‘এখনো শ্রমিকরা পণ্য হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে’

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

আইএলও’র শতবার্ষিকী উপলক্ষে সংলাপ/ ছবি: বার্তা২৪.কম

আইএলও’র শতবার্ষিকী উপলক্ষে সংলাপ/ ছবি: বার্তা২৪.কম

প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী বলেছেন, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা- আইএলও শ্রমিকদের জীবনমানের উন্নয়ন এবং তাদের অধিকার রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু শ্রমিকরা এখনো পণ্য হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে আইএলও’র শতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ‘ফিউচার অব ওয়ার্ক ইন বাংলাদেশ’ বা ভবিষ্যতের কাজের ধরন শীর্ষক সংলাপে তিনি এ সব কথা বলেন। সংলাপের আয়োজন করে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা এবং বাংলাদেশ শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।

বিজ্ঞাপন

এ সময় গওহর রিজভী আইএলও-কে অভিনন্দন জানান।

আন্তর্জাতিক শ্রমমানের সঙ্গে একীভূত করে জাতীয় আইন বা নীতি প্রণয়ন, ত্রি-পাক্ষিক সংলাপ, শিশু শ্রম এবং জোরপূর্বক শ্রম নিরসন, দক্ষতার উন্নয়নে বিনিয়োগ ইত্যাদি বিষয়গুলো উঠে আসে এই সংলাপে।

এই আয়োজন এবং সংলাপে অংশ নেয় বাংলাদেশ সরকার, শ্রমিক প্রতিনিধি এবং চাকরিদাতারা। ভবিষ্যতে কাজের ধরন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবিলা এবং এ বিষয়ে  করণীয় সম্পর্কে বক্তারা আলোচনা করেন।

সভাপতির বক্তব্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, শ্রমিকদের কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা, জনকল্যাণ এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের জন্য আইএলও বাংলাদেশ শ্রম ব্যবস্থাকে সংস্কারের মাধ্যমে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। আগামীতে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবিলা করতে শ্রমিক-মালিকদের মধ্যে সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক প্রয়োজন। ১৯৭২ সাল থেকে আইএলও বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।

এই আয়োজনে বিশেষ অতিথি আইএলও'র প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের উপ মহাপরিচালক পানুডা বুনপালা আহ্বান জানান, বাংলাদেশ সরকার যেন দ্রুত কনভেনশন ১৩৮ এবং ২৯ স্বাক্ষর করে। যা যথাক্রমে শ্রমিকদের নূন্যতম মজুরি নিশ্চিত করবে এবং জোরপূর্বক শ্রম নিরসনে কাজ করবে।

ন্যাশনাল কোর্ডিনেশন কমিটি অন ওয়ার্কার্স এ্যাসোসিয়েশন এর পক্ষ থেকে চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন বলেন আইএলও'র কনভেনশন ১৮৯ এবং ১৯০ দ্রুত স্বাক্ষর এবং কার্যকর করা হলে শ্রমিকরা কর্মক্ষেত্রে উপকৃত হবে। এই দুটি কনভেনশন যথাক্রমে গৃহকর্মে নিযুক্ত শ্রমিক এবং কর্মক্ষেত্রে সহিংসতা ও হয়রানি প্রতিরোধে সহায়তা করবে।

বক্তারা বলেন, সাড়ে ৬ কোটি মানুষের এই শ্রমবাজারে প্রতি বছর ২০ লক্ষ তরুণ প্রবেশ করে। বিশ শতকের দক্ষতা ২১ শতকের কাজের জন্য মোটেও উপযোগী নয়। আমাদের এই শ্রমগোষ্ঠীকে দক্ষ করে তুলতে হবে, তাদের দক্ষতার উন্নয়ন করতে হবে।

১৯১৯ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের শেষে, ভার্সাই শান্তি চুক্তির ধারাবাহিকতায় প্রতিষ্ঠিত হয় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)। সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হলেই শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে- এই ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত হয়েই আইএলও পথ চলা শুরু করে।