হাতি বাঁচাতে অভয়ারণ্যে ট্রেন চলবে ২০ কিলোমিটার গতিতে

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

হাতি বাঁচাতে অভয়ারণ্যে ট্রেন/ছবি: সংগৃহীত

হাতি বাঁচাতে অভয়ারণ্যে ট্রেন/ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় চুনতী অভয়ার‌ণ্য এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় হাতির মৃত্যুর ঘটনায় প্রাণী বাঁচাতের ট্রেনের গতি কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শুধু এই অভয়ারণ্য নয়, অন্যান্য অভয়ারণ্য ও জাতীয় উদ্যান এলাকায় বন্যপ্রাণী সুরক্ষায় সব ট্রেন ২০ কিলোমিটার গতিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ মনির হোসেনের সই করা একটি আদেশে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পেরও আওতায় হাতিসহ বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে কতিপয় ব্যবস্থা গ্রহণের পরেও গত ১৩ অক্টোবর অনভিপ্রেত দুর্ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অভয়ারণ্য ও জাতীয় উদ্যান এলাকায় বন্যপ্রাণী সুরক্ষায় সব ট্রেন ২০ কিলোমিটার গতিতে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

অভয়ারণ্যে বন্যপ্রাণী মৃত্যুর ঘটনা তদন্তের জন্য বিভাগীয় কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

চট্টগ্রামের বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক এবিএম কামরুজ্জামানও বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য ও জাতীয় উদ্যান এলাকা অতিক্রম করার সময় ট্রেনের সর্বোচ্চ গতি প্রতি ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার নির্ধারণ করে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে গতিসীমার নির্দেশনা আমরা কার্যকর করেছি।

এর আগে গত ১৩ অক্টোবর চট্টগ্রামের লোহাগড়া উপজেলার চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের মধ্যে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইনে ট্রেনের ধাক্কায় ১০ বছর বয়সী একটি হাতি আহত হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাতিটি মারা যায়। এই হাতির মৃত্যুর ঘটনায় কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেনের লোকোমাস্টার জামাল উদ্দিনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পাশাপাশি এ ঘটনার তদন্তের জন্য বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (চট্টগ্রাম)-কে আহ্বায়ক করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন বিভাগীয় প্রকৌশলী-১ (চট্টগ্রাম) এবং বিভাগীয় যন্ত্র প্রকৌশলী ( লোকো (চট্টগ্রাম)। কমিটিকে আগামী ৫ (পাঁচ) কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর বন্যপ্রাণী সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।

গত বছর চালু হওয়া ঢাকা-কক্সাবাজার রেললাইনের চুনতী অভয়ারণ্য এলাকায় এলিফ্যান্ট ওভারপাসের (রেললাইনের ওপর দিয়ে হাতি পারাপারের পথ) ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। কিন্তু ওভারপাস করা হলেও দুই পাশে লোহার বেড়া দেবার কথা থাকলেও তা দেওয়া হয়নি। ফলে ওই হাতিটি দল হারিয়ে নিচে রেললাইনে নেমে এসে দুর্ঘটনায় পড়ে।