েছে খাদ্য সহায়তা, স্বাস্থ্যসেবা, ওয়াশ, আশ্রয়, সুরক্ষা এবং নারীদের মূলধারায় অন্তর্ভুক্ত করা।
এছাড়াও, জাপান গত ১৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর) এবং জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ)-কে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ বাংলাদেশের উত্তর ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে আকস্মিক বন্যা কবলিত এলাকায় ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গা সঙ্কট সপ্তম বছরে পরেছে। এ পর্যায়ে বিশ্ব সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করা অপরিহার্য, যখন বিশ্বের বিভিন্ন অংশে একাধিক জরুরি অবস্থা বিরাজ করছে।
এতে আরো বলা হয়েছে, জাপান রোহিঙ্গা ইস্যু সমাধানে কাজ চালিয়ে যাবে।
সূত্র: বাসস
ফেনী সবজির আড়তে পাইকারিতে পটলের কেজি ৪০ টাকা, খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা। বেগুন পাইকারিতে ৫৫ টাকা, খুচরা বাজারে ১০০ টাকা। আড়ত ও খুচরা বাজার ঘুরে দামের এমন বিস্তর ফারাক দেখা গেছে।
আড়ত থেকে খুচরা বাজারের দূরত্ব আধা কিলোমিটার হলেও পরিবহন খরচ ও অন্যান্য ব্যয় দেখিয়ে পাইকারি দর থেকে দ্বিগুণ বা তার বেশি বাড়িয়ে মনগড়া দামে বিক্রি করা হয় খুচরা বাজারে।
পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাইকারি দর থেকে পণ্যভেদে সর্বোচ্চ ১০ থেকে ১৫ টাকা কিংবা ক্ষেত্রবিশেষে ২০ টাকা লাভে বিক্রি করার কথা থাকলেও অনেক খুচরা ব্যবসায়ী দুপুরে কম দামে আড়ত থেকে কিনে বেশি দামে বিক্রি করে। তবে খুচরা ব্যবসায়ীদের দাবি কেবল খুচরা বাজারে মনগড়া দামই একমাত্র সমস্যা নয়, আড়তে সবজির ওজনে হেরফেরও সবজির দাম বৃদ্ধির একটি কারণ।
আড়তদার ও খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ফেনী তরকারি আড়ত থেকে আধা কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত ফেনী বড় বাজার, পৌর হকার্স মার্কেটে পাইকারি থেকে খুচরা পর্যায়ে দ্বিগুণ কিংবা তার বেশি দামে বিক্রি করা হয় পণ্যগুলো। দামের এ অস্বাভাবিক পার্থক্য প্রায় সব ধরনের শাক সবজিতে।
পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, আড়তে ট্রাকে করে বেপারীরা পণ্য নিয়ে আসে। বেপারীরা যে দর ঠিক করে দেয় সে অনুযায়ী বিক্রি করতে হয়। এতে ১০০ টাকায় সাড়ে ৫ টাকা কমিশন পাওয়া যায়। তবে যে দাম কৃষকরা দেয় তার থেকে অল্প লাভে পাইকারিতে বিক্রি করা হয়। খুচরা পর্যায়ে সর্বোচ্চ ১০ টাকা কিংবা ক্ষেত্রবিশেষে কিছু কিছু পণ্য ২০ টাকা লাভ করার কথা।
খুচরা বাজারে দামের তারতম্যের বিষয়ে জানতে চাইলে খুচরা ব্যবসায়ীরা বলেন, সবজি পাইকারি বাজার থেকে খুচরা বাজারে আনতে গাড়িভাড়া, লেবার খরচ, পলিথিনের ব্যাগ কেনার খরচ, জায়গা ভাড়া, বিদ্যুৎ বিলসহ আরও অনেক খরচ থাকে। এসব খরচ তুলে লাভ করতে হলে বেশি দামে বিক্রি করা ছাড়া উপায় নাই।
এ ব্যাপারে আব্দুর রহিম নামে ফেনী বড় বাজারের একজন খুচরা ব্যবসায়ী বলেন, ৩০ টাকা দিয়ে কিনলে প্রতি কেজিতে ৩ টাকা খরচ করতে হয়। বিক্রির সময় অনেক ক্রেতা খুচরা টাকা কম দেয়, বস্তা কিনলে তার মধ্যে ৫ থেকে ৭ কেজি নষ্ট থাকে। গাড়িভাড়া, লেবার খরচ সব মিলিয়ে হিসাব করেই দাম নির্ধারণ করতে হয়। যার জন্য দাম পাইকার বাজার থেকে বেশি রাখতে হয়।
এ বিষয়ে ফেনী পৌর তরকারি আড়তের শাহজাহান বাণিজালয়ের সত্ত্বাধিকারী শাহজাহান ওমর বলেন, খুচরা পর্যায়ে দোকনদাররা পাইকারি দাম থেকে সর্বোচ্চ ২০ টাকা বিক্রি করতে পারে। সবজির দাম বেপারী যে দর দিয়ে যায় সকাল ১০টা পর্যন্ত একদরে বিক্রি হয়, দুপুরে একদর বিকালে অন্যদরে বিক্রি হয়।কারণ এটি পচনশীল হওয়ায় ধরে রাখা যায় না।
ফেনী পৌর তরকারি আড়ত ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবু জাফর বলেন, আড়তে প্রতিদিন ১ থেকে দেড় কোটি টাকার বেচাবিক্রি হয়। যা থেকে ব্যবসায়ীদের সর্বোচ্চ ২০ হাজার, সর্বনিম্ন ৫ হাজার লাভ হয়। বেপারীদের থেকে নগদ টাকায় সবজি কিনতে হয়। আড়তে কোন পণ্য ধরে রাখা যায় না, কম দামে হলেও ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে খুচরা বাজারে মনিটরিং বেশি প্রয়োজন যাতে ১০ টাকার বেশি লাভ না করতে পারে।
এ বিষয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. কাওছার মিয়া বলেন, কাঁচাপণ্যর বাজার দর নিয়ন্ত্রণ করে কৃষি বিপণন অফিস। জেলা মার্কেটিং অফিসার যা তদারকি করেন। শাক-সবজির ক্ষেত্রে ভোক্তা অধিকার আইনে ধারা অনেক কম। তবে অনেক বাজারে সকাল বেলা ভালো মানের পণ্য কিনে আনে যারা একটু বেশি দামে বিক্রি করে তবে অর্ধেকের বেশি দামে বিক্রি করা আইনগত ভাবে অপরাধ।
তিনি বলেন, কম দামে কিনলে কমে বিক্রি করতে হবে। তবে কাঁচা পণ্য পচনশীল হওয়াতে এ ব্যবসার সাথে জড়িতরা লাভ ও বেশি করতে পারে আবার কোন কারণে গাড়ি সময়মত না পৌঁছালে অনেক লোকসান গুণতে হয় তাদের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পাইকারিতে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ৩০০ টাকায় ,খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩৪০-৩৫০ টাকায়। তবে পাইকারি বাজারে এলসি মরিচ (পচনশীল) বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। খুচরা ব্যবসায়ীরা দুইটি একসাথ করে দাম বাড়িয়ে বিক্রি করে এমন তথ্য জানিয়েছেন একাধিক পাইকারি ব্যবসায়ী।
অন্যান্য সবজির ক্ষেত্রে পটল পাইকারিতে ৩০ টাকা, খুচরা বাজারে ৭০ টাকা, পেঁপে পাইকারিতে ১৫ টাকা খুচরা বাজারে ৩৫ টাকা, লতি ও কচুর চড়া পাইকারিতে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা বিক্রি করলেও খুচরা বাজারে তা ৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। বেগুন পাইকারিতে ৫৫ টাকা খুচরা বাজারে ১০০ টাকা, টমেটো পাইকারিতে ১৫০ টাকা খুচরা বাজারে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা, আলু পাইকারিতে ৪৭ টাকা খুচরা বাজারে ৫৫ টাকা, লেবু প্রতি পিচ পাইকারিতে ৫ টাকা খুচরায় ১০ টাকা, আকরি পাইকারিতে ৬০ টাকা খুচরায় ১০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও পাইকারিতে মুলা ৫০ টাকা, ফুলকপি ১০০ টাকা, কাঁচা কলা ৫০ টাকা, সিম ১৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৬০ টাকা, ধনিয়াপাতা ৪০০ টাকা, পেঁয়াজ ১০৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা পাইকারি বাজার থেকে প্রায় দ্বিগুণ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছিল।