বরিশালের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন, পড়ছে বৃষ্টি

  ঘূর্ণিঝড় বুলবুল
  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, বরিশাল
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ঘূর্ণিঝড়ের বিষয়ে সতকর্তামূলক প্রচারণা, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ঘূর্ণিঝড়ের বিষয়ে সতকর্তামূলক প্রচারণা, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

বরিশালে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল এর প্রভাবে টানা দুইদিন ধরে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। শনিবার (৯ নভেম্বর) সকাল থেকেই বাতাসের গতিবেগ স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে। কখনো থেমে থেমে আবার কখনো মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। বন্ধ রয়েছে অভ্যন্তরীণ সকল নৌরুটে নৌযান চলাচল। সকাল থেকেই স্থানীয় আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া হচ্ছে জনসাধারণকে।

বরিশাল আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল হালিম মিয়া বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৩৫ দশমিক ৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে দিনভর বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাতাসের গতিবেগ বাড়বে।

বিজ্ঞাপন

সিপিপি’র বরিশাল আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. আব্দুর রশীদ বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, সকাল থেকে বিভাগের বিভিন্ন উপজেলায় বিশেষ করে উপকূলীয় এলাকার জনসাধারণকে নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় প্রশাসন ও সিপিপিসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবকরা ঘূর্ণিঝড়ের বিষয়ে সতকর্তামূলক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। বিভাগজুড়ে ২ হাজার ৯৪টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

বিআইডব্লিউটিএ'র নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপ-পরিচালক আজমল হুদা মিঠু সরকার জানান, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে নদ-নদীর পানি জোয়ারের সময় কিছুটা বাড়ছে। আর আবহাওয়া অফিস থেকে বরিশাল নদীবন্দরে চার নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। ফলে বরিশালের অভ্যন্তরীণ রুটে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।

বরিশালের জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবেলায় সব ধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসন। একই সাথে প্রত্যেক উপজেলায় কঠোর ভাবে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পর্যাপ্ত শুকনা খাবারও সরবরাহ করা হয়েছে। বিকালের মধ্যে জেলার ২৩২টি সাইক্লোন শেল্টার সহ সকল নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে জনসাধারণকে আনা হচ্ছে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবেলায় বিভাগীয় প্রশাসন, জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন দফায় দফায় প্রস্তুতিমূলক সভা করছে। বরিশাল জেলার ১০ উপজেলায় ২০০ মেট্রিকটন চাল, শুকনো খাবারসহ প্রয়োজনীয় ত্রাণসামগ্রী মজুদ আছে। প্রত্যেক উপজেলায় ৫০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

এছাড়াও ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি), রে‌ড‌ক্রিসেন্টসহ বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের স্বেচ্ছাসেবকরা প্রস্তুত রয়েছেন। পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও রোভার স্কাউটের সদস্যরাও যেকোনো ধরনের সহায়তা করবে।

ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে শনিবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম ৯ ও কক্সবাজার ৪ নম্বর সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।