কুমিল্লায় ভারতীয় সীমান্ত থেকে ২৫ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা মূল্যের ভারতীয় বিভিন্ন প্রকারের ২৫,৮০০ পিস বাজি জব্দ করেছে বিজিবি-১০ ব্যাটালিয়ন।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) কুমিল্লা ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ কটকবাজার চেকপোস্টের বিশেষ টহল দল এই অভিযানটি পরিচালনা করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মো. রেজাউল কবির।
জানা যায়, সীমান্ত পিলার ২১০০/২-এস থেকে প্রায় ৫০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কেকেনগর নামক স্থানে ভারত থেকে পাচারের উদ্দেশ্যে আনা এই বিপুল পরিমাণ বাজি জব্দ করা হয়।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে মাদক ব্যবসায়ীদের গোলাগুলিতে শিশুসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এই ঘটনা ঘটে। মোহাম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলী ইফতেখার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গুলিবিদ্ধ হয়ে আহতরা হলেন- আমিন (২৭), শফিক (৩২) ও শিশু সাজ্জান (৮)। আহতদের উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এলাকাবাসী বলেন, আজকে সন্ধ্যার সময় হঠাৎ করে জেনেভা ক্যাম্পের ভেতর ভয়াবহ গোলাগুলি শুরু হয়। যা অন্যান্য দিনের চেয়ে ভয়ঙ্কর রূপ নেয়। হঠাৎ গুলির শব্দে তাজমহল রোড, বাবর রোড ও হুমায়ন রোডের বাসিন্দারা ভয়ে এদিক সেদিক ছুটাছুটি শুরু করে। সন্ধ্যার পর থেকে গুলির শব্দে পুরো এলাকার দোকানপাট ও যানচলাচল থমকে যায়। সন্ধ্যা থেকে হওয়া সংঘর্ষ থেমে থেমে রাত পর্যন্ত গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে বলে জানায় বাসিন্দারা।
সূত্র জানায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমাতে সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক কাউন্সিলর সৈয়দ হাসান নূর ইসলাম রাস্ট্রনের মাধ্যমে জেনেভা ক্যাম্পের মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে রাইফেল, ককটেল বোমাসহ নানা ধরনের ভারী অস্ত্র দেয়। শেখ হাসিনার পতনের পর নানকের দেওয়া সেসব অবৈধ ভারী অস্ত্রের সাথে ৫ আগস্ট মোহাম্মদপুর ও আদাবর থানা থেকে লুট করা অস্ত্র দিয়ে গতো দুই মাস যাবত মাদক ব্যবসায়ীরা ভয়াবহ সংঘর্ষ চালিয়ে যাচ্ছে। গতো কয়েকমাসে মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে চলা এসব সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ৬ জন প্রাণ হারিয়েছে এবং বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছে।
ভয়াবহ সংঘর্ষের পিছনে ক্যাম্পের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী সোহের ওরফে বুনিয়া সোহেল, গাল কাটা মনু, চুয়া সেলিম, আকরাম, শাহ আলম, পিচ্চি রাজা ও কলিম জাম্বুর মাদক ব্যবসাকে কেন্দ্র করে ভয়াবহ এ সংঘর্ষ চলছে। তবে, ভয়াবহ এ সংঘর্ষ দীর্ঘদিন যাবৎ চললেও স্থানীয় থানা পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনীর শক্ত কোন পদক্ষেপ না থাকায় এ সংঘর্ষ দিন দিন আরও ভয়াবহ আকার ধারন করছে।
এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলী ইফতেখার জানান, এ ঘটনায় আমরা আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছি। তবে, আমাদের থানা হিসেবে লোকবল কম থাকায় কিছুটা হিমশিম খেতে হচ্ছে আমাদের।
দেশে ফ্যাসিজম সৃষ্টিতে গণমাধ্যমের ব্যর্থতাকেও দায়ী করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দেশে ভালো সাংবাদিকতা হয়নি।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ‘ফ্যাসিবাদের বয়ান বনাম গণমানুষের গণমাধ্যম’ বিষয়ক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শফিকুল আলম বলেন, দেশে ফ্যাসিজম সৃষ্টিতে গণমাধ্যমের ব্যর্থতা অন্যতম কারণ। গত সরকারের সময়ে দেশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা নিয়ে রিপোর্ট করা হয়নি। যা গণমানুষের জানার অধিকারকে বাধাগ্রস্ত করেছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার চায়, বাংলাদেশের সাংবাদিকতা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নেবে।কোনো গণমাধ্যম বন্ধ হবে না। এটি সরকারের প্রতিশ্রুতি।
শফিকুল আলম বলেন, আগের সরকারের সময়ের মতো গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে যাতে কোনো চাপ সৃষ্টি করা না হয়, এটি নিশ্চিত করা হয়েছে। কোনো কিছু চাপিয়ে দিতে চায় না সরকার।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম (চরমোনাই পীর) দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, সাধারণ মানুষ নিত্যপণ্যের দাম তাদরে নাগালের মধ্যে চায়। এজন্য ফ্যাসিবাদের সিন্ডিকেট কঠোরহস্তে ভেঙ্গে দিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে পুরানা পল্টনস্থ আইএবি মিলনায়তনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় মজলিসে আমেলার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সমৃদ্ধ কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনে জাতীয় ঐক্যের বিকল্প নেই। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে সমৃদ্ধ কল্যাণরাষ্ট্র গঠন করতে হলে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।
চরমোনাই পীর বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ দেশপ্রেমিক ঈমানদার জনশক্তি তৈরি জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি দেশের সর্বস্তরের নেতাকর্মীকে সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচি সফল করার মাধ্যমে সর্বস্তরের মানুষের কাছে ইসলামী আন্দোলনের দাওয়াত পৌঁছাতে হবে। তিনি আরও বলেন, দেশে বিদেশে এখনও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র অব্যাহত আছে। কেউ কেউ ফ্যাসিবাদকে পুনর্বাসনের অপচেষ্টা করছে। তাই দলমত দলমত জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে ইস্পাত কঠিন জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলে দাঁতভাঙ্গা জবাব দিতে হবে।
যানজট নিরসন এবং আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে প্রশাসনকে আরো কঠোর হওয়ার ব্যাপারে কার্যকরী উদ্যোগ নেয়ারও দাবি জানান চরমোনাই পীর।
দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমানের সঞ্চালনায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন, দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারি মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, কৃষিবিদ আফতাব উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক কেএম আতিকুর রহমান, প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম, দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, আলহাজ্ব হারুন অর রশিদ, মুফতী হেমায়েতুল্লাহ কাসেমী, মাওলানা নেছার উদ্দিন, শেখ ফজলুল করীম মারুফ, মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, মুফতী কেফায়েতুল্লাহ কাশফী, আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, অ্যাডভোকেট শওকত আলী হাওলাদার, আলহাজ্ব জান্নাতুল ইসলাম, অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দিন, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, মাওলানা মকবুল হোসাইন, ড. বেলাল নূর আজিজী, অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দিন, জিএম রুহুল আমিন, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, উপাধ্যক্ষ মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান, মাওলানা খলিলুর রহমান, অ্যাডভোকেট হাছিবুল ইসলাম, মাওলানা নূরুল করীম আকরাম, মাওলানা আরিফুল ইসলাম, আব্দুল আউয়াল মজুমদার, আল মোহাম্মদ ইকবাল।