শনিবার (২৬ অক্টোবর) প্রতিষ্ঠানটির মানব সম্পদ ও প্রশাসনের প্রধান মোহাম্মদ বোরহান উদ্দীনের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সুজন কান্তি দে ভারতের পালানোর সময় আটকের সংবাদে এস. আলম গ্রুপের নাম সংযোজন মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর ও মানহানিকর।
সুজন কান্তি দে সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়, ঊর্ধ্বতন ডেলিভারী সহকারী হিসেবে সুজন কান্তি দে এস. আলম কোল্ড রোল্ড স্টিলস লিমিটেড কারখানায় ২০২৩ সালের ২৭ মার্চ পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন। তারপর থেকে এস. আলম গ্রুপের সাথে তার কোনো সম্পৃক্ততা ছিলো না।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, মালামাল চুরির প্রচেষ্টার দায়ে তাকে প্রথমে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। এরপর তদন্ত সাপেক্ষে সকল তথ্য যাচাই-বাছাই করে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২০২৩ সালের ২৭ মার্চ তাকের চাকুরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
সুজন কান্তি দে’র সঙ্গে এস. আলম গ্রুপকে জড়িয়ে প্রাকশিত বিভ্রান্তিকর ও মানহানিকর সংবাদ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। সংবাদ প্রত্যাহার না করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলেও জানিয়েছে এস. আলম গ্রুপ।
যুক্তরাষ্ট্রের বিদ্যুৎ কোম্পানি স্মিথ কোজেনারেশনের একটি মামলায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। তবে সে পরোয়ানা স্থগিত করা হয়েছে।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আমেরিকায় নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী।
ওই পোস্টে আনসারি লিখেছেন, ১৯৯৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক একটি চুক্তি বাতিলের দায়ে স্মিথ কোজেনারেশন ক্ষতিপূরণ দাবি করে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে একটি মামলা করে। ১৯৯৭ সালে স্মিথ কোজেনারেশন তৎকালীন বাংলাদেশের সরকারের সঙ্গে একটি বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল এবং দেশের উত্তরাঞ্চলে একটি বার্জ-মাউন্টেড বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য অনুমতি প্রদান করেছিল সরকার। এই মামলায় দীর্ঘ প্রায় ২৫ বছর পর ওয়াশিংটন ডিসি সার্কিট আদালত অনেকটা এখতিয়ার বহির্ভূত একটি রায় প্রদান করে, যা শুক্রবার আদালত কর্তৃক স্থগিত করা হয়। যদিও বিষয়টির সাময়িক অবসান ঘটেছে।
তিনি আরও লিখেছেন, লুটেরা সরকারের দায় রক্তস্নাত বিপ্লবের মাধ্যমে গঠিত এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিতে পারে না। বিষয়টি বর্তমান সরকারের নজরে না এনে ধামাচাপাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।
এর আগে, আমেরিকাভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ল–৩৬০-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আমেরিকার একটি আদালত।যুক্তরাষ্ট্রের বিদ্যুৎ কোম্পানি স্মিথ কোজেনারেশনের একটি সালিশি মামলায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ইউএস ডিস্ট্রিক্ট বিচারক কার্ল জে নিকোলস স্মিথ মার্কিন মার্শাল সার্ভিসকে ওই দুজন ব্যক্তিকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বিদ্যুৎ কোম্পানিটি বাংলাদেশের কাছ থেকে ৩১ দশমিক ৯ মিলিয়ন ডলারের ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলাটি দায়ের করেছে।
এই বিরোধের সূত্রপাত ১৯৯৭ সালে স্মিথ কোজেনারেশন বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে একটি বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি স্বাক্ষর করে। পরে বাংলাদেশ সরকার ১৯৯৯ সালে এই প্রকল্পটি বাতিল করে দেয়। পরে কোম্পানিটি সেই বছরই আইসিসি ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করে।
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার মসূয়া ইউনিয়নের তাতারকান্দা ৩নং ওয়ার্ডের এলাকাবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে একটি খানাখন্দে ভরা রাস্তা সংস্কার করছে। তাদের সঙ্গে কওমি মাদ্রাসার ছাত্ররাও সহযোগিতা করছে।
কেউ ঠেলাগাড়ি দিয়ে, মাটি টানছে। কেউবা সহযোগী হয়ে শ্রম দিয়ে আনন্দের সঙ্গে কাজ করছে। কেউবা মাটি টানার উপকরণ কোদাল, ঝুপড়ি ও বাঁশ দিয়ে সহযোগিতা করছে।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) থেকে এই কাজ শুরু হয়েছে। অর্ধশত মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমে ইউনিয়নের শিমুল কান্দি মেইন রোড থেকে মসূয়া বাজারের যাওয়ার বাইপাসের রাস্তাটির বিভিন্ন অংশ মেরামতের কাজ করেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দীর্ঘদিন ধরে এই রাস্তাটি অনেকটাই অকেজো ছিল৷ বিভিন্ন স্থানে মাটি সরে গিয়ে চলাচলের সমস্যা সৃষ্টি হয়েছিল। স্থানীয় কৃষকরা তাদের সবজি নিয়ে বিক্রি করতেও সমস্যার মধ্যে পড়েছে৷ স্থানীয়রা আবেদন নিবেদন করেও বরাদ্দ না থাকায় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে রাস্তা মেরামতের কাজ করা হয়নি৷ দিন দিন সমস্যা গুলো প্রকট হতে শুরু করলে এটি স্বেচ্ছাশ্রমে মেরামতের উদ্যোগী হন মসূয়া ইমাম ওলামা পরিষদের সভাপতি ও স্থানীয় কওমি মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতি মো. ইসমাইল। তিনি প্রথমে সহযোগিতা সংগ্রহ করে স্থানীয় এলাকাবাসীকে নিয়ে নেমে পড়েন। তার আহবানে স্থানীয় আলেম ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরাও এগিয়ে আসেন৷
স্বেচ্ছাশ্রমের কাজের উদ্যোক্তা মুফতি মো. ইসমাইল বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘গ্রামের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি অনেকটাই বিচ্ছিন্ন ছিল৷ মানুষের চলাচলে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে৷ সরকার পরিবর্তন হওয়ায় দীর্ঘ সময় মেরামতের জন্য অপেক্ষায় থাকতে হতে পারে৷ এজন্য আমরাই উদ্যোগী হয়ে মেরামতের কাজে হাত দিলাম। ২-৩ কিলোমিটারের মতো কিছু গর্ত ভরাট করা হয়েছে৷'
এসময় স্বেচ্ছাসেবী কাজে আরও সহযোগিতা করেন, সাবেক মেম্বার সারোয়ার জাহান বাচ্ছু, ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শফিক, জামাতে ইসলামীর ইউনিয়ন সভাপতি মাওলানা আমিনুল হক, সেক্রেটারি আবু বকর সিদ্দিক উজ্জ্বল খা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, শামিম খান, হাদিউল ইসলাম, জোনায়েদ সাকিব, শজিব, আব্দুর রহিম, সাহাব উদ্দিন, জাকির হোসেন, শাহিন আহম্মেদ প্রমুখ৷