খুলনায় অনশনরত পাটকল শ্রমিকের মৃত্যু

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খুলনা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

আন্দোলন করছে পাটকল শ্রমিকরা, ছবি: বার্তা২৪.কম

আন্দোলন করছে পাটকল শ্রমিকরা, ছবি: বার্তা২৪.কম

খুলনায় রাষ্ট্রয়ত্ত পাটকল প্লাটিনাম জুট মিলে আমরণ অনশনরত অবস্থায় শ্রমিক আব্দুস সাত্তার (৪৮) মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে অনশন চলাকালে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মিলটির সিবিএ সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির খান।

এছাড়া অনশনে পাটকল শ্রমিকদের অসুস্থ হয়ে পড়ার সংখ্যা বেড়েই চলছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত শতাধিক শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাদের অনেককে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া অনশনরত স্থানে অসুস্থ শ্রমিকদের স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানান, 'শ্রমিকরা নিজেদের কাঁথা-কম্বল নিয়ে অনশনে নেমেছে। সমস্যার সমাধান করতে যদি মরতে হয় তবুও দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনশন কর্মসূচি চলবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত শ্রমিকরা ঘরে ফিরবে না।'

নিহত পাটকল শ্রমিক, ছবি:বার্তা২৪.কম

শ্রমিক নেতারা জানায়, 'আগামী ১৫ ডিসেম্বর সকাল ১১ টায় পাট মন্ত্রণালয়ে আন্দোলনরত পাটকল শ্রমিকদের সঙ্গে পাটমন্ত্রী ও শ্রম প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এজন্য বুধবার রাতে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত খুলনার কর্মসূচি স্থগিত করার অনুরোধ করেছেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান। কিন্তু শ্রমিকরা তা মানেনি। মজুরি কমিশন বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত তারা অনশন চালিয়ে যাবে।'

রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল সিবিএ-নন সিবিএ সংগ্রাম পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক খলিলুর রহমান বলেন, 'শীত এবং অনাহারে থাকায় শতাধিক শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাদের মধ্যে ২৫/২৬ জনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।'

আন্দোলনরত পাটকলগুলো হচ্ছে, ক্রিসেন্ট জুট মিল, খালিশপুর জুট মিল, দৌলতপুর জুট মিল, প্লাটিনাম জুবিলি জুট মিল, স্টার জুট মিল, আলিম জুট মিল, ইস্টার্ন জুট মিল, কার্পেটিং জুট মিল ও জেজেআই জুট মিল।

উল্লেখ্য, মজুরি কমিশন বাস্তবায়নসহ ১১ দফা দাবিতে গত ১৭ নভেম্বর ৬ দিনের কর্মসূচির ডাক দেয় রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল সিবিএ-নন সিবিএ সংগ্রাম পরিষদ। গত ২৫ নভেম্বর থেকে কর্মসূচি শুরু হয়। আর ৯ ডিসেম্বর থেকে আমরণ অনশনে নামে শ্রমিকরা।