ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার ছোট ফেনী নদীর গোপালগাঁও এলাকা থেকে নদীতে ভেসে আসা এক মরদেহ এবং সদর উপজেলার রানীরহাট এলাকা থেকে বয়োবৃদ্ধ এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ দুটি ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) জেলার সোনাগাজী উপজেলার ছোট ফেনী নদীর গোপালগাঁও এলাকা ও সদর উপজেলার রানীরহাট এলাকা থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয়রা শরিয়ত উল্যাহ মেম্বারবাড়ি সংলগ্ন ছোট ফেনী নদীতে একটি যুবকের মরদেহ ভেসে থাকতে দেখে থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ সকাল ১০টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে সোনাগাজী মডেল থানায় নিয়ে আসে। মরদেহটির পরিচয় শনাক্ত করতে না পেরে পুলিশ সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি মর্গে পাঠায়।
স্থানীয়রা জানায়, সকালে ফেনী নদীর সোনাগাজীর গোপালগাঁও অংশ থেকে মরদেহটি ভাসতে দেখা যায়। পরে পুলিশকে কল দিলে পুলিশে এসে উদ্ধার করে। মরদেহটি গত তিন থেকে চারদিন আগের হতে পারে এবং এটি অন্য এলাকা থেকে ভেসে এসেছে।
এ বিষয়ে সোনাগাজী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. বায়েজিদ আকন জানান, ঘটনাস্থল থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে ফেনী ২৫০ শয্যা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে নিহতের পরিচয় এবং মৃত্যুর কারণ এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
অন্যদিকে সদর উপজেলার রানীর হাট দারোগা বাড়ির নিজ ঘর থেকে সামছুন্নাহার (৮৯) নামে এক বয়োবৃদ্ধ নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত সামছুন্নাহার আবদুল খালেকের স্ত্রী ও ছয় সন্তানের জননী।
স্থানীয় ও প্রতিবেশীরা জানান, নিহত সামছুন্নাহার পরিবারের সঙ্গে ওই ঘরেই বসবাস করতেন। বয়স ৮৯ হলেও তিনি নিজেই হাঁটাচলা করতে পারতেন। গত কয়েকদিন আগে পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর সামছুন্নাহারের ছেলে বউ ও নাতিরা বেড়াতে যায়। শুক্রবার দিবাগত রাতে ওই ঘরে বৃদ্ধা একাই ছিলেন। সকালে ঘরের দরজা খোলা দেখে প্রতিবেশীরা ভেতরে ঢুকে বৃদ্ধার মরদেহটি দেখতে পায়।
ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইকবাল হোসেন বলেন, খবর পেয়ে শয়নকক্ষ থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতের শরীরে কোন আঘাত দেখা যায়নি, তবে ঘরে জিনিসপত্র এলোমেলো দেখা গেছে। ময়নাতদন্তের পর হত্যা নাকি স্বাভাবিক মৃত্যু সেটি জানা যাবে।