১ শতাংশ ভোটারের ভোট থাকবে কর্মকর্তার হাতে

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের জন্য ইভিএম প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। ছবি: বার্তা২৪.কম

আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের জন্য ইভিএম প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। ছবি: বার্তা২৪.কম

সার্ভারে থাকা ঢাকার ১ শতাংশ ভোটারের আঙুলের ছাপ অস্পষ্ট। তাই ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) এই ১ শতাংশ ভোটারের ভোট দেয়ার ক্ষমতা পাবেন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা।

সোমবার (৬ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টায় ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি নির্বাচন উপলক্ষে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের জন্য ইভিএম প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। এ সময় ইভিএম প্রকল্পের আইটি সিস্টেম কনসালটেন্ট এ এইচ এম আবদুর রহিম খান এ তথ্য জানান।

বিজ্ঞাপন

ইভিএমে ভোট দিতে হলে ভোটারের আঙুলের ছাপ মিলতে হয়। তা না হলে যন্ত্রটির কন্ট্রোল ইউনিট খোলে না। বিভিন্ন কারণে অনেক ভোটারের আঙুলের ছাপ মুছে যায়। তাই যাদের আঙুলের ছাপ মিলবে না তাদের ভোট দেয়ার সুযোগ রাখার জন্য সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তার হাতে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক ভোটের কন্ট্রোল ইউনিট খোলার ক্ষমতা দেয়া থাকে।

এ বিষয়ে আবদুর রহিম খান জানান, ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে ১ শতাংশ ভোট সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তার হাতে থাকবে। ভোটের দিন প্রয়োজন হলে এই হার বাড়াতে পারবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি)। এক্ষেত্রে একটি কোড রিটার্নিং কর্মকর্তার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ভোটকেন্দ্রের সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তার কাছে পাঠাবেন।

ব্যালট ইউনিটে আঙুলের ছাপের ব্যবস্থা নেই, এতে করে কারচুপি হতে পারে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ভোটের শেষ ধাপ ব্যালটেও আঙুলের ছাপ রাখার জন্য আপনারা বলছেন। কিন্তু সেখানে যদি কেউ পিস্তল ঠেকিয়ে বলে এখানে ফিঙ্গার দিয়ে যাও, তখনো তো কিছু করার থাকবে না। এটা আসলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ইস্যু।’

সাংবাদিকদের অন্যান্য প্রশ্নের জবাবে ইভিএম প্রকল্প পরিচালক কর্নেল মো. কামাল উদ্দিন বলেন, ইভিএমে একটি কন্ট্রোল ইউনিট, ব্যালট ইউনিট ও মনিটর থাকে। এই যন্ত্রের প্রোগ্রামিং অনেক আগেই করা হয় এবং কোন কেন্দ্রে কোন ইভিএম যাবে, সেটা কেউ জানে না। সুতরাং আগে থেকেই কোনো নির্দিষ্ট ভোটকেন্দ্রের জন্য প্রোগ্রামিং পরিবর্তন করার সুযোগ নেই। এটি বাংলাদেশেই তৈরি। মেয়াদ ১০ বছর। আর প্রতিটি মেশিন তৈরির জন্য ২ লাখ ৬ হাজার টাকার মতো ব্যয় হয়েছে।

ইভিএম প্রদর্শনীতে জানানো হয়, ইভিএম চালুর আগে সব এজেন্টদের এটি দেখানোর বিধান রাখা হয়েছে। ইভিএম মেশিনের সফটওয়্যার একবারই ইনস্টল করা হয়েছে। এসব সফটওয়্যার কারচুপি করা যাবে না। এছাড়া নির্বাচনের ফলাফল নির্দিষ্ট কার্ডে সংরক্ষিত থাকবে। ভোটের পরও ওই কার্ডের ফল দেখা যাবে।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইভিএম প্রকল্পের আইটি ইনচার্জ মেজর মো. মাজহারুল ইসলাম, সিস্টেম ম্যানেজার ফারজানা আখতার প্রমুখ।