জামায়াতের সম্ভাব্য এমপি প্রার্থীর জন্য ভোট চাইলেন বৌদ্ধ ধর্মগুরু

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

জামায়াতের সম্ভাব্য এমপি প্রার্থীর জন্য ভোট চাইলেন বৌদ্ধ ধর্মগুরু

জামায়াতের সম্ভাব্য এমপি প্রার্থীর জন্য ভোট চাইলেন বৌদ্ধ ধর্মগুরু

চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর সম্ভাব্য এমপি প্রার্থী অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিনের জন্য ভোট চেয়েছেন এক বৌদ্ধ ধর্মগুরু। ওই সমাবেশে বৌদ্ধ ও হিন্দু সম্প্রদায়ের বেশ কয়েকজন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি উপস্থিত হয়ে জামায়াতের প্রার্থীর প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেন।

জানা যায়, গত শনিবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে আওয়ামী লীগ অধ্যুষিত এলাকা হিসেবে পরিচিত ধর্মপুর আজাদী বাজারে ৩৬ বছর পর প্রীতি সমাবেশ করে জামায়াত ইসলামী দক্ষিণ ফটিকছড়ি শাখা। ওই সমাবেশে হিন্দু ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতাদের দলবল নিয়ে উপস্থিতি ও আসন্ন সংসদ নির্বাচনে জামায়াতের সম্ভাব্য এমপি প্রার্থী অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিনের জন্য ভোট চাওয়ার বিষয়টি এখন ‘টক অব দ্য ফটিকছড়ি’তে পরিণত হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

আলোচিত সেই সমাবেশে কোঠেরপাড় বৌদ্ধ ত্রিরত্নাঙ্কুর বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত সুগতপ্রিয় মহাস্থবির বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, আমি আপনাদের কাছে একটি আবদার করবো। সেটি হচ্ছে ফটিকছড়িতে আগামী নির্বাচনে নুরুল আমিন সাহেবকে ভোট দিবেন। আমরা সবাই তার সাথে আছি।

মঞ্চে উপস্থিত প্রধান অতিথি শাহজাহান চৌধুরীকে উদ্দেশ করে এই বৌদ্ধ গুরু বলেন, আমার শাহজাহান ভাই দুইবারের এমপি। উনি আবার এমপি হবেন। এ সময় উপস্থিত জনতা তাকে হাততালি দিয়ে স্বাগত জানান।

বিজ্ঞাপন

সমাবেশে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের অন্যদের মধ্যে কোঠেরপাড় বৌদ্ধ কল্যাণ সমিতির সভাপতি লায়ন প্রশান্ত বড়ুয়া, সিনিয়র সহ-সভাপতি সজল বড়ুয়া, যুগ্ম সম্পাদক অজয় বড়ুয়া উপস্থিত ছিলেন।

সমাবেশে বেশ কয়েকজন হিন্দু প্রতিনিধি উপস্থিত হয়ে জামায়াত নেতা অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিনকে আসন্ন নির্বাচনের জন্য সমর্থন জানান। তারা সমাবেশের প্রধান অতিথি শাহজাহান চৌধুরী ও বিশেষ অতিথি নুরুল আমিনকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে ডা. বাবুল দাশ, জগন্নাথ মন্দির কমিটির সভাপতি ডা. বাবুল দাশ, সহ-সভাপতি তপন কুমার নাথ, সেক্রেটারি কাঞ্চন দাশ ও সদস্য কালীপদ পাল, বিমল নাথ, চাবন দাশ, বাবুল দাশ, সুবাশ বণিক, সুজন শীল, রুবেল নাথ, নারায়ণ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, দক্ষিণ ফটিকছড়ির সাতটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ অধ্যুষিত। সন্ত্রাসের জনপদ বলে পরিচিত ওই এলাকায় সবসময় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সশস্ত্র ক্যাডাররা নিয়ন্ত্রণ করতো। এমনকি গত জোট সরকারের আমলেও দক্ষিণ ফটিকছড়িতে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা বাড়িঘরে যেতে পারতো না।