শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) সাতক্ষীরা সদরের পলাশপোল এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
বিজ্ঞাপন
র্যাব-৬ জানায়, সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার দুর্ধর্ষ প্রতারক গ্রুপের প্রধান আসামি হাবিবুল্লাহ হাবিব সাতক্ষীরা ও যশোর জেলাসহ আশপাশের এলাকার সাধারণ মানুষের কাছে থেকে কালোবাজারি, দাঙ্গা সংঘটন, সরকারি কাজে বাধাদান, সরকারি কর্মচারীদের ওপর হামলা, অবৈধ বিস্ফোরক সামগ্রী নিজ আয়ত্তে রাখা, অস্ত্র ব্যবসা, জমি দখল, সরকারি চাকরী দেওয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নেওয়া, ঢাকায় ফ্ল্যাট বাসা ভাড়া নিয়ে নারীদের দিয়ে দেহ ব্যবসাসহ তার নামে মোট ৯টি মামলা রয়েছে। সরকার পতনের পর সাতক্ষীরা এলাকায় পুনরায় প্রতারনা চক্রের জাল বিছিয়ে নতুন করে এলাকায় প্রতারক চক্রটি সক্রিয় হয়ে উঠছে বলে র্যাবের কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিল। তার নামে একাধিক মামলাসহ গ্রেফতারী পরোয়না ভুক্ত ফেরারী আসামি হওয়া সত্ত্বেও নিজেকে আত্মগোপনে রেখে তার দলের অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে অপরাধ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিল।
র্যাব-৬ সাতক্ষীরা ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পেরে সাতক্ষীরার পলাশপোল এলাকা থেকে আটক করা হয়।
বিজ্ঞাপন
গ্রেফতারকৃত আসামিকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বরেন্দ্র অঞ্চলের মাঠজুড়ে এখন সোনালি ধানের উৎসব। শুরু হয়েছে আমন ধান কাটার মৌসুম। দলবদ্ধভাবে এখন ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। মাঠে তৈরি হয়েছে উৎসবমুখর পরিবেশ। কেউ ধান কেটে জমি খালি করছেন, আবার কেউ মাড়াই শেষে ধান বস্তায় ভরে বাড়িতে তুলছেন। বাম্পার ফলনের আনন্দে কৃষকরা নতুন স্বপ্ন বুনছেন।
এ বছর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা, যা কৃষকদের মনে বাড়তি উৎসাহ যোগাচ্ছে।
কৃষকরা বলছেন, মৌসুমের প্রথমদিকে আবহাওয়ার অনিয়মিত পরিস্থিতি ও খরার কারণে আমন উৎপাদন নিয়ে কিছুটা শঙ্কা তৈরি হয়েছিল, তবে শেষ পর্যন্ত প্রকৃতির অনুকূলতায় সেই শঙ্কা কাটিয়ে উঠেছেন।
কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, বর্তমানে রাজশাহী জেলায় আমনের বাম্পার ফলনের দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। এ সফলতার পেছনে জমির পরিমাণ বৃদ্ধি, কৃষি বিভাগের সঠিক নির্দেশনা, এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মাঝেও কৃষকদের প্রচেষ্টা ও ধৈর্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সূত্রে জানা গেছে, এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে আমন আবাদ হয়েছে। এই অতিরিক্ত আবাদ এবং পরিবেশের সহায়ক পরিস্থিতির কারণে আমনের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা করা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে তারা জানিয়েছেন যে কৃষকরা বর্তমানে ধান কাটার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন এবং ইতিমধ্যেই বাজারে ধানের ভালো মূল্য পাওয়ায় তাদের মাঝে সন্তোষ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
কৃষি অফিস বলছে, চলতি মৌসুমে রাজশাহীতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮৩ হাজার ৫৬৭ হেক্টর জমি। তবে বাস্তবে চাষ হয়েছে ৮৪ হাজার ১০৫ হেক্টর জমিতে। এ আবাদ থেকে ৩ লাখ ৫ হাজার ৭৬২ মেট্রিক টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে আবাদের ৩০ শতাংশ জমি থেকে ধান কর্তন সম্পন্ন হয়েছে, যার পরিমাণ প্রায় ৯২ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন। এই তথ্যের ভিত্তিতে এ বছর আবাদের লক্ষ্যমাত্রা যেমন ছাড়ানো সম্ভব হয়েছে, তেমনি উৎপাদনেও রেকর্ড সৃষ্টি হবে বলে জানান কৃষি কর্মকর্তারা।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে আমনের জন্য নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮১ হাজার ৭৫৯ হেক্টর জমি, যার মধ্যে আবাদ হয়েছিল ৮৩ হাজার ১৭৭ হেক্টরে। ঐ বছর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছিল দুই লাখ ৯১ হাজার ৬২ মেট্রিক টন। ২০২২-২৩ অর্থবছরেও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে আবাদ হয়েছিল, এবং উৎপাদনের ক্ষেত্রেও লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব হয়েছিল। অর্থাৎ ধারাবাহিকভাবে গত কয়েক বছর ধরে আমন উৎপাদনে রাজশাহী জেলার কৃষকরা সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছেন। তবে পূর্ববর্তী বছরগুলোর তুলনায় এবার আমনের আবাদ ও উৎপাদনে বেশ ভালো অগ্রগতি হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জেলার গোদাগাড়ী, পবা, এবং দূর্গাপুর উপজেলায় ধান কাটার চিত্র বিশেষভাবে লক্ষ্য করা যায়। এখানে উৎসবমুখর পরিবেশে কৃষকরা তাদের ফসল কেটে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন এবং কেউ কেউ মাঠের পাশেই মাড়াইয়ের কাজ করছেন। ধান মাড়াইয়ের সময়ও স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে সহযোগিতার এক আবহ সৃষ্টি হয়েছে, যা কৃষি সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে দেখা যায়। কৃষকদের মধ্যে এক ধরনের আত্মবিশ্বাস দেখা যাচ্ছে। কারণ মৌসুমের শুরুতে বাজারে ধানের ভালো দাম পেয়েছিলেন তারা।
কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এবারের আমন মৌসুমে শুরুতে অনাবৃষ্টি এবং পরে অতিবর্ষণের কারণে কিছু কিছু জমিতে ধানের ক্ষতি হলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বাম্পার ফলন হয়েছে। অনেক জমিতে ডুবে যাওয়ার ফলে ফলন কম হয়েছে, তবে এতে পুরো চাষাবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার কৃষক আফজাল হোসেন জানান, তার আড়াই বিঘা জমিতে আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। পানির খরচ কিছুটা বেশি হলেও ফলন আশানুরূপ হচ্ছে। প্রতিটি বিঘায় ২২ মণের বেশি ধান হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন।
দূর্গাপুর উপজেলার কৃষক শহীদুল ইসলাম জানান, তিনি দুই বিঘা জমিতে আমন আবাদ করেছেন এবং মোটামুটি ভালো ফলন পেয়েছেন। বন্যার সময় কিছু জমি ডুবে গিয়েছিল, তবে বাকি জমিতে ভালো ফসল হয়েছে। তিনি আশাবাদী যে এ মৌসুমে তিনি লাভবান হবেন।
পবা উপজেলার কৃষক বারিউল হক বলেন, এবার আমন ধানের ফলন খুবই ভালো হয়েছে। মৌসুমের শুরুতে আবহাওয়া নিয়ে কিছুটা শঙ্কা থাকলেও শেষ পর্যন্ত বাম্পার ফলন পেয়েছি। আমার তিন বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছি, আর প্রত্যেক বিঘায় ২০ মণের বেশি ফলন হয়েছে। ধানের দামও ভালো পাওয়া যাচ্ছে। আশা করছি, এবার খরচ তোলার পর হাতে ভালো পরিমাণ টাকা থাকবে। এই ফলন আমাদের পরিবারের জন্য অনেক স্বস্তি এনে দিয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোসা. উম্মে ছালমা জানান, এখন পর্যন্ত ৩০ শতাংশ জমির ধান কাটা হয়েছে এবং ফলন ভালো হচ্ছে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে আবাদ হওয়ায় আশা করছি যে এ বছর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রাও ছাড়িয়ে যাবে।
বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় মাকে হত্যার অভিযোগে ছেলেকে গ্রেফতারের ঘটনাটি নাটকীয় মোড় নিয়েছে। পুলিশের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে আসল তথ্য। জানা যায়, এ হত্যাকাণ্ড ছেলে নয় ঘটিয়েছে নিহতের বাসায়ই ভাড়া থাকা ভাড়াটিয়া ও তার দুই সহযোগী।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বগুড়ার গোয়েন্দা পুলিশ ওই বাড়ির ভাড়াটিয়া এক নারী ও দুই পুরুষকে গ্রেফতারের পর বেরিয়ে আসে এই তথ্য।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছেন, আজিজিয়া মঞ্জিল নামের ওই বাড়ির চতুর্থ তলার ভাড়াটিয়া মাবিয়া (৪২) ও তার দুই সহযোগী সুমন চন্দ্র (৩৫) এবং মোসলেম উদ্দিন (৪৫)।
দুপচাঁচিয়া থানা পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় সাদ বিন আজিজুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে সাদ হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে। পরে তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতায় নিহত উম্মে সালমার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি মোসলেম উদ্দিনের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। পরে মোসলেম উদ্দিনের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ভ্যান চালক সুমন চন্দ্র ও ভাড়াটিয়া মাবিয়া খাতুনকে গ্রেফতার করা হয়।
আটকের পর মাবিয়া, সুমন ও মোসলেম উম্মে সালমাকে হত্যার কথা স্বীকার করে ঘটনার পুরো বর্ণনা দিয়েছে। পরে তাদের দেখানো জায়গা থেকে পুলিশ আলামত হিসেবে প্রধান গেটের তালার চাবি, রাউডার, মোবাইল ফোন উদ্ধার করে।
গ্রেফতারের পর মাবিয়া পুলিশকে জানান, চার মাস আগে উম্মে সালমা আজিজিয়া মঞ্জিলের চতুর্থ তলা ভাড়া নিয়ে একাই বসবাস করতেন। বাসায় মাদক বিক্রি এবং অনৈতিক কাজের অভিযোগ তুলে উম্মে সালমা ও তার স্বামী আজিজুর রহমান তাকে এক মাসের মধ্যে বাসা ছেড়ে দিতে বলেন। তার কাছে দুই মাসের ভাড়াও পাওনা ছিলো। বিষয়গুলো নিয়ে মাবিয়া উম্মে সালমার উপর ক্ষুব্ধ ছিলেন। তাই তিনি তার সহযোগী ও মাদক ব্যবসায়ী সুমন চন্দ্র সরকার এবং মোসলেমকে নিয়ে গত শনিবার উম্মে সালমাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
পরিকল্পনা মাফিক রোববার সুমনের ভ্যানে মোসলেম ওই বাসায় আসেন। বেলা ১২টার দিকে মাবিয়া প্রথমে তিন তলায় প্রবেশ করেন। তারপর পরই সুমন ও মোসলেম বাসায় ঢুকেই চেতনানাশক স্প্রে করে উম্মে সালমাকে অচেতন করেন। এরপর তার নাক মুখ ও হাত বেঁধে বাসার ডিপ ফ্রিজে ঢুকিয়ে রেখে তারা তিনজন সেখান থেকে বেরিয়ে যায়।
বগুড়া জেলা পুলিশের মুখপত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন রঞ্জন সরকার বলেন, উম্মে সালমা হত্যার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী কিছু আলামত উদ্ধারের পর তাদেরকে শুক্রবার বিকেলে আদালতে নেয়া হয়েছে। আদালতে জবানবন্দী দেয়ার পর বিস্তারিত জানানো হবে।
এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রাথমিক তদন্ত এখনও শেষ হয়নি বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত রোববার দুপচাঁচিয়া পৌর শহরের জয়পুরপাড়া এলাকায় আজিজিয়া মঞ্জিল নামের নিজ বাড়িতে হত্যাকাণ্ডের পর খুনিরা উম্মে সালমার মরদেহ ডিপ ফ্রিজে রেখে যান। দু'দিন পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য উম্মে সালমার ছোট ছেলে সাদ বিন আজিজুর রহমানকে আটক করে র্যাব। পরদিন র্যাব প্রেস ব্রিফিং করে জানায় উম্মে সালমার ছেলে সাদ বিন আজিজুর রহমান স্বীকার করেছেন তিনি নিজেই তার মাকে হত্যা করেছেন।
ফ্যাসিবাদের শেকড় অনেক দূর ছড়িয়ে আছে বলে মন্তব্য করে অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, ফ্যাসিস্টের শেকড় এতটাই গভীরে চলে গেছে যে তাদের বিরুদ্ধে লড়াই এত সহজ নয়। গত ১৫ বছরে তারা জড়ো হয়েছে আর এদিকে আমরা কয়েক সপ্তাহ এই প্রক্রিয়ার বিপরীতে কাজ করছি।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) এশিয়ান ফেডারেশন অ্যাগেইনস্ট ইনভলান্টারি ডিসএপিরেন্স (এএফএডি)-এর অনুষ্ঠানে আসিফ নজরুল এ কথা বলেন। দুই দিনব্যাপী অষ্টম কংগ্রেসের উদ্বোধনী এ অনুষ্ঠানে গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আসিফ নজরুল বলেন, খুনের চেয়েও গুম ভয়াবহ। সক্ষমতার ঘাটতি থাকতে পারে কিন্তু গুমের বিরুদ্ধে আইন করায় আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি নেই অন্তর্বর্তী সরকারের।
আইন উপদেষ্টা বলেন, হত্যাকাণ্ডের চেয়ে গুম খারাপ অপরাধ। গুমের শিকার পরিবারের সদস্যদের পুনর্বাসনের বিষয়ে চিন্তা করছে সরকার।
অনুষ্ঠানে গুমের শিকার পরিবারের স্বজনরা নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা জানান।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সেনাবাহিনীর অভিযান চালিয়ে বেশকিছু আগ্নেয়াস্ত্র গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ৩ জনকে আটক করেছে। তাদের মধ্যে একজন যুবদল ও অপর একজন যুবলীগের নেতা।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) মধ্যরাতে উপজেলার পিয়ারপুর ইউনিয়নের জগন্নাথপুর এলাকায় এ অভিযান পরিচালিত হয়।
আটককৃতরা হলেন, দৌলতপুর উপজেলার পিয়ারপুর ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামের উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক জহুরুল করিম বিশ্বাসের ছেলে জারিফ হাসান বিশ্বাস (২৮), নজরুল করিম বিশ্বাসের ছেলে পিয়ারপুর ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক সোহাগ আলী বিশ্বাস (৪০), সাহেব আলীর ছেলে পিয়ারপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম (৪৫)।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে কুষ্টিয়া সেনাক্যাম্পের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার রাত ২টা থেকে শুক্রবার ভোর ৬টা পর্যন্ত জেলার দৌলতপুর উপজেলার পিয়ারপুর ইউনিয়নের জগন্নাথপুর এলাকায় গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালিত হয়। উপজেলার পিয়ারপুর কুষ্টিয়া আর্মি ক্যাম্প রওশন আরা রেজিমেন্ট আর্টিলারি এ অভিযান পরিচালনা করে।
এসময় জারিফ হাসান, জাহাঙ্গীর ও সোহাগের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে দুটি বিদেশি পিস্তল, ১২ রাউন্ড গুলি, দুটি দেশীয় তৈরি ওয়ান শুটার গান, দেশীয় তৈরি ওয়ানশুটার গানের ৭ রাউন্ড গুলি, একটি এয়ারগান, এয়ারগানের ১১৮ রাউন্ড গুলি, ৯টি ককটেল ও দেশীয় তৈরি বিপুল পরিমাণ রামদা, হাসোয়া ও হাতকুড়াল উদ্ধার করা হয়।
কুষ্টিয়া সেনাক্যাম্পের ক্যাপ্টেন সোহানুর জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে শুক্রবার ভোর পর্যন্ত কুষ্টিয়া সেনাবাহিনীর সদস্যরা জেলার দৌলতপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদসহ ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে এ অভিযান পরিচালিত হয়। আটককৃতদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে।