বেসটিনেটের বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ার কাছে পরিষ্কার অভিযোগ করেনি বাংলাদেশ
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মালয়েশিয়ান নাগরিক আমিনুল ইসলাম এবং তার বিদেশি শ্রমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ার এজেন্সি, 'বেসটিনেট' নিয়ে এখনো দ্বিধায় রয়েছে বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়া সরকার। বাংলাদেশ থেকে কোম্পানির দু’জনকে আটকের অনুরোধ করা হলেও তাতে আপাতত সায় দেয়নি মালয়েশিয়া। বরং মালয়েশিয়ায় বিদেশি শ্রমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় পূর্বের মতোই কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি।
মালয়েশিয়ায় বিদেশি শ্রমিকদের অনলাইন নিবন্ধন এবং তথ্য সংগ্রহের কাজটি করে এই বেসটিনেট এসডিএন বিএইচডি।
মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল গত রোববার (১০ নভেম্বর ) জানান, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বেসটিনেটের প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম এবং তার সহযোগী মোহাম্মদ রুহুল আমিনকে আটক করে দেশটিতে পাঠানোর জন্য বলা হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে এই দু’জনকে আটকের জন্য একটি আবেদনপত্র পেয়েছেন তারা। তবে বাংলাদেশে পাঠানোর কোনো নির্দিষ্ট কারণ আবেদনপত্রে উল্লেখ করা হয়নি।
তিনি বলেন, ঢাকা থেকে পাঠানো আবেদনে কোনো নির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করা হয়নি। ঢাকার উচিত হবে বিষয়টির ব্যাখ্যা দেয়া। এই দু’জনকে কী তদন্তের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে, নাকি তাদেরকে অভিযোগের ভিত্তিতে আদালতের মুখোমুখি করা হবে।
তিনি বলেন, ঢাকাকে বিষয়টি পরিষ্কার করতে হবে। যদি তারা তদন্তের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় তাহলে তার জন্য নিয়মমাফিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে৷
গত প্রায় একযুগ ধরেই বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতের অভিযোগ প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে৷ তবে এবারই প্রথম প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার উদ্যোগ নেয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে ঢাকা। বেসটিনেটের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার এবং মানবপাচারের অভিযোগ রয়েছে৷
মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ঢাকা যদি তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো স্পষ্ট করে এবং মামলার মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকে তাহলেই কেবল বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ করতে পারে৷ বিষয়টি নিয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শক এবং অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গেও আলাপ হয়েছে বলে জানান তিনি৷
এর আগে গত ২৪ অক্টোবর ২০২৪ বাংলাদেশের ইন্টারপোল এই দুইজনকে আটকের অনুরোধ করে ইন্টারপোলের মালয়েশিয়া শাখাকে অনুরোধ করে৷ বাংলাদেশ পুলিশের পরিদর্শক আশিকুর রহমান এবং একজন সরকারি কর্মকর্তা এই অনুরোধটি জানিয়েছেন। তবে আবেদনপত্রে বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়নি বলে জানিয়েছে মালয়েশিয়া।
এদিকে মোহাম্মদ আমিনুল ইসলামের আইনজীবী দাতুক এন সিভানান্থান জানিয়েছেন, এই ধরনের অভিযোগের প্রভাবে মালয়েশিয়ার ফরেন ওয়ার্কার্স সেন্ট্রলাইজড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের (এফডাব্লিউসিএমএস) সঙ্গে বেসটিনেটের কাজে কোন দূরত্ব তৈরি হয়নি। বরং স্বাভাবিকভাবেই কাজ চলছে।