ফেনীতে জেলা প্রশাসকের অপসারণের দাবিতে ফের বিক্ষোভ

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ফেনীতে জেলা প্রশাসকের অপসারণের দাবিতে ফের বিক্ষোভ

ফেনীতে জেলা প্রশাসকের অপসারণের দাবিতে ফের বিক্ষোভ

ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যার প্রধান সহযোগী, সাম্প্রতিক বন্যায় নিরব দর্শকের ভূমিকা ও দুর্নীতিগ্রস্ত আখ্যা দিয়ে ফেনী জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তারকে অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) দুপুর ১২ টার দিকে বিপ্লবী ছাত্রসমাজের ব্যানারে এ আয়োজন করা হয়। মিছিলটি শহরের ট্রাংক রোড থেকে শুরু হয়ে মুক্ত বাজার, শান্তি কোম্পানি রোড প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে অবস্থান নেন। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে ফেনী আদালত প্রাঙ্গণ প্রদক্ষিণ করে মিছিলটি শেষ হয়। এসময় তার বিচার দাবি করেন আন্দোলনকারীরা।

বিজ্ঞাপন

মিছিলে 'হাসিনা গেল ভারতে, শাহীনা কেন ফেনীতে', 'দফা এক দাবি এক, শাহীনার পদত্যাগ', 'শ্রাবণ সাইদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ', 'আওয়ামী লীগের দোসর শাহীনা আক্তারের বিচার চাই', 'আশা ছিল উন্নতি আর শান্তি, করেছেন অনিয়ম আর দুর্নীতি'- এমন নানা স্লোগান দেন আন্দোলনকারীরা।

বিপ্লবী ছাত্রসমাজের প্রতিনিধি নাঈম ফরায়জীর পরিচালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন ফেনী সিটি কলেজের শিক্ষার্থী সায়েম, ফেনী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী নাইমুল ইসলাম, আবু জাফর, ফেনী সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী রফিকুল ইসলাম রাতুল ও ফেনী আইসিএসটির শিক্ষার্থী সালেহ উদ্দিন শাওন।

বিজ্ঞাপন

বক্তারা বলেন, ফেনীতে গত ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের উপস্থিতিতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা গণহত্যা চালিয়েছে। সম্প্রতি ফেনীর ভয়াবহ বন্যায়ও জেলা প্রশাসক নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে জেলা প্রশাসক ফেনীর সংসদ সদস্য থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগসাজশে নানা অনিয়ম-দুর্নীতি করেছেন। জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তারকে অপসারণ করে বিচারের আওতায় না আনলে শিগগিরই কার্যালয় ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি দেন তারা।

বক্তব্যে বিপ্লবী ছাত্রসমাজের প্রতিনিধি নাঈম ফরায়জী বলেন, ফেনীতে গণহত্যার তিন মাস অতিবাহিত হলেও জেলা প্রশাসক শাহীনা আক্তার কোনো এক অজানা কারণে এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন। এটি আমাদের শহীদ ভাইদের সঙ্গে বেঈমানী ছাড়া আর কিছুই নয়। এ জেলা প্রশাসকের সঙ্গে গণহত্যার সহযোগী হিসেবে প্রশাসনের আরও কর্মকর্তারা স্বপদে বহাল রয়েছে। শিগগিরই আমাদের দাবি আদায় না হলে ছাত্রসমাজ কঠোর কর্মসূচিতে যাবে।

 উল্লেখ্য, এর আগে গত ২০ অক্টোবর ‘গণহত্যার সহযোগী’ আখ্যা দিয়ে জেলা প্রশাসক শাহীনা আক্তারকে অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা।