জীবনীশক্তি সঞ্চার করার লক্ষ্যেই মুজিববর্ষ: প্রধানমন্ত্রী

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা/ছবি: পিআইডি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা/ছবি: পিআইডি

কেবল আনুষ্ঠানিকতা করতে নয়, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী সামনে রেখে জাতির জীবনে নতুন জীবনীশক্তি সঞ্চার করার লক্ষ্যেই মুজিববর্ষ উদযাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বর্তমান সরকারের একবছর পূর্তি উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, মুজিববর্ষ উদযাপন শুধু আনুষ্ঠানিকতা সর্বস্ব নয়, এই উদযাপনের লক্ষ্য জাতির জীবনে নতুন জীবনীশক্তি সঞ্চারিত করা; স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর প্রাক্কালে জাতিকে নতুন মন্ত্রে দীক্ষিত করে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পথে আরও একধাপ এগিয়ে যাওয়া।


ভাষণের শুরুতেই দেশবাসীকে খ্রিষ্টীয় নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে গত বছরের ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ পঁচাত্তর-পরবর্তী সময়ে চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করে। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমার চতুর্থবার শপথ নেওয়ার একবছর পূর্তি উপলক্ষে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি আজ।

শুরুতেই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করেন শেখ হাসিনা। তিনি জাতীয় চার নেতা এবং মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহিদ এবং নির্যাতিত দুই লাখ নারীর প্রতি শ্রদ্ধা জানান। সালাম জানান মুক্তিযোদ্ধাদের। তিনি আরও স্মরণ করেন পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের কালরাতে হত্যার শিকার বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যসহ অন্যদের। আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক ও গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর প্রতিও গভীর শ্রদ্ধা জানান তিনি।

এছাড়া ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় প্রাণ হারানো আওয়ামী লীগ নেতা আইভী রহমান, হামলায় নিহত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন সময়ে হত্যার শিকার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদেরও স্মরণ করেন তিনি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সরকার গঠনের পর রাজনীতিবিদ, জনপ্রতিনিধিসহ যেসব বিশিষ্ট ব্যক্তি মারা গেছেন, তাদেরও গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২০ খ্রিষ্টাব্দ আমাদের জাতীয় জীবনে এক বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বছর। এ বছর উদযাপিত হতে যাচ্ছে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী। আগামী ১৭ মার্চ বর্ণাঢ্য উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বছরব্যাপী অনুষ্ঠানমালার শুভ সূচনা হবে। আমরা এরই মধ্যে ২০২০-২১ সালকে মুজিববর্ষ হিসেবে ঘোষণা করেছি। ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের অনুষ্ঠানমালা যুগপৎভাবে চলতে থাকবে। এই উদযাপন শুধু আনুষ্ঠানিকতা-সর্বস্ব নয়, এই উদযাপনের লক্ষ্য জাতির জীবনে নতুন জীবনীশক্তি সঞ্চারিত করা; স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর প্রাক্কালে জাতিকে নতুন মন্ত্রে দীক্ষিত করে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পথে আরও একধাপ এগিয়ে যাওয়া।

আরও পড়ুন: জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ সুপরিচিত নাম: প্রধানমন্ত্রী

আ.লীগ মুখরোচক প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাসী নয়: প্রধানমন্ত্রী

দশ বছরে দেশের বিরাট পরিবর্তন এসেছে: প্রধানমন্ত্রী

‘ছোটোখাটো অভিঘাত বাংলাদেশের অগ্রগতিতে বাধা হবে না’

উদ্বোধনের দিনই পদ্মা সেতু দিয়ে ট্রেন চলবে: প্রধানমন্ত্রী

‘শতভাগ সফল হয়েছি দাবি করব না, চেষ্টার ত্রুটি ছিল না’