বেনাপোল-পেট্রাপোল বাণিজ্য নিরাপত্তায় স্ক্যানিং মেশিন
যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য নিরাপত্তায় বেনাপোল বন্দরে স্থাপিত স্ক্যানিং মেশিন পরিদর্শন করেছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআরের সদস্য কাজী মোস্তাফিজুর রহমান। এসময় তিনি বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাতায়াত ব্যবস্থাও ঘুরে দেখেন।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বন্দর ও কাস্টমস কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে তিনি এ পরিদর্শনে অংশ নেন। এ ধরনের পরিদর্শন সীমান্ত বাণিজ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও পাসপোর্টধারী যাতায়াত গতিশীল করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে আশা করছেন বাণিজ্যিক সংশিষ্টরা।
বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার মো: কামরুজ্জামান জানান, বানিজ্য সহজীকণে বেনাপোল বন্দরের শূন্য রেখায় গত নভেম্বরে চালু করা হয় কার্গোভেহিকেল টার্মিনাল। এর ফলে দ্রুত সময়ে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর থেকে পণ্যবাহী ট্রাক বেনাপোল বন্দর কার্গোভেহিকেল টার্মিনালে প্রবেশের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তবে এপথে কেউ যাতে বৈধ পণ্যের সাথে অবৈধ পণ্য প্রবেশ করাতে না পারে বাণিজ্য নিরাপত্তায় স্ক্যানিং মেশিন স্থাপন করছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের বন্দর বিষয়ক সম্পাদক মো: মেহেরুল্লাহ জানান, বন্দরে আগে যে স্ক্যানিং মেশিনটি আছে সেটি প্রায় বছর ধরে বন্ধ হয়ে পড়ে আছে। এতে কিছু দুর্নীতিবাজরা বৈধ পণ্যের সাথে চোরাচালান পণ্য আনছেন। এতে অনেক সময় বৈধ ব্যবসায়ীরা হয়রানির শিকার হয়ে থাকে। নতুন নির্মানাধীন স্ক্যানিং মেশিনটি বাণিজ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বড় ভূমিকা রাখবে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআরের সদস্য কাজী মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ভারত থেকে আমদানি পণ্য নিয়ে আসা সন্দেহভাজন ট্রাকগুলো বন্দর অতিক্রমের আগে স্ক্যানিং মেশিনে তোলা হবে। এতে সহজেই সনাক্ত করা যাবে ট্রাকে থাকা মিথ্যা ঘোষণা বা আমদানি নিষিদ্ধ পণ্য চালান। সীমান্ত বাণিজ্যে সচ্ছ্বতা, জবাবদিহিতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে বড় ভূমিকা রাখবে স্ক্যানার মেশিন । খুব দ্রুত শুরু হবে এই স্ক্যানিং কার্যক্রম।
এসময় বন্দর পরিদর্শনে এনবিআর সদস্যের সাথে ছিলেন, বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার মো: কামরুজ্জামান,বেনাপোল বন্দর পরিচালক মামুন কবির তরফদার ও স্ক্যানিং মেশিন পরিচালনায় নিয়োগকৃত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ফাইবার এ্যাসোসিয়েটসের চেয়ারম্যান জুলফিকর রহমানসহ বাণিজ্যের সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কর্মকর্তাগণ।