সিটি করপোরেশনের ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে ২২ ডিসেম্বর থেকে অভিযান

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বক্তব্য দিচ্ছেন মেয়র আতিকুল ইসলাম, ছবি: বার্তা২৪.কম

বক্তব্য দিচ্ছেন মেয়র আতিকুল ইসলাম, ছবি: বার্তা২৪.কম

পরিবেশ দূষণ রোধে ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে আগামী ২২ ডিসেম্বর থেকে অভিযানে নামার ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, শুরুতে সিটি করপোরেশনের ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে অভিযান চলবে। অনিয়মকারীদের প্রথমে জরিমানা করে সতর্ক করা হবে। সতর্ক না হলে পরে তাদের ব্ল্যাকলিস্টেড করা হবে।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ধুলাবালুমুক্ত পরিচ্ছন্ন মহানগরী নিশ্চিত করার বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

মেয়র বলেন, সিটি করপোরেশন থেকে বলেছি, ভালোবাসার দিন শেষ, এখন শুধু জরিমানা। আমাদের যেসব কনস্ট্রাকশন কোম্পানি আছে, ২২ তারিখ থেকে সিটি করপোরেশনের ঠিকাদারদের কোনো অনিয়ম পেলেই জরিমানা করব। নিজের ঘর থেকে জরিমানা শুরু না করলে মানুষ বদনাম করবে। এরপর অন্যান্য জায়গায় অভিযান চালাব।

আমি বিজনেস কমিউনিটি থেকে এসেছি। যে ফ্যাক্টরি গার্মেন্টস ইন্ড্রাস্টি কম্প্লায়েন্স করতে পারেনি, সেই ফ্যাক্টরি কিন্তু বন্ধ করে দিয়েছি। এটাই ম্যাসেজ, কারণ আমরা ব্যবসা করার জন্য এসেছি। কম্প্লায়েন্স মেইনটেইন না করে সিটি করপোরেশনে কাজ করলে, সেই ঠিকাদারকে প্রথমে জরিমানার নোটিশ দেব। তাতে কাজ না হলে তাদের ব্ল্যাকলিস্টেড করা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না, যোগ করেন মেয়র।

তিনি বলেন, পর্যায়ক্রমে সিটি করপোরেশন, ওয়াসা, ডিপিডিসি, মেট্রোরেল, বিআরটিএতেও অভিযান চালানো হবে। আমি মন্ত্রী-সচিবদের বলেছি, আমাকে ম্যাজিস্ট্রেট দিন, ২২ তারিখ থেকে আমার সঙ্গে তাদের থাকতে বলেছি। আমি সবার সহযোগিতা চাই। সচেতনা তৈরি করেই আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাব।

২২ তারিখের পর মোবাইল অফিস করবেন জানিয়ে তিনি বলেন, ২২ ডিসেম্বরের পর আমার অফিস হবে গাড়িতে। আমি সিটি করপোরেশনে অফিস করব না। যাদের অ্যাপয়েন্টমেন্ট থাকবে, তাদের যেখানে আমি থাকব, সেখানে আসতে বলব।

আতিকুল ইসলাম বলেন, আমরা একটি সুইপিং মেশিন নিয়ে এসেছি। আগামী জুন মাসের মধ্যে আরো ছয়টি সুইপিং মেশিন চলে আসবে। সুইপিং মেশিনে নীচের ময়লা উঠছে, কিন্তু ওপরের ময়লা উঠছে না। তিন বছরের মধ্যে ঢাকার অলি-গলিতে মেকানিক্যাল সুইপিং মেশিন দেখা যাবে।

আব্দুল্লাপুর থেকে ঢাকায় এলে কোনো মানুষ এখানে চলতে পারে না। মনে হচ্ছে এটা একটা আজবখানা করে রেখেছে। যেন মানুষের জন্য ধুলাবালু দিয়ে মৃত্যুর ফাঁদ করে রাখা হয়েছে। অত্যন্ত খারাপ অবস্থা। বিআরটিএকে অনুরোধ করব, ঠিকাদারদের ধরুন, নইলে আমরা সিটি করপোরেশন তাদের ধরব। তাদের শাস্তি দেব।