এক বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় ৭৮৫৫ জনের প্রাণহানি

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম (ফাইল ফটো)

ছবি: বার্তা২৪.কম (ফাইল ফটো)

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১৯ সালে সড়কে ৫৫১৬ দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ৭৮৫৫ জন এবং আহত হয়েছে ১৩৩৩০ জন।

শনিবার (১১ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির মহাসচিব মোঃ মোজাম্মেল হক চৌধুরী এই প্রতিবেদন তুলে ধরেন।

বিজ্ঞাপন

প্রতিবেদন তুলে ধরে তিনি বলেন, দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌ দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। ২০১৯ সালে সড়ক দুর্ঘটনার পরিমাণ ২০১৮ সালের সমপরিমাণ হলেও প্রাণহানি ৮.০৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া রেলপথে ৪৮২টি দুর্ঘটনায় ৪৬৯ জন নিহত, ৭০৬ জন আহত হয়েছে। নৌ-পথে ২০৩টি দুর্ঘটনায় ২১৯ জন নিহত, ২৮২ জন আহত এবং ৩৭৫ জন নিখোঁজ হয়। সড়ক, রেল, নৌ-পথে সর্বমোট ৬২০১টি দুর্ঘটনায় ৮৫৪৩ জন নিহত এবং ১৪৩১৮ জন আহত হয়েছে।

দুর্ঘটনার কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালনা, বিপদজনক ওভারটেকিং, রাস্তা-ঘাটের ক্রটি, ফিটনেস বিহীন যানবাহন, যাত্রী ও পথচারীদের অসতর্কতা, চালকের অদক্ষতা, চলন্ত অবস্থায় মোবাইল বা হেড ফোন ব্যবহার, মাদক সেবন করে যানবাহন চালানো, রেলক্রসিং ও মহাসড়কে হঠাৎ ফিডার রোড থেকে যানবাহন উঠে আসা, রাস্তায় ফুটপাত না থাকা বা ফুটপাত বেদখলে থাকা, ট্রাফিক আইনের দুর্বল প্রয়োগ এবং ছোট যানবাহন বৃদ্ধি হওয়ায় এসব দুর্ঘটনা ঘটেছে।

এসময় তিনি সড়ক দুর্ঘটনা রোধে করণীয় কিছু দিক তুলে ধরেন। সুপারিশগুলো হলো- ডিজিটাল পদ্ধতিতে সি সি ক্যামেরা স্থাপন করে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা, টিভি চ্যানেল ও সংবাদপত্র সমূহে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ব্যাপক প্রচারের ব্যবস্থা করা, জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশ থেকে হাট-বাজার অপসারণ করা, ফুটপাত বেদখল মুক্ত করা, দেশের সড়ক-মহাসড়কে রোড সাইন (ট্রাফিক চিহ্ন) স্থাপন ও জেব্রাক্রসিং অংকন করা, গণপরিবহন চালকদের প্রফেশনাল ট্রেনিং ও নৈতিক শিক্ষার ব্যবস্থা করা, এবং সড়কে চাদাঁবাজি বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

ড্রাইভার ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান নুরনবী শিমু, বিশিষ্ট সাংবাদিক আবু সাঈদ খান, এফ বি সিসি আইয়ের পরিচালক আব্দুল হক প্রমুখ।