ডিএনসিসি’র নতুন ওয়ার্ডের প্রতিটি খাল পরিষ্কার হবে

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও মশক নিধন কর্মীদের কাজের উদ্বোধন করেন মেয়র, ছবি: বার্তা২৪.কম

পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও মশক নিধন কর্মীদের কাজের উদ্বোধন করেন মেয়র, ছবি: বার্তা২৪.কম

গুলশান-বনানীর মতো ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নবসংযুক্ত ওয়ার্ডেও উন্নয়ন হবে জানিয়ে মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, আমাদের নতুন ওয়ার্ডগুলোতে যতগুলো খাল আছে সেগুলো পরিষ্কার করা হবে। পাশাপাশি ওইসকল খালে মশার ম্যালাথিউন ওষুধ স্প্রে করে দেওয়া হবে যেন উৎসেই মশা ধ্বংস করা যায়। এজন্য তিনি ডেভেলপার কোম্পানি, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ভাটার এলাকার ৪১ ওয়ার্ডে পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও মশক নিধন কর্মী নিয়োগ অনুষ্ঠানে মেয়র একথা বলেন। সাতারকুল, মেরুল বাড্ডাসহ আশপাশের এলাকা পরিচ্ছন্নতা কাজের জন্য প্রায় ৬৮৪ জন কর্মী নিয়োগ করা হয়। প্রতিটি ওয়ার্ডে ২৫ জন করে পরিচ্ছন্নতা কর্মী এবং ১৩ জন করে মশক নিধন কর্মী নিয়োগ করা হয়। অর্থাৎ মোট ৪৫০ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মী এবং ২৩৪ জন মশক নিধন কর্মী নিয়োগ করা হয়। নবসংযুক্ত ১৮টি ওয়ার্ডে একযোগে এই কাজ পরিচালিত হবে। সিটি করপোরেশন ভুক্ত হওয়ার আগে ওয়ার্ডগুলো ইউনিয়নের আওতায় ছিল।

বিজ্ঞাপন


অনুষ্ঠান শেষে মেয়র পাশেই সূতিভোলা খাল পরিদর্শন করেন। সেখানে ডিএনসিসি’র নিযুক্ত কর্মীদের কাজের উদ্বোধন করেন। এসময় মেয়র বলেন, এই সূতিভোলা খালটির মালিক ওয়াসা। আমরা লোক নিয়োগ করে খাল পরিষ্কার করে দিচ্ছি। শুধু আমরা পরিষ্কার করে দিলেই হবে না এজন্য প্রতিটি এলাকার মানুষকে দায়িত্ব নিতে হবে।

মেয়র বলেন, আমরা যতই মশক নিধন ওষুধ স্প্রে করছি কাজ হচ্ছে না। কেননা প্রতিটি এলাকায় এরকম নোংরা খাল রয়েছে। আর এই খাল থেকেই মশার জন্ম হচ্ছে। তাই আমরা এবার খাল পরিষ্কার করে ম্যালাথিউন ওষুধ স্প্রে করে দিচ্ছি। যেন উৎসেই মশা ধ্বংস হয়ে যায়। কচুরিপানাসহ সকল প্রকার ময়লা পরিষ্কার করে খালের আসল রূপ দেওয়া হবে বলেও জানান মেয়র।

এসময় ডিএনসিসি’র সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এম মঞ্জুর হোসেন, উপ প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ইমদাদুল হক, স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন।