ডাবের খোসায় সৌন্দর্য মলিন কলাতলীর স্কুল-মসজিদ-মাজার
কক্সবাজার শহরের পর্যটন এলাকার প্রাণকেন্দ্র কলাতলীর এক জায়গায় অবস্থিত কলাতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কলাতলী ছুপিবাগ জামে মসজিদ এবং উপজেলা রিসোর্স সেন্টার, যেখানে শিক্ষকদের ট্রেনিং করানো হয়। এছাড়া পাশেই রয়েছে একটি মাজার শরিফ।
এই প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রবেশ মুখে কলাতলী মেরিন ড্রাইভ সড়ক লাগোয়া খালি জায়গায় পড়ে আছে হাজার হাজার ডাবের খোসা। এছাড়া ডাবের খোসার সঙ্গে রয়েছে প্লাস্টিক বর্জ্যসহ নানা ময়লা-আবর্জনা। ডাবের খোসা ও নানা বর্জ্যের স্তুপের কারণে মলিন হয়ে গেছে পবিত্র স্থান মসজিদ-মাজার সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সরকার প্রতিষ্ঠানের সৌন্দর্য।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, রাস্তার পাশে খালি জায়গায় ডাবের খোসায় ভরা। বিভিন্ন জায়গা থেকে এনে এনে ময়লা আবর্জনা ফেলা হচ্ছে ওই জায়গায়। দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে পরিষ্কার করা হচ্ছে না আবর্জনাগুলো। যার কারণে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে কথা হয় কলাতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাছনা হেনার সঙ্গে। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ময়লা আবর্জনা গুলো থাকার ফলে স্কুলের সৌন্দর্য বিলীনের পাশাপাশি নানা সমস্যা হচ্ছে। ওখান থেকে বাতাসের সঙ্গে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। পাশাপাশি কোমলমতি শিশুদের অনেক সমস্যা হচ্ছে। পৌরসভাকে মৌখিকভাবে বলা হলেও তারা কার্যকর কোন ব্যবস্থা নেয়নি বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
ছুপিবাগ জামে মসজিদের সহকারী ইমাম মামুনুর রশীদ বলেন, নামাজ পড়ার সময় বাতাসে ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধ মসজিদে ঢুকে যায়। যার ফলে অনেক অসুবিধা হচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে কক্সবাজার পৌরসভার কনজার্ভেন্সি পরিদর্শক কবির হোসেন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আশপাশের ব্যবসায়ীরা ওই জায়গায় ময়লা আবর্জনাগুলো এনে ফেলে। বিশেষ করে বিচের ডাব ব্যবসায়ীরা। ওই জায়গায় ময়লা আবর্জনার স্তুপ এতোটাই বেশি হয়ে গেছে এগুলো পরিষ্কার করতে অনেক লোকবল এবং যন্ত্র প্রয়োজন হবে। বিষয়টি কিভাবে সমাধান করা যায় সেটি দেখা হচ্ছে। খুব শীগ্রই এটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে ময়লা আবর্জনা না ফেলার ব্যবস্থা করা হবে।
এদিকে পর্যটন নগরী হওয়ায় হাজার হাজার পর্যটক যাতায়াত করে ওই রাস্তা দিয়ে। মেরিন ড্রাইভ যাওয়ার একমাত্র রাস্তা হওয়াতে রাস্তাটি দিয়ে চলাচল করার সময় সবার নজরে পড়ে এমন দৃশ্য। তারাও নাক ছিটকাচ্ছেন এমন দৃশ্য দেখে। খারাপ ধারণা তৈরি হচ্ছে তাদের মাঝেও। তাড়াতাড়ি বর্জ্যগুলো পরিষ্কার করে সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনার দাবি কক্সবাজারের সচেতন মহলের।