বনফুল-মধুবনসহ ৭ প্রতিষ্ঠান বন্ধের আলটিমেটাম

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃৃহীত

ছবি: সংগৃৃহীত

আগামী ২০২০ সালের ৩০ জানুয়ারির মধ্যে অনিরাপদ বা ‘সি’ গ্রেড পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোতে খাবারের পরিবেশ উন্নত করতে সময় বেঁধে দিয়েছে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।

প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে-বনফুল এন্ড কোং, প্রিমিয়াম সুইটস, মধুবন, বিক্রমপুর মিষ্টান্ন ভান্ডার (লেক সার্কাস), শাহী মিঠাই, রস ফুড এন্ড বেকারি লি. ও বাঙ্কার্স ক্যাফে এন্ড রেস্টুরেন্ট।

বিজ্ঞাপন

রোববার (২২ডিসেম্বর) রাজধানীর হোটেল ৭১-এ খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এর উপস্থিতিতে ২৩টি প্রতিষ্ঠানকে মান অনুসারে স্টিকার প্রদান করে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। এ সময় ‘সি’ গ্রেড পাওয়া ৭টি প্রতিষ্ঠানকে কোন স্টিকার প্রদান করা হয়নি। তাদের ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

নির্দিষ্ট সময়ে খাদ্য তৈরির পরিবেশ উন্নত না করলে প্রতিষ্ঠানগুলোকে বন্ধ করে দেয়া হবে বলে আলটিমেটাম দিয়েছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, খাদ্য সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান সৈয়দা সারওয়ার জাহানসহ সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে হোটেল ও রেস্তোরাঁর জন্য গ্রেডিং ব্যবস্থা চালু করা হয়। কর্তৃপক্ষ হোটেল এবং রেস্তোরাঁর মান অনুসারে স্টিকারের নাম দিয়েছে। এর মধ্যে ‘এ প্লাস’ (সবুজ রং) মান হলো উত্তম, ‘এ’ (নীল) মান ভালো, ‘বি’ মান(হলুদ) গড়পড়তা বা মোটামুটি এবং ‘সি’ (কমলা) মান- অনিরাপদ। ১০টি সূচক বিবেচনা করে রেস্তোরাঁর এ মান নির্ধারণ করা হয়।

প্রাথমিক পর্যায়ে ঢাকায় ৫৭টি রেস্তোরাঁকে এ ব্যবস্থায় গ্রেডিং বা মান অনুযায়ী স্তর বিন্যাস করা হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে রোববার (২২ ডিসেম্বর) ৩০টি প্রতিষ্ঠানকে গ্রেডিং করে মান নির্ধারণ করেছে। এর মধ্যে কেউ ‘এ প্লাস’ পায়নি। ১৪টি প্রতিষ্ঠান ‘এ ’ পেয়েছে। ৯টি পেয়েছে বি গ্রেড এবং বাকি ৭টি প্রতিষ্ঠান পেয়েছে ‘সি’ গ্রেড।

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, খাদ্যে ভেজাল মানে মানুষের জীবন নিয়ে খেলা। তাই আপনারা একবার চিন্তা করুন। লাভ হয়তো কম হবে। কিন্তু মনের মধ্যে প্রশান্তি থাকবে যে, আপনি নিরাপদ খাদ্য সরবরাহ করেছেন।

তিনি বলেন, নিরাপদ খাদ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে যদি কোনো হয়রানির শিকার হন আমরা (সরকার) আপনাদের সঙ্গে আছি। আমরা আগামী ২০২১ সালের মধ্যে সারাদেশে নিরাপদ খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে পারব বলে আশা প্রকাশ করেন খাদ্যমন্ত্রী।