জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা ও আলোচক ড. মিজানুর রহামান আজহারি হাদিসের উদ্ধৃত করে বলেন, সংখ্যালঘুদের উপর জুলুম, নির্যাতন কিংবা ভয়ভীতি দেখালে কেয়ামতের ময়দানে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) তার বিরুদ্ধে বাদী হয়ে মহান আল্লাহর কাছে বিচার দিবেন। তাই সংখ্যালঘু পাড়া-প্রতিবেশীদের সাথে সহাবস্থান করতে হবে।লালমনিরহাটের আলোচনায় আজহারী ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সহাবস্থান নিয়ে আলোচনা করেন।এ সময় তাকে একনজর দেখতে লাখো উৎসুক মানুষের ঢল নামে ওই এলাকায়।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে লালমনিরহাটের শেখ শফি উদ্দিন কমার্স কলেজ মাঠে হেলিকপ্টারে পৌঁছান তিনি। পরে সোহরাওয়ার্দী মাঠে ইসলামি সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্য দেন তিনি।
তিনি বলেন, আস্তিক হোক কিংবা নাস্তিক, মুসলিম হোক কিংবা অমুসলিম সবার সাথে সদ্ব্যবহার করতে হবে। বিশ্বনবি (সা;) সবার সাথে সদ্ব্যবহার করে চলতেন। প্রতিবেশী অমুসলিমদের হক আদায় করতে হবে। তাদের সুখে দুখে পাশে থাকতে হবে। কোনোভাবেই তাদের ধন সম্পদ লুট করা যাবে না। জুলুম করা যাবে না।
এ-দিকে সকাল থেকে শুরু হয় ঐতিহাসিক তাফসিরুল কোরআন মহফিল। প্রথম অধিবেশনে আলোচনা করেন স্থানীয় ইসলামি আলোচকরা। এ ছাড়া স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াতের নেতারা বক্তব্য দেন। এই মহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন রংপুর বিভাগীয় কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু।
এই মাহফিলে ১০ থেকে ১২ লাখ মানুষের সমাগম হতে পারে বলে ধারণা করছে আয়োজক কমিটি। মূল প্যান্ডেল ছাড়াও মোট পাঁচটি মাঠ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। মহফিল ঘিরে তৎপর লালমনিরহাটের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আনসার, পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনীসহ রয়েছে আয়োজকদের স্বেচ্ছাসেবকের বিশাল কর্মী বাহিনী।
ইসলামিক সোসাইটি লালমনিরহাটের আয়োজনে ঐতিহাসিক এ মাহফিলে সভাপতিত্ব করবেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুল হাকিম বলেন, আজহারী হুজুরসহ জনপ্রিয় ইসলামি আলোচকদের আগমনে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের ঢল নেমেছে। আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি সুশৃঙ্খল আয়োজন উপহার দিতে।
লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) বাদল কুমার বলেন, জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা আজহারী হুজুর হেলিকপ্টারে লালমনিরহাটে পৌঁছেছেন। নিরাপত্তায় যৌথ বাহিনী কাজ করেছে। এ ছাড়া পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও নিরাপত্তার চাদরে পুরো জেলা শহরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। প্রায় পাঁচ শতাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী টহল অব্যাহত ছিল। তা ছাড়া স্বেচ্ছাসেবী যারা দায়িত্বে রয়েছেন তারাও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছেন।