নাটক করেও রক্ষা হয়নি কামরুজ্জামানের সরকারি প্লট

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

আরডিএ ভবন

আরডিএ ভবন

রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (আরডিএ) সহকারী প্রকৌশলী শেখ কামরুজ্জামান। নগরীতে রয়েছে তার নিজ মালিকানার জমি। তাতে গড়ে তুলেছেন বিলাসবহুল চারতলা ভবন। অথচ ভাড়া বাসায় থাকেন- এমন মিথ্যা তথ্য দেখিয়ে ২০০৮ সালে রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (আরডিএ) কাছ থেকে চার কাঠার একটি প্লট বরাদ্দ নেন তিনি।

সম্প্রতি এ নিয়ে রাজশাহী সমন্বিত জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগ জমা পড়ে। দুদক অভিযোগ তদন্ত শুরু করলে নিজ বাড়ি বিক্রির নাটকও করেন প্রকৌশলী কামরুজ্জামান। তবে তাতে শেষ রক্ষা হয়নি। দুদকের তদন্তে তথ্য গোপন করে সরকারি প্লট বরাদ্দ নেওয়ার সত্যতা ওঠে এসেছে।

বিজ্ঞাপন

ফলে আরডিএ প্রকৌশলী শেখ কামরুজ্জামানের নামে বরাদ্দকৃত সরকারি প্লটটি বাতিল করা হয়েছে। দ্রুত এ ব্যাপারে আরডিএ চেয়ারম্যানকে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশও দিয়েছেন দুদক কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী সমন্বিত জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক (ডিডি) জাহাঙ্গীর আলম।

জাহাঙ্গীর আলম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আরডিএর তৎকালীন সহকারী প্রকৌশলী শেখ কামরুজ্জামানের রাজশাহী নগরীর অভ্যন্তরে নিজস্ব জমি ও বাড়ি থাকার পরও মিথ্যা তথ্য দিয়ে সরকারি প্লট বরাদ্দ নিয়েছিলেন। যা আরডিএ’র প্লট বরাদ্দের নীতিমালার সম্পূর্ণ পরিপন্থী।

তিনি বলেন, চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে এই বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ আসে। দুদক বিষয়টি তদন্ত শুরু করে। বিষয়টি টের পেয়ে তদন্ত চলাকালে নিজ মালিকানার বাড়িটি বিক্রি করে দেন প্রকৌশলী কামরুজ্জামান। তবে সেটি চুক্তিভিত্তিক বিক্রি। এটিকে এক ধরনের চালাকি বলা যায়। যা দুদকের তদেন্ত স্পষ্ট হয়েছে। তদন্তে প্লট বরাদ্দ পাওয়ার সময় অর্থাৎ ২০০৮ সালে তার নিজ জমি ও বাড়ি থাকার বিষয়টি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়।

এদিকে, তদন্তে অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত হওয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশনের সচিব দিলোয়ার বখত গত ২৬ ডিসেম্বর আরডিএর চেয়ারম্যানকে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেন। একই সঙ্গে এ বিষয়ে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে, তা এক সপ্তাহের মধ্যে দুদককে অবহিত করার নির্দেশ দেন। দুদকের সুপারিশের ভিত্তিতে আরডিএর চেয়ারম্যান ২৯ ডিসেম্বর শেখ কামরুজ্জামানের প্লটটি বাতিল করার চিঠি ইস্যু করেন। বৃহস্পতিবার দুদককে অবহিত করেছেন।

এ ব্যাপারে জানতে আরডিএ’র চেয়ারম্যান ও অভিযুক্ত প্রকৌশলী শেখ কামরুজ্জামানের মোবাইলে একাধিকবার কল করেও পাওয়া যায়নি। পরে এসএমএস পাঠালেও কোনো প্রতি উত্তর আসেনি।