'শ্রমিকদের ৯ দফা দাবি পরিবহন মন্ত্রীর কাছে পাঠিয়ে দিচ্ছি'

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ফাইল ছবি

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ফাইল ছবি

বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতাদের ৯ দফা দাবি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) রাজারবাগ পুলিশ লাইনের অডিটোরিয়ামে ট্রাফিক সচেতনতামূলক পক্ষ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, শ্রমিকদের ৯ দফা সড়ক পরিবহন মন্ত্রীর কাছে পাঠিয়ে দিচ্ছি। কোথাও অসঙ্গতি থাকলে যাচাই-বাছাই করে দেখা হবে। এছাড়া সড়ক নিরাপদ রাখতে কি কি করা যায় তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী চিন্তা করছেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পরিবহন চালক ভাইদের লাইসেন্স দেওয়ার বিষয়ে একটা জটিলতা ছিল। সেটি নিয়ে গতকাল বুধবার রাতে পরিবহন মালিকদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তাদের দেওয়া দাবিগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। লাইসেন্স সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনের জন্য চালকদের একটা সময় দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে তারা তাদের লাইসেন্স ঠিক করে নেবে।

আইন না মানা আমাদের সংস্কৃতি হয়ে গেছে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কেউ আইন মানতে চায় না। যদি সবাই আইন মেনে চলে তবে কোনও সমস্যা থাকে না। শুধু ট্রাফিক আইন নয়, সকল পর্যায় সবাই আইন মেনে চললে অপরাধ অনেক কমবে। সকল পর্যায়ে আইন মেনে চলার সংস্কৃতি চালু হোক এটাই আমার চাওয়া।

তিনি বলেন, মহাসড়কে যারা বাস-ট্রাক চালায়, তাদের দীর্ঘক্ষণ গাড়ি চালাতে হয়। তাই তাদের নির্দিষ্ট সময় পর বিশ্রামের প্রয়োজন। একটা চালক ৮ ঘণ্টা গাড়ি চালানোর পর তাকে বাধ্যতামূলক বিশ্রাম নিতে হবে। মহাসড়কে বিভিন্ন জায়গাতে চালকদের বিশ্রামের জন্য বিশ্রামাগার তৈরির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে।

এ সময় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, একটি মহল নিরীহ পরিবহন শ্রমিকদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। পেঁয়াজ-লবণের পর গুজব পরিবহন সেক্টরে ভর করেছে। দেশে একটা অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছে তারা।

তিনি আরো বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে আলোচনা হয়েছে, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীও বলেছেন, নতুন আইনে কোনও সংশোধনী থাকলে তা দেখা হবে। আগামী জুন মাস পর্যন্ত যার যে লাইসেন্স আছে তাই দিয়ে যানবাহন চালানো যাবে। তবে অবৈধ কোনও লাইসেন্স পেলে কাউকে ছাড়া দেয়া হবে না।