শিগগিরই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হবে: জাপানি রাষ্ট্রদূত

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন জাপানি রাষ্ট্রদূত

মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন জাপানি রাষ্ট্রদূত

বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো বলেছেন, আশা করি শিগগিরই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হবে। এ জন্য জাপানসহ বিশ্ব সম্প্রদায় অবদান রাখবে।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজে (বিআইআইএসএস-বিস) মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল পিস বিল্ডিং: ডিসকোর্স ফ্রম জাপান বিইয়ন্ড’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

জাপানি রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ও জাপান একে অন্যকে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে যে অবদান রাখছে তা প্রশংসার দাবি রাখে।

তিনি বলেন, মিয়ানমার থেকে দশ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। জাপান তাদের জন্য বাংলাদেশকে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। আশা করি দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হবে। জাপানের প্রধানমন্ত্রীও এ বিষয়ে মিয়ানমার ও দেশটির সামরিক বাহিনীকে আহ্বান জানিয়েছে। জাপান বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কাজ করে যাচ্ছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ তথাকথিত তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে আজ মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হতে যাচ্ছে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বা বিশ্বের অনেক দেশ থেকে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ভালো। ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশের গড় আয়ু বেশি। তাছাড়া সব খাতেই বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হলেও এটি একটি পুরনো দেশ। বাংলাদেশই এমন একটি দেশ বিশ্বে যার কোনো শত্রু নেই। ভুটানের জনসংখ্যার চেয়ে বেশি রোহিঙ্গা এখন বাংলাদেশে বাস করে। তবে আমি বলতে পারি রোহিঙ্গা ক্যাম্প এখনও নিউইয়র্ক সিটি থেকেও নিরাপদ রয়েছে। আর এটি সম্ভব হয়েছে বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ স্বভাবের জন্যই।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক রাশেদ উজ জামান বলেন, আমরা যুদ্ধের কথা বলি, তবে এটি সত্য ২১ শতকে এখনও তুলনামূলকভাবে বিশ্ব সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ রয়েছে।

বিসের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম আব্দুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে বিশ্বের অন্যতম দেশ হিসেবে অবদান রেখে যাচ্ছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, একজন পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে ২৪ বছরের অভিজ্ঞতায় আমি বলতে পারি শান্তি রক্ষা করার প্রধান শর্তই হলো সবার আগে সন্ত্রাস প্রতিরোধ করতে হয়।

মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, এয়ার কমোডর (অব.) ইসফাক ইলাহী চৌধুরী, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. মইনুল ইসলাম।