নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নে ঘোড়াদৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাবেক খাদ্যমন্ত্রী আব্দুল মোমেন খান স্মরণে এই প্রতিযোগতার আয়োজন করে স্থানীয় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠন।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার ঢালুয়ারচর-সরকারচর ধান সবুজের মাঠে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে আসলাম হোসেন বাবু জানান, হবিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, পিরোজপুর, গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ২৫টি ঘোড়া তিনটি দলে বিভক্ত হয়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে।
এদিকে ঐতিহ্যবাহী ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা দেখতে সকল বয়সী দলবেঁধে ছুটে আসেন। মাঠের দুই ধারে দাঁড়িয়ে উৎসুক জনতার করতালিতে মুখরিত হয়ে উঠে মাঠ।
অপরদিকে প্রতিযোগিতা শান্তিপূর্ণ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পলাশ থানা পুলিশ, গ্রাম পুলিশসহ মোতায়েন করা হয় শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক সদস্য।
তিনটি দলে বিভক্ত হয়ে অংশগ্রহণ করে বিজয়ীরা হলেন, প্রথম ময়মনসিংহের ভালুকার শেখ সাদি, দ্বিতীয় সিলেটের হবিগঞ্জের সাজিদ হোসেন এবং তৃতীয় মনোহরদীর রাহাত মোল্লা। মাঝারি দলে প্রথম কিশোরগঞ্জের কটিয়াদি উপজেলার রাকিবুল হাসান রকি, দ্বিতীয় হবিগঞ্জের ইমন এবং তৃতীয় হবিগঞ্জের মামু-ভাগিনা।
এছাড়া ছোট দলে প্রথম নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার পিরিচকান্দির গ্রামের রাজিব, দ্বিতীয় কিশোরগঞ্জের রাজাবাবু এবং তৃতীয় পিরোজপুরের রাজিব। এছাড়া সকল ঘোড়ার অংশগ্রহণে বিশেষ পুরস্কার লাভ হবিগঞ্জর বাবুল।
প্রতিযোগিতা শেষে স্থানীয় গজারিয়া ইউনিয়ন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আমজাদ হোসেন শামীম, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম পাঁচদোনা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আজিম মিয়া, পলাশ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এড. বাছেদ, উপজেলা বিএনপির সদস্য সবজু মৈশান, আমিনুল ইসলাম, যুবদল নেতা নাসির আহমেদ ও আয়োজক কমিটির সদস্য হাসিবুর রহমান রুবেল ও আসলাম হোসেন বাবু উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়ে অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে সাবজাল জানায়, শখের বসে ৪ বছর ধরে ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। দেশের বিভিন্ন জেলায় তিনি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে বেশ পুরস্কার অর্জন করে। তার কাছে পুরস্কার বড় কথা নয়, অংশগ্রহণ করাটাই বড় কথা। তার নানার কাছ থেকে শেখা গোড়া দৌড়ই এখন তার নেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানায় সে।
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদি থেকে এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন আলিফ নামের এক শিশু। কটিয়াদি উপজেলার বড়গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে আলিফ। এখানে অংশগ্রহণ করে সে চ্যাম্পিয়ান হয়েছে। এতে সে মহা খুশি। সে লেখাপড়ার পাশাপাশি ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে দেশে খ্যাতি অর্জন করতে চায়।
আয়োজকদের দাবি এই ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতাটি একসময় খুবই প্রচলন ছিল কিন্তু এখন এই খেলাটি হারিয়ে যেতে বসেছে। তাই খেলাটি নতুন প্রজন্মদের দেখানোর জন্য এই আয়োজন।ভবিষ্যতেও এই খেলাটি আয়োজনের প্রত্যাশা করেন আয়োজকরা।