নীলফামারীতে নতুন আলুর কেজি ৯০ টাকা

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে আগাম আলু উত্তোলন করা শুরু হয়েছে। আলু উৎপাদন করে ভাগ্য বদলের পাশাপাশি দেশের অর্থনীতে ভূমিকা রাখছে এ অঞ্চলের কৃষকেরা। এবার এ উপজেলার কৃষকেরা নতুন আলু ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন বলে জানা যায়। এ অঞ্চলে চাষ হওয়া আলু স্থানীয় বাজারের চাহিদা পূরণ করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করা হয়।

বুধবার (২০ নভেম্বর) সকালে উপজেলা রনচন্ডী ইউনিয়নের কুঠিয়াল পাড়া গ্রামের কয়েকজন কৃষক আগাম আলু উত্তোলন করছেন। আলু রোপনের ৫৫- ৬০ দিনের মধ্যে আলু উত্তোলন করা হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাঠে কেউ মাটি খুড়ছে, কেউ কুড়াচ্ছে। কেউ ঠেসে ঠেসে বস্তা ভরছে। কোথাও আবার ডিজিটাল মিটারে চলছে ওজন মাপা হচ্ছে। আলু তোলার এমন দৃশ্য দেখা যায় বিস্তৃণ মাঠ জুড়ে।


জানা যায়, প্রতি বছর এ উপজেলার ক্ষুদ্র-প্রান্তিক কৃষক আমন ধান ঘরে তুলে আগাম বাজার ধরার আশায় আলুর বীজ বপন করেন। বর্তমানে সেই ক্ষেত থেকে আলু উত্তোলন শুরু হয়েছে। বাড়তি ঝামেলা ছাড়াই ক্ষেতেই আলু বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া কয়েক দিনের মধ্যে পুরোপুরি মাঠ থেকে আলু উত্তোলন শুরু হবে। চলতি বছর ৬ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

কৃষক আনারুল ইসলাম বলেন, বরাবরের মত চলতি বছর ১৫ সেপ্টেম্বরে বুননকৃত জমিতে ৫৫ থেকে ৬০ দিনে ফলনযোগ্য আগাম আলু উত্তোলন করছি।জমিতে নারী-পুরুষ মিলে ২০ জন শ্রমিক কাজ করছে। আগাম হিসেবে ফলন কিছুটা কম হলেও বাড়তি খরচ ছাড়াই ক্ষেতের আলু ক্ষেতে ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করলাম।

আরেক কৃষক আকবর হোসেন বলেন, আমি আগাম আলু রোপন করেছিলাম আমার খরচ গিয়ে মোটামুটি ভালো লাভ হবে কেজি প্রতি ৯০ টাকা পাইকারের কাছে বিক্রি করলাম।


ঢাকা থেকে আলু কিনতে আসা পাইকার মাসুূদ রানা বলেন, প্রতিবছর এখান থেকে আগাম আলু নিয়ে গিয়ে রাজশাহী, বগুড়া, ঢাকায় বিক্রি করি। এখান থেকে আগাম আলু কিনে ঢাকায় বিক্রি করলে বর্তমান বাজারে যাতায়াত খরচ গিয়ে মোটামুটি লাভ হবে আশা করছি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ লোকমান আলম বলেন, প্রতিবছর এ উপজেলার কৃষকেরা আগাম সেভেন জাতের আলু চাষ করে থাকেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আগাম আলু উত্তোলন শুরু হয়েছে। এবছর ৬ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে আগাম আলু চাষ করা হয়েছে ৪ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে। এবছর কৃষক আগাম আলু ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন।