গণঅভ্যুত্থানের পর দুর্বৃত্তের হামলায় বন্ধ হওয়া গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক তিন মাস পর প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে। তবে অতিতের নাম পরিবর্তন করে গাজীপুর সাফারি পার্ক নামকরণ করা হয়েছে। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সকাল থেকে যথারীতি নিয়মে পার্কটি চালু করা হয়েছে।
এর আগে, গত ৫ আগস্ট হাসিনা সরকার পতনের পর গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বাঘের বাজার এলাকায় নির্মিত সাফারি পার্কে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করে দুর্বৃত্তরা। এর জেরে বন্ধ হয়ে যায় সাফারি পার্কটি।
বিজ্ঞাপন
এদিকে শীত মৌসুমের শুরুতে পর্যটকদের ব্যাপক সমাগম হয়। যা বিবেচনা করে সাময়িকভাবে দর্শনার্থীদের জন্য পার্কটি খুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানান, সহকারী বন সংরক্ষক পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম।
তিনি আরও বলেন, গত ৫ আগস্ট দুর্বৃত্তরা পার্কের মূল ফটক ভেঙে দেয়। এছাড়াও ভেতরের বিভিন্ন স্থাপনা ভেঙে পশুপাখি চুরিসহ অন্তত আড়াই কোটি টাকার ক্ষতিসাধন করে। তবে তিন মাসের ভেতর পার্কের সংস্কার কাজ শেষের দিকে এনে দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। আশা করছি পার্কটি পূর্বের মতোই দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠবে।
জুলাইয়ের ছাত্র আন্দোলনে নিহত কলেজছাত্র তানভীর ছিদ্দিকীর চাচতো ভাই কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলা যুবদল নেতা জিয়াউর রহমানকে জিয়াকে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগে তুলেছেন পরিবারের সদস্যরা।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে এমন অভিযোগ তোলেন তারা। কর্মসূচিতে পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি ছাত্র-জনতাও অংশ নেন।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়ারা বলেন, মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও শহীদ তানভীর সিদ্দিকী হত্যা মামলার অন্যতম আসামি তারেক বিন উসমান শরীফের ইন্ধনেই জিয়াকে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে।
মানববন্ধনে শহীদ তানভীর সিদ্দিকীর ফুফি খায়রুন্নেছা রুবি বলেন, ‘যুবদল নেতা জিয়াকে গ্রেফতারের পেছনে আরও ইন্ধন দিয়েছে শহীদ তানভীর সিদ্দিকী হত্যা মামলার অন্যতম আসামি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি উসমান গণি। তার সে সময়ের রাজনৈতিক সহযোগী, বন্ধু ও ছাত্রলীগের ক্যাডারদের অনেকে বর্তমানে প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছেন। এই মাফিয়া নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে জাতীয়তাবাদী নেতাকর্মী ও জুলাই অভ্যুত্থানের বিপ্লবীদের নিধনের ঘৃণ্য মিশনে নেমেছেন তিনি।’
তানভীর সিদ্দিকীর চাচা কামরুল হাসান রুবেল বলেন, ‘৫ ও ৬ই আগস্ট বা তারও পরবর্তী সময়ে স্থানীয় ও জাতীয় গণমাধ্যমে প্রচারিত খবরে মহেশখালী থানায় হামলা কিংবা পুলিশের অস্ত্র লুটের অভিযোগ পাওয়া যায়নি। কক্সবাজার মডেল থানা, ঈদগাও থানা এবং চট্টগ্রামের চাঁন্দগাও থানায় উত্তেজিত জনতার হামলার খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার করা হয়েছে। জুলাই বিপ্লবের সেই উত্তাল সময়ে জিয়া মহেশখালী অবস্থান করছিলেন। এমতাবস্থায় তার কাছে পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারের তথাকথিত দাবি কীভাবে যুক্তিসঙ্গত হতে পারে?’
কামরুল হাসান বলেন, ‘প্রশাসন যেভাবে তাকে একজন দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে উপস্থাপন করলো তাতে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠে তাহলে কেন তিনি দুটি অস্ত্র এবং তাজা বুলেট নিয়ে নিঃসংকোচে নিজের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন?’
শহীদ তানভীর সিদ্দিকীর দাদা মো. শফি বলেন, ‘গতমাসে শহীদ তানভীর সিদ্দিকীর পরিবারকে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে একটি বাড়ি নির্মাণ করে দেওয়া হয়। যা সারাদেশে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে। বাড়ি হস্তান্তর অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিলেন শহীদ তানভীর সিদ্দিকীর চাচাতো ভাই জিয়া। তার তত্ত্বাবধানে হস্তান্তর অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয়। তখন সেখানে প্রশাসনের লোকজন, বিশেষ করে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ও সদস্যবৃন্দ, পুলিশ ও এবং স্থানীয় সচেতন নাগরিকেরা উপস্থিত ছিলেন। তখন কারো মনে হলো না জিয়া একজন দুর্ধর্ষ ডাকাত! সেলুকাস! পরবর্তী সময়ে কক্সবাজার জেলার ডিসি মহোদয়ও শহীদ তানভীর সিদ্দিকীর কবর জিয়ারত ও তার পরিবারের খোঁজখবর নিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি ও তার সঙ্গে থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো সদস্য ঘুণাক্ষরেও টের পাননি জিয়া ভয়ংকর ডাকাত!’
আসলে জুলাই বিপ্লবের স্টেকহোল্ডারদের বিবৃত সতর্কবার্তাই সঠিক। আওয়ামী ফ্যাসিস্ট ও দোসরদের অর্থনীতির খুঁটি অনেক শক্ত। তারা বিগত পনেরো বছর চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, জবরদখল, দুর্নীতি করে টাকার পাহাড় তৈরি করেছে। তারা ইতোমধ্যে সেই টাকা দিয়ে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে দেশকে অস্থিতিশীল করার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। এসব খুনিরা নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি জুলাইয়ের বিপ্লবীদের নিধনের মিশনে নেমেছে। প্রশাসনের নাকে৷ ডগায় বসেই তারা এসব অপকর্ম করছে।
শহীদ তানভীর সিদ্দিকীর পিতা বাদশা মিয়া বলেন, ‘স্বৈরাচারের পতন হয়েছে আজকে প্রায় সাড়ে তিনমাস হতে চললো। শহীদ তানভীর সিদ্দিকী হত্যা মামলার একজন আসামিকেও প্রশাসন গ্রেফতার করেনি। জনমনে প্রশ্ন উঠেছে, শহীদ তানভীর, আবু সাঈদ, ওয়াসিমসহ প্রায় দেড় হাজার শহীদের আত্মদান কি তবে ব্যর্থ হবে? আমরা এটা হতে দিতে পারি না। প্রয়োজনে দেহের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও এই স্বাধীনতা আমরা রক্ষা করবো।অবিলম্বে জুলাইয়ের হত্যাকারী ও ষড়যন্ত্রকারীদের গ্রেফতারপূর্বক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। আর জিয়ার বিরুদ্ধে করা সকল ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা-বানোয়াট মামলা প্রত্যাহার করে তাকে মুক্তি দিতে হবে।’
শহীদ তানভীর সিদ্দিকীর চাচাতো ভাই দেলোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- শহীদ তানভীর সিদ্দিকীর চাচা মহেশখালী উপজেলা যুবদলের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি আবু হেনা মোস্তফা কামাল, সাবেক ছাত্রদল নেতা রবিউল হাসান কর্নেল, আরকান শাহরিয়ার, মো. কাজল, শ্রমিক দল নেতা সরওয়ার আলম, চট্টগ্রাম যুব ক্যাবের সভাপতি মো. আবু হানিফ, বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবির নেতা নিয়াজ উদ্দিন দিনার, সৈয়দ সোহরাব সাহল, বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিমেল, হাজেরা তজু কলেজের শিক্ষার্থী আফসানসহ অসংখ্য কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও সাধারণ জনগণ মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নেন।
অন্তর্বর্তী সরকার তিন দফায় ১৬৭ জন সাংবাদিকের অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিল করায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা। এ তালিকায় অনেক পেশাদার ও সক্রিয় সাংবাদিক এবং সম্পাদকের নামও রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম ‘ইন্ডিপেন্ডেন্ট’।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস অন্তর্বর্তী সরকারের এই পদক্ষেপের জন্য এক বিবৃতিতে বলেছে, সাংবাদিকদের অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিল করা ‘সেলফ সেন্সরশিপকে’ উৎসাহিত করে।
তারা আরাও জানিয়েছে, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক বিভিন্ন মামলা পর্যবেক্ষণের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হলেও সেই কমিটি গঠনের এক সপ্তাহের মধ্যে অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিল করার কারণ তাদের কাছে বোধগম্য নয়।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারনেশনাল বাংলাদেশে (টিআইবি) বিবৃতি উল্লেখ করে বলা হয়েছে, সংবাদপত্রের বিরুদ্ধে হুমকি ও হামলার বিভিন্ন ঘটনাসহ এই অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিল করার পদেক্ষপ একটি গণবিরোধী কর্তৃত্ববাদী শাসনকে নির্দেশ করে।
এছাড়া বাংলাদেশের সম্পাদক পরিষদের বিবৃতি উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্পাদক পরিষদ মনে করে, অ্যাক্রেডিটেশন কার্ডের কোনো অপব্যবহার হলে তা রিভিউ করার অধিকার তথ্য মন্ত্রণালয় রাখে। তবে এভাবে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও অপরাধের প্রমাণ ছাড়াই ঢালাওভাবে প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিলের পদক্ষেপ সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য হুমকি ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিতের অন্তরায়।
এর মধ্য দিয়ে গণমাধ্যমে সেন্সরশিপসহ নিয়ন্ত্রণবাদী পরিবেশ তৈরির ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে, যা জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের মূল চেতনারও পরিপন্থি। বিষয়টিকে বিগত অতি নিয়ন্ত্রণবাদী কাঠামোর অগণতান্ত্রিক চর্চারই পুনরাবৃত্তি হিসাবে দেখছে সম্পাদক পরিষদ।
উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের তোপে ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে পালিয়েছে শেখ হাসিনা। একই সাথে ভেঙে গেছে দীর্ঘদিনের আওয়ামী শাসন। এরপর ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
দায়িত্ব নেওয়ার পরই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও মুক্ত সংবাদপত্র সমুন্নত রাখার অঙ্গীকার করেছিলেন প্রধান উপদেষ্টা। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, আপনারা যেমন খুশি লিখুন, সমালোচনা করুন। আপনারা না লিখলে আমরা কী করে বুঝব যে, কী হচ্ছে আর কী হচ্ছে না?
নিজেদের অবস্থান জানান দিতে কাকরাইল মসজিদসহ আশেপাশের সড়কে পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করেছেন সাদপন্থীরা। পরে নামাজ শেষে মোনাজাতের পর অবস্থান ছেড়ে নিজ নিজ গন্তব্যে চলে যাচ্ছেন উপস্থিত মুসল্লিরা। ফলে ফাঁকা হতে শুরু করেছে কাকরাইল মসজিদসহ আশপাশের এলাকা।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বেলা ১টার পর অবস্থান ছাড়তে শুরু করেন সাদপন্থীরা। এর আগে ১২টার আগে থেকেই নামাজের প্রস্তুতি নেন তারা। এ সময় উপস্থিত ইমামদের বয়ানের মধ্যে দিয়ে শেষ হয় খুদবা।
সাদ অনুসারীদের এটিই হবে সব থেকে বড় জামায়াত খুদবার বক্ত্যবে এমনটাই জানিয়েছিলেন নামাজের ইমাম। পরে নামাজ শেষে মসজিদের মাইকে মুসল্লিদের অবস্থান ছেড়ে গন্তবে চলে যাওয়ার ঘোষণা দেন ইমাম।
এ সময় আগামী ৭ ডিসেম্বর বড় মজমার ঘোষণা দেন ইমাম। তিনি জানান, দেশ বিদেশের হযরতরা আসবেন সে মজমায়। আলোচনা হবে তাবলিক জামায়াতের মেহনত ও সমসাময়িক বিষয়ে।
এর আগে এদিন সকালে তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষ মাওলানা সাদ ও জুবায়েরপন্থীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে। কাকরাইলের মারকাজ মসজিদে এক পক্ষ আরেক পক্ষকে হটিয়ে দখলে নিতে মরিয়া হয়ে ওঠে।
এদিন সকালে কাকরাইলের মারকাজ মসজিদের সামনে অবস্থান নেন সাদপন্থীরা। সকাল ৮টার পরে মসজিদে প্রবেশ করেন সাদপন্থীরা।
এ সময় কাকরাইল মসজিদে সামনে থেকে বিচারপতির বাস ভবন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ভি আই পি সড়কসহ আশে পাশের বেশ কিছু এলাকায় রাস্তায় বসে পড়েন সাদ অনুসারীরা।
জানা যায়, ২০১৭ সালের নভেম্বর দু’পক্ষের দ্বন্দ্ব প্রথম প্রকাশ্য রূপ নেয়। সেদিন কাকরাইলে দু’দল কর্মীর মধ্যে হাতাহাতি হয়। চরম বিরোধ সৃষ্টি হওয়ায় গত ৭ বছর ধরে প্রশাসনের সিদ্ধান্তে কাকরাইল মসজিদের এক অংশে জুবায়েরপন্থিরা ৪ সপ্তাহ ও সাদপন্থিরা দুই সপ্তাহ করে পর্যায়ক্রমে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন।
তবে মসজিদের অপর অংশ জুবায়েরপন্থিরা ১২ মাসই নিজেদের দখলে রাখেন। সাদপন্থিদের অভিযোগ, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে হেফাজত সমর্থিত জুবায়েরপন্থিরা বেশি সুবিধা ভোগ করে আসছেন। টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমার মাঠ নিয়েও দুই পক্ষের বিরোধ দিনে দিনে তীব্র হচ্ছে।
সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজের (সিজিএস) উদ্যোগে ‘বে অব বেঙ্গল কনভারসেশন’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সংলাপ তৃতীয় বারের মতো শনিবার (১৬ নভেম্বর) থেকে শুরু হচ্ছে। তিন দিনব্যাপী এই আয়োজন আগামী ১৮ নভেম্বর শেষ হবে।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) এর নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান।
পৃথিবীব্যাপী গণতন্ত্র, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, এবং ভুল তথ্যের ক্রমবর্ধমান বিস্তার, সবুজ শক্তি এবং জলবায়ু পরিবর্তন, বিশ্ব বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক সমস্যা, বৈশ্বিক সংঘাত এবং ভূ-রাজনীতির ল্যান্ডস্কেপ ও মানবাধিকার বিষয়গুলো আলোচিত হবে বলে জানান আয়োজকরা।
এবারের আয়োজনে ৭৭টি সেশন হবে বলে জানিয়ে আয়োজকরা বলেন, ৮০০ দেশের বিষয় সংশ্লিষ্ট গবেষক, শিক্ষক, লেখক, সমরবিদ, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী এবং রাজনীতিকসহ বিভিন্ন পেশার ৮০০ শতাধিক অংশগ্রহণকারী এতে উপস্থিত থাকবেন। এ উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হচ্ছে, এ অঞ্চলে দ্রুত বিকাশমান পরিস্থিতিকে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে জানা ও বোঝা।
সিজিএস’র নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান বলেন, বে অব বেঙ্গলে আমাদের যে অংশীদারত্ব আছে এটা পৃথিবীর মানুষকে জাননো হয় এই আয়োজনে। এতে বাংলাদেশ ও লাভবান হয়। আমরা সব সময় এই আয়োজন কে সরকারের বাইরে রাখতে চাইবো। আমাদের পলিসি গুলো নীতি নির্ধারকদের জন্য। সরকারের সঙ্গে আমরা কোনো আর্থিক বিষয়ে জড়াব না।
তিনি বলেন, এই ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করা খুব কঠিন। গত দুই বছর খুব বেগ পেতে হয়েছে। আমরা আন্তর্জাতিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা করতে চাই। বাংলাদেশের ইস্যু টুকটাক, তবে আন্তর্জাতিক ইস্যু বেশি আসবে। সরকারের সাহায্য চাই। আমাদের আয়োজনে যেনো বাধা না হয়ে দাঁড়ায়।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ এর চ্যায়ারমেন মুনিরা খান, চিফ অফ স্টাফ দিপাঞ্জলী রায় প্রমুখ।