খুলনায় ধারালো অস্ত্রের কোপে ছেলের মৃত্যুর দেড় মাস পরে আহত বাবা পিরু শেখ মারা গেছেন।
সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
পুলিশ জানায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত ৭ আগস্ট মধ্যরাতে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা তেরখাদা উপজেলার ছাগলাদাহ ইউনিয়নের পহরডাঙ্গা গ্রামের পিরু শেখের বাড়িতে প্রবেশ করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তার ছেলে নাঈম শেখকে (২৬) হত্যা করে। এ সময় বাবা পিরু শেখ ছেলেকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তাকেও কুপিয়ে জখম করে সন্ত্রাসীরা।
পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে ভর্তি করে। কয়েক দিন পর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে এক মাস চিকিৎসা শেষে তাকে বাড়িতে আনা হয়। অবস্থার অবনতি হলে পুনরায় গত সপ্তাহে তাকে খুমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
এদিকে নাঈম শেখ হত্যার ঘটনায় তার মা মাহফুজা খাতুন ৮ আগস্ট তেরখাদা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন।
তেরখাদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালেকুজ্জামান জানান, মাহফুজা খাতুনের দায়েরকৃত হত্যা মামলাটি এখন জোড়া হত্যা মামলায় পরিণত হবে।
খুলনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক তোফায়েল আহমেদ জানান, নাঈম শেখ হত্যা মামলায় স্থানীয় ছাগলাদাহ ইউপি চেয়ারম্যান এস এম দীন ইসলামসহ ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তবে, ইউপি চেয়ারম্যান এস এম দীন ইসলাম হাইকোর্ট থেকে জামিন নেন। পরে আদালত তার জামিন বাতিল করেন। এরপর থেকে পলাতক রয়েছেন তিনি।