পুলিশের ওপর হামলা করতে চেয়েছিল জঙ্গিরা

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

কাওরানবাজারে র‍্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন

কাওরানবাজারে র‍্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন

রাজধানীর শাহআলী থানা এলাকা থেকে আটক আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের জঙ্গিরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর আক্রমণ করার পরিকল্পনা করছিল। বিশেষ করে আকস্মিকভাবে চাপাতি দিয়ে পুলিশের ওপর আক্রমণের পরিকল্পনা।

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর কাওরানবাজারে র‍্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান র‌্যাব-৪ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হক।

বিজ্ঞাপন

এর আগে বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানীর শাহআলী থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের চার সক্রিয় জঙ্গিকে আটক করে র‍্যাব-৪।

আটক জঙ্গিরা হলেন, মোহাম্মদ আরিফুল করিম চৌধুরী ওরফে আদনান চৌধুরী (৩৮), মো. মেহেদী হাসান শাকিল ওরফে বাবু (২০), মো. আব্দুল আল মামুন ওরফে আসাদুল্লাহ হিল গালিব (১৮) ও মো. নাজমুল হাসান (২৯)।

ডিআইজি মোজাম্মেল হক বলেন, জঙ্গিরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলা পরিকল্পনা করছে তা আমরা গ্রেফতারের পর তাদের মোবাইল ফোন ফরেনসিক করার পর জানতে পারি। তাদের পরিকল্পনা ছিল হামলার সময় কোন ধরনের ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস বা ফোন ব্যবহার করবে না। দুই-তিনজনের ছোট্ট গ্রুপ বা সেলে বিভক্ত হয়ে হামলার পরিকল্পনা করেছিল। পেছন থেকে ধারালো চাপাতি বা চাকু ব্যবহার করবে।

তিনি বলেন, এই গ্রুপের প্রধান আদনান চৌধুরী । এর আগে তিনি হরকাতুল জিহাদের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চার বছরের কম্পিউটার ডিপ্লোমা কোর্স শেষ করে একটি ব্যাংকের আইটি শাখার সিনিয়র কর্মকর্তা হিসেবে চাকরি করতেন। ২০১৫ খিলগাঁও থানায় গ্রেফতার হলে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। প্রায় দুই বছর পর জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর দল পরিবর্তন করে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের ঢাকার একাংশের নেতৃত্ব পায়। এরপর কুমিল্লার অঞ্চলের আব্বাস উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করে। দুইজন মিলে জঙ্গিবাদ সম্প্রসারণ ও প্রচারের জন্য কাজ শুরু করে। বর্তমানে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের ঢাকা বিভাগীয় দায়িত্ব পালন করছিলেন আদনান চৌধুরী।

তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি, এই জঙ্গিরা প্রটেক্টিভ অ্যাপস ও ব্রাউজার ব্যবহার করে জঙ্গিবাদের প্রচার, সদস্য সংগ্রহ, অর্থ সংগ্রহ এবং নাশকতার পরিকল্পনা করছিল। বিশেষ করে প্রচলিত সরকার ব্যবস্থা বা রাষ্ট্র ব্যবস্থা বাতিল করে শরিয়া ভিত্তিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা কায়েম করতে চান। তাদের গ্রেফতারের সময় আরও বেশ কয়েকজন জঙ্গি পালিয়ে যায়। তাদের নাম পেয়েছি, ধরতে র‌্যাব কাজ করছে।

র‍্যাব-৪ এর অধিনায়ক বলেন, অক্টোবর থেকে আজ পর্যন্ত এই দলের ২৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই গ্রুপের শেষ ব্যক্তি যিনি আছেন তাকে গ্রেফতার করবে র‌্যাব। এরা মূলত সেলে বিভক্ত বলে এই গ্রুপে কতজন আছে সেটা আমরা এখনো নিশ্চিত না। একটা সেলের সঙ্গে আরেকটা সেলের যোগাযোগ দেখতে গেলে অনেক সময় লাগে। র‌্যাবের পাশাপাশি পুলিশের আরও দুটি বিশেষ ইউনিট তাদের ধরতে কাজ করছে। আনসারুল্লাহ বাংলা টিম এবং হরকাতুল জিহাদ একই দলে যুক্ত।