'বৈষম্য বিরোধী ছাত্র হত্যাকারীসহ ১৬ বছরের সব হত্যার বিচার হবে'

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বেনাপোল (যশোর)
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র হত্যাকারীসহ ১৬ বছরের সব হত্যার বিচার হবে

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র হত্যাকারীসহ ১৬ বছরের সব হত্যার বিচার হবে

শুধু ছাত্র-জনতা হত্যা নয়, গত ১৬ বছরে আ'লীগ সরকারের শাসনামলে যেসব হত্যার ঘটনা ঘটেছে তার সব বিচার করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এএফ হাসান আরিফ।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত শহীদ আবদুল্লার কবর জিয়ারত ও পরিবারকে সান্তনা সভায় বেনাপোলে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

উপদেষ্টা এএফ হাসান আরিফ বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যারা হত্যার শিকার হয়েছেন তাদের হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। আজকে আসামিদের আদালতে তোলা হয়েছে। শুধু ছাত্র-জনতা হত্যা নয়, গত ১৬ বছরে আ'লীগ সরকারের শাসনামলে যেসব হত্যার ঘটনা ঘটেছে তার সব বিচার করা হবে।

এসময় তিনি আরও বলেন, দলীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা দিতে নির্বাচনী প্রক্রিয়া এগিয়ে চলছে।

বিজ্ঞাপন

এদিকে আবদুল্লাহর স্মৃতি ধরে রাখতে বেনাপোল পৌর গেটকে শহীদ আবদুল্লাহ পৌর গেট করার দাবি উপদেষ্টার কাছে তুলে ধরেন স্থানীয়রা।

এর আগে গত ১৪ নভেম্বর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়ি গিয়েছিলেন নৌ-পরিবহন ও শ্রম এবং কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম , নাভরন সার্কেল পুলিশের এএসপি নিসাত আল নাহিয়ান, বেনাপোল পোর্টথানা ওসি রাসেল মিয়া, বেনাপোল পৌর বিএনপির সেক্রেটারি আবু তাহের ভারত,জামায়াতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সুরা সদস্য ও যশোর জেলা আমির আজিজুর রহমান, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র সমাজের বেনাপোল শাখার উপদেষ্টা আব্দুল মান্নান মাস্টার, শার্শা উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মোস্তাফিজ্জোহা সেলিম, সদস্য সচিব ইমদাদ হোসেন, বেনাপোল স্থলবন্দরের হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ন ৯২৫ এর আহ্বায়ক শহিদ আলীসহ স্থানীয় রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবিন্দ।

নাভরন সার্কেল পুলিশের এএসপি নিসাত আল নাহিয়ান ব্যক্তিগতভাবে এসময় আব্দুল্লাহর পরিবারকে অর্থ সহয়তা করেন।

আব্দুল্লাহ বেনাপোল পোর্ট থানার বড়আঁচড়া টার্মিনাল পাড়া গ্রামের দিনমজুর আব্দুল জব্বারের ছেলে। মা মাবিয়া বেগম। তারা তিন ভাই ও এক বোন। আব্দুল্লাহ ছিল সবার ছোট। তিনি ঢাকায় বোনের বাসায় থেকে লেখাপড়া করতেন। রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। আন্দোলনের শুরু থেকেই সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন আবদুল্লাহ। গত ৫ আগস্ট রাজধানীর তাঁতিবাজার মোড়ে বংশাল থানার সামনে গুলিবিদ্ধ হন আবদুল্লাহ। তার কপালের ঠিক মাঝ বরাবর গুলি লাগে।

দীর্ঘ সময় রাস্তায় পড়ে থাকার পর প্রথমে তাকে মিটফোর্ড এবং পরে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচার করে তার মাথা থেকে বের করা হয় গুলি। এরপর তাকে বেনাপোলে নিয়ে যান স্বজনরা। বাড়িতে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ১১ আগস্ট রাতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় ডাক্তাররা দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ২২ আগস্ট তাকে সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৩ নভেম্বর সে মৃত্যুর কাছে হার মানে।